ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দলের পারফরম্যান্সে খুশি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ক্যাপ্টেন কোহলির ব্যাট হাতে দাপট এবং বল হাতে ভুবনেশ্বর কুমারের অনবদ্য পারফরম্যান্সের সুবাদে ভারত কার্যত বিনা বাধায় দ্বিতীয় ওয়ান ডে জিতে সিরিজে ১-০ জিতে গিয়েছে। এর অর্থ ভারত কোনওভাবেই তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ হারছে না। এর পরেই দলের পারফরম্যান্স নিয়ে খুল্লমখুল্লা প্রশংসা উপচে পড়ল কোহলির। সাংবাদিক সম্মেলনে কোহলি জানিয়ে দিলেন, "আমরা জানতাম ২৭০-এর বেশি কোনও টার্গেট চ্যালেঞ্জিং। দলের চাহিদা অনুযায়ী শতরান বরাবরই তৃপ্তিদায়ক।"
কোহলির সংযোজন, "শিখর ও রোহিত বড় রান পায়নি। আমাদের ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম তিনজনের একজন সবসময়েই বড় রান পেয়েছে। একজন সিনিয়রকে এগিয়ে আসতেই হত। এদিন তাই আমার ব্যাট হাতে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল। ডট বল গুলোকে রানে পরিণত করা প্রয়োজন ছিল।"
টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কোহলি জানিয়েছেন, "প্রথমে আমরা ব্যাট করতেই চেয়েছিলাম। যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের শেষের অংশ দেখা যায়, তাহলে বোঝা যাবে ব্যাট করা কতটা কঠিন ছিল। আমার মনে হয় মাঝে বৃষ্টি ওদের ব্যাটিংয়ে সাহায্য করছিল।" এর সঙ্গেই কোহলি জানাচ্ছেন, "শিমরন হেটমায়ার এবং নিকোলাস পুরান যখন ব্যাটিং করছিল, তখন বল গ্রিপিং করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। মাঠে কেবল আমরা একটা উইকেটের জন্য প্রার্থনা করছিলাম। সৌভাগ্যবশত, আমরা উইকেট পেয়েছিলাম।"
আরও পড়ুন
কোহলির সেঞ্চুরি আর ভুবির চারে দুরন্ত জয় ভারতের
সৌরভকে টপকে এখন শচীনের পরেই বিরাট, কাড়লেন মিঁয়াদাদের সিংহাসনও
লারাকে সরিয়ে এখন সাম্রাজ্য় গেইলের, ক্য়ারিবিয়ান দৈত্য়কে কুর্নিশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের
দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে যুজবেন্দ্র চাহালকে বসিয়ে কুলদীপ যাদবকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোহলি। সেই সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোহলির বক্তব্য, "ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের অধিকাংশই বাঁ হাতি। তাই কুলদীপকে নেওয়া হয়েছিল। যে লেংথে কুলদীপ বোলিং করে এবং ওর বলের বৈচিত্র্য বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে সবসময়ে কার্যকর।" পাশাপাশি স্পিন বোলিংয়ে কেদার যাদব এবং রবীন্দ্র জাদেজাও ভারসাম্য় বজায় রেখেছেন, জানাচ্ছেন কোহলি।
কোহলির প্রশংসায় উঠে এসেছে শ্রেয়স আইয়ারের ভূমিকাও। কোহলির সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১২৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন দিল্লির তারকা ব্যাটসম্যান। তাই কোহলি বলছেন, "শ্রেয়স বরাবর একজন আত্মবিশ্বাসী ক্রিকেটার। ও ব্যাটিংয়ের টেম্পো ধরে রেখেছিল। এবং আমার উপর থেকে চাপ কমিয়ে দিয়েছিল। আমি আউট হওয়ার পরে ও স্কোরবোর্ডে অতিরিক্ত রানও যোগ করেছিল।"
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৯ রান তুলেছিল। এই রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ডার্ক ওয়ার্থ লুইস নিয়মে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টার্গেট দাঁড়ায় ৪৬ ওভারে ২৭০। একসময় খেলায় ভালমতোই ছিল ক্যারিবিয়ানরা। ৩৫ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে এক সময় ১৭৯ রান তুলে ফেলেছিল। সেখান থেকে ৪২ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়ে যায়। ৫৯ রানে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত।
Read the article in ENGLISH