বিরাট কোহলি সংযত হয়ে গিয়েছেন। কয়েক বছর আগের কোহলির সঙ্গে ক্যাপ্টেন কোহলির বিস্তর অমিল। আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছেন। ক্রিকেট বিশ্বের প্রচলিত মত হল এটাই। তবে শান্ত কোহলিও পুরনো অবতারে ফিরে যেতে পারেন মাঝেমাঝেই। মোহালিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচেই ধরা পড়ল সেই চিত্র। রাগী, ক্রুদ্ধ কোহলিকে। যা দেখে ফের একবার মনে পড়ে যাচ্ছে সেই আপ্ত বাক্য, সিংহ কখনও হরিণ শিকার করা ভোলে না!
আসলে প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পরে কোহলি মনে প্রাণে জয় দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ উদ্বোধন করতে চেয়েছিলেন। তাই মরিয়া কোহলি ফিরিয়ে আনলেন চেনা মেজাজ। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। ব্যাটিং করতে নেমে দ্বিতীয় উইকেটে তেম্বা বাভুমা এবং ক্যাপ্টেন কুইন্টন ডিকক ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিলেন। ওভার পিছু সাড়ে আট করে রান তুলছিলেন দুই প্রোটিয়াজ ব্যাটসম্যান। যে কোনও মূল্যে এই উইকেট ভাঙতে মরিয়া ছিলেন কোহলি।
দশম ওভারের ঘটনা। হার্দিক পাণ্ডিয়া বোলিং ক্রিজে ছিলেন। ফিল্ডার শ্রেয়স আইয়ার থ্রো করেছিলেন বোলিং এন্ডে। সেই বল লক্ষ্যে আঘাত হানতে ব্যর্থ হয়। উলটে হার্দিকও বল ধরার কোনও প্রচেষ্টা করেননি। ভারতীয় ফিল্ডারদের শিথিলতার সুযোগে সেই বলে দৌড়ে তিন রান পূর্ণ করেন বাভুমা-ডিকক। এতেই মেজাজ হারান কোহলি। চোখে মুখে ফুটে ওঠে বিরক্তি।
তবে ডিকক ফিরতেই প্রোটিয়াজদের ব্যাটিং ভেঙে পড়ে। ১৪৯ রানে থেমে যায় তাঁদের প্রতিরোধ। জবাবে ভারত কোহলির দুর্ধর্ষ ব্যাটে ভর করেই এক ওভার বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে ভারত আপাতত ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
Read the full article in ENGLISH