২০১৯ রাউন্ডআপ: দেশের যে মহিলা অ্যাথলিটরা আগুন জ্বালিয়েছেন

শাটলার পিভি সিন্ধু থেকে বক্সার মেরি কম, কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাট থেকে অ্যাথলিট হিমা দাস ও দ্য়ুতি চাঁদ। ২০১৯ সালে এনারাই দাপিয়েছেন কোর্ট থেকে রিং, ট্র্যাক থেকে ফিল্ড। ফিরে দেখা তাঁদের কৃতিত্ব।

শাটলার পিভি সিন্ধু থেকে বক্সার মেরি কম, কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাট থেকে অ্যাথলিট হিমা দাস ও দ্য়ুতি চাঁদ। ২০১৯ সালে এনারাই দাপিয়েছেন কোর্ট থেকে রিং, ট্র্যাক থেকে ফিল্ড। ফিরে দেখা তাঁদের কৃতিত্ব।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
These indian women athletes ruled track and field in 2019

২০১৯ রাউন্ডআপ: দেশের যে মহিলা অ্যাথলিটরা আগুন জ্বালিয়েছেন (অলঙ্করণ-অভিজিত বিশ্বাস)

বিশ্বের আঙিনায় ক্রীড়া মানচিত্রে ভারতের আজ একটা আলাদা উপস্থিতি। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন খেলার দুনিয়ায়।

Advertisment

শাটলার পিভি সিন্ধু থেকে বক্সার মেরি কম, কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাট থেকে অ্যাথলিট হিমা দাস ও দ্য়ুতি চাঁদ। ২০১৯ সালে এনারাই দাপিয়েছেন কোর্ট থেকে রিং, ট্র্যাক থেকে ফিল্ড। ফিরে দেখা তাঁদের কৃতিত্ব।

পিভি সিন্ধু

পিভি সিন্ধু সম্ভবত দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নন-ক্রিকেট অ্যাথলিট। ২০১৬ রিও অলিম্পিকের পর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি গোপীচাঁদের শিষ্য়াকে। ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করেই চলেছেন তিনি। চলতি বছর অগাস্টে অলিম্পিকের রূপো জয়ী কন্য়া ইতিহাস লেখেন ব্য়াডমিন্টনে।

Advertisment

publive-image

প্রথম ভারতীয় হিসাবে ছিনিয়ে নেন বিশ্ব ব্য়াডমিন্টন চ্য়াম্পিয়নশিপের খেতাব। সুইজারল্য়ান্ডের বাসেলে জাপানের নোজোমি ওকুহারাকে ২১-৭ ২১-৭ হারিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন তিনি। সিন্ধু এ বছর ইন্দোনেশিয়া ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন। সিঙ্গাপুর ও ইন্ডিয়া ওপেনের শেষ চারেও পৌঁছান।

আরও পড়ুন-ডোপ করে নির্বাসিত বক্সার সুমিত সাঙ্গওয়ান

মেরি কম

দেশের গর্ব মেরি কম। পাঁচ ফুট দু’ইঞ্চির এই মণিপুরি বক্সার পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। সোনায় মোড়ানো বছর পঁয়ত্রিশের মুষ্ঠিযোদ্ধার কেরিয়ার। ভারতের বক্সিং আইকনের অবসরের কথায় যখন সবাই বিভোর ছিলেন, ঠিক তখনই ‘ম্য়াগনিফিসেন্ট মেরি’ সপ্তম বিশ্ব চ্য়াম্পিয়নশিপের পদক ছিনিয়ে আনেন ৫১ কেজি বিভাগে।

বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে সফলতম বক্সার (পুরুষ বা মহিলা) মেরি। কিংবদন্তি কিউবান বক্সার ফেলিক্স সাভনের সঙ্গে একাসন ভাগ করছেন মেরি। এই টুর্নামেন্টে সামগ্রিকভাবে মেরির সাতটি মেডেল পেয়েছেন। ছ’টি সোনা এবং একটি রূপো আছে তাঁর। ২০১৯-এ গুয়াহাটিতে ইন্ডিয়া ওপেন ও ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে প্রেসিডেন্ট'স কাপ ছিনিয়ে নিয়েছেন। সম্ভবত আগামী বছর টোকিও অলিম্পিকই তাঁর শেষ অলিম্পিক হতে চলেছে।

আরও পড়ুন-হিন্দু বলেই বৈষম্য়ের স্বীকার তিনি, আখতারের অভিযোগ সত্য়ি, জানালেন দানিশ কানেরিয়া

ভিনেশ ফোগাট

হরিয়ানার বছর পঁচিশের কুস্তিগীরের পরিবারেই রয়েছে এই খেলা। তুতো বোন গীত ফোগাট ও ববিতা কুমারী তাঁরই বাড়ির সদস্য়। চলতি বছর ৫৩ কেজি বিভাগে এশিয়ান ও বিশ্ব চ্য়াম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পান তিনি।

publive-image

বিশ্ব চ্য়াম্পিয়নশিপে পদক জিতেই টোকিও অলিম্পিকের আসন সংরক্ষণ করেছেন। এশিয়াড ও কমনওয়েলথের সোনা জয়ী (প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীর হিসাবে) ভিনেশ ২০১৯-এ ইয়াসর দোগু ইন্টারন্য়াশনাল ও পোল্য়ান্ড রেস্টলিং টুর্নামেন্টে সোনা জেতেন। গীতাই প্রথম ভারতীয় লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডসে মনোনীত হন।

হিমা দাস

চলতি বছর জুলাই মাসটা ভুলতে পারবেন না অসমের 'ধিং এক্সপ্রেস'। ইউরোপে এক মাসের মধ্য়ে পাঁচটি সোনা জিতে ইতিহাস লিখেছিলেন তিনি। দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন-বড়দিনে সোশালে আগুন জ্বেলেছিলেন আমির খান, মানুষের প্রতিক্রিয়ায় স্তম্ভিত বক্সার

গত ২ জুলাই হিমার সােনার দৌড় শুরু হয়েছিল ইউরোপে। ওদিনই পোল্যান্ডের পোজনান অ্যাথলেটিক্স গ্রাঁ প্রিঁ-তে ২০০ মিটারে সোনা জেতেন হিমা। ২৩.৬৫ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন তিনি। এরপর ৭ জুলাই পোল্যান্ডেরই কুতনো অ্যাথলেটিক্স মিটে ফের ২০০ মিটারে স্বর্ণ পদক ছিনিয়ে আনেন হিমা। ২৩.৯৭ সেকেন্ড সময় নেন তিনি। সোনার দৌড় তাঁর অব্য়াহত থাকে চেক প্রজাতন্ত্রের মাটিতেও। ওখানকার ক্লাদনো অ্যাথলেটিক্স মিটেও হিমা ২০০ মিটারে প্রথম স্থান অর্জন করে সোনার হ্য়াটট্রিক করেন। ২৩.৪৩ সেকেন্ড সময় নেন। চেকে প্রজাতন্ত্রে ৪০০ মিটারেও সোনা আসে হিমার।

publive-image

তাঁর পাঁচ দিন পরেই ৭ জুলাই পোলান্ডেই কুতনো অ্যাথলেটিক্স মিটে ফের ২০০ মিটারেই সোনা জেতেন হিমা। এ বার তাঁর সময় হয় ২৩.৯৭ সেকেন্ড। ছয় দিন পরে ১৩ জুলাই চেক প্রজাতন্ত্রে অনুষ্ঠিত ক্লাদনো অ্যাথলেটিক্স মিটে ২৩.৪৩ সেকেন্ড সেকেন্ড সময় করে ২০০ মিটারে সোনা জয়ের হ্যাটট্রিক করেন হিমা।গত বুধবার ‘ধিং এক্সপ্রেস’ (এই নামেই অসমে ডাকা হয় তাঁকে) হিমা চেক প্রজাতন্ত্রে প্রথম নামেন তাঁর প্রিয় ইভেন্ট ৪০০ মিটারে। সেখানেও তিনি শেষ করেছিলেন সোনা জিতেই।  গত এপ্রিল মাসে এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের এই ইভেন্টে চোটের কারণে দৌড়াতে পারেননি হিমা। গত শনিবার হিমার পঞ্চম সোনা আসে নোভে মেস্তো নাদ মেতুজি গ্রাঁ প্রিঁ-তে। যদিও হিমা বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ালিফাই করতে পারেননি।

(প্রতিবেদনের প্রতিটি অলঙ্করণগুলি অভিজিত বিশ্বাসের)

athlete