/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/29/MXO3hy9vD7e3apIDkTq9.jpg)
জেনে নিন কখন পড়াশোনা করেন বৈভব
Vaibhav Suryavanshi Century: সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত থেকে ক্রিকেট বিশ্বে শুধুমাত্র একটাই নাম আলোড়িত হচ্ছে। তিনি বৈভব সূর্যবংশী (vaibhav suryavanshi score)। রাজস্থান রয়্যালস বনাম গুজরাট টাইটান্স ম্য়াচের (Rajasthan Royals vs Gujarat Titans) পর এই নামটা আপাতত সকলের মুখে মুখে ঘুরছে। বিহারের ছেলে বৈভব ইতিমধ্যে আইপিএল টুর্নামেন্টে (IPL 2025) ইতিহাস কায়েম করেছেন।
মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে আইপিএল টুর্নামেন্টে এটাই দ্রুততম শতরান। শেষপর্যন্ত ৩৮ বলে ১০১ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। ইতিমধ্য়ে ৭ চার এবং ১১ ছয় হাঁকিয়ে ক্রিকেট সমর্থকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
বৈভব সূর্যবংশীর বয়স মাত্র ১৪ বছর (14 year old boy in ipl)। যে বয়সে ছেলেপুলেরা পাড়ার খেলাধুলো এবং পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, সেখানে বৈভব ভারতীয় ক্রিকেটে নিজের একটা স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করে ফেলেছেন। তবে বৈভবের সামনে সাফল্যের এই রাস্তাটা একেবারেই সহজ ছিল না।
কারণ এটা তো আর পাড়ার ক্রিকেট নয়। এটা আইপিএল টুর্নামেন্টের বিশাল মঞ্চ। এই সাফল্য অর্জন করার জন্য বৈভব এবং তাঁর পরিবারকে যথেষ্ট লড়াই করতে হয়েছে। কিন্তু, ক্রিকেটের পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা ঠিক চালিয়ে গিয়েছেন এই ১৪ বছর বয়সি কিশোর।
ক্রিকেট এবং পড়াশোনার মধ্যে দুরন্ত ব্যালান্স
বিহারের সমস্তিপুরে বসবাস করেন বৈভব সূর্যবংশী (vaibhav suryavanshi which state)। ২০১১ সালের ২৭ মার্চ বিহারের তাজপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বৈভব। আপাতত ক্লাস নাইনে পড়াশোনা করে (vaibhav suryavanshi education qualification)। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, তাজপুরের ডক্টর মুক্তেশ্বর মডেস্টি স্কুলে শিক্ষাগ্রহণ করেন তিনি। একটি ইন্টারভিউয়ে নাকি বৈভবের বাবা সঞ্জীব সূর্যবংশী এমন কথাই জানিয়েছিলেন। কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ক্রিকেটের জন্য বৈভব নাকি পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু, এটা একেবারেই সত্যি খবর নয়। আপাতত ক্রিকেট এবং পড়াশোনার মধ্যে দুরন্ত ব্যালান্স করে এগিয়ে চলেছেন।
Vaibhav Suryavanshi Diet: না খাসির মাংস, না পিৎজা! সাফল্য পেতে কোন কোন খাবার ছাড়তে হয়েছে বৈভবকে?
কখন পড়াশোনা করেন বৈভব?
খুব অল্প বয়স থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেছেন বৈভব সূর্যবংশী। আসলে, তাঁর বাবা নিজেই ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার কারণে তাঁর সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। এরপর নিজের অধরা স্বপ্ন তিনি ছেলের হাত ধরেই পূরণ করতে চেয়েছেন। আর সেকারণে ছেলেকে ট্রেনিং দিতে শুরু করেন। পটনায় নেট প্র্যাকটিস করতেন বৈভব। ১০ বছর বয়স থেকেই প্রতিদিন ৬০০ বল খেলেন তিনি। বৈভবের বাবা সঞ্জীব সূর্যবংশী জানিয়েছেন, বৈভব সকালবেলা যাবতীয় পড়াশোনা সেরে নেয়। এরপর বাকি সময়টা ক্রিকেটে ফোকাস করেন।
এরথেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে ক্রিকেটের পাশাপাশি পড়াশোনা নিয়েও যথেষ্ট সিরিয়াস বৈভব। দুটোকেই তিনি সমান গুরুত্ব দিতে চান। পাশাপাশি তাঁর স্কুল এবং পরিবারও এই ব্যাপারটা সবসময় মাথায় রাখে। সব মিলিয়ে বৈভবের জীবন যে আপাতত রোলার-কোস্টার গতিতে এগোচ্ছে, তা বলা যেতেই পারে।