ChatGPT: চ্যাটজিপিটি হোক বা মেটা এআই… এই ১০টি প্রশ্ন ভুল করেও করবেন না, বড় বিপদে পড়তে পারেন!

ChatGPT Meta AI: বর্তমান সময়ে AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনের অন্যতম অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ChatGPT, Meta AI, Grok, Gemini, Claude-এর মত প্ল্যাটফর্মগুলো এখন আমাদের পড়াশোনা, চাকরি, ব্যবসা এমনকি দৈনন্দিন জীবনকেও সহজ করে তুলেছে।

তবে, এআই ব্যবহারের সময় অনেকেই এমন কিছু প্রশ্ন করে থাকেন, যেগুলো বিপদ ডেকে আনতে পারে। গোপনীয়তা লঙ্ঘন, ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া বা আইনগত সমস্যায় জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই লেখায় জানুন ১০টি এমন প্রশ্ন, যা কখনও এআইকে জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়।

আরও পড়ুন- আস্ত মানুষ গিলে খাচ্ছে এই ভয়ঙ্কর সাপ, মাংসের সঙ্গে হাড়ও হজম করে?

১. ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল প্রশ্ন

উদাহরণ: 'আমার পাসওয়ার্ড কী হওয়া উচিত?', 'আমার প্রেমিক/প্রেমিকার সম্পর্কে তথ্য দাও।'

কেন করবেন না: AI-এর সংগৃহীত ব্যক্তিগত তথ্য মোটেও নিরাপদ নয়। তাই এগুলো জিজ্ঞাসা করলে আপনার প্রাইভেসি বা গোপনীয়তাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

আরও পড়ুন- স্মার্ট টিভির স্ক্রিন পরিষ্কারে এড়িয়ে চলুন এই ভুলগুলি, জেনে নিন স্মার্ট ক্লিনিংয়ের পদ্ধতি

২. অবৈধ কাজ সংক্রান্ত প্রশ্ন

উদাহরণ: 'কীভাবে হ্যাকিং করতে হয়?', 'ভুয়া পরিচয়পত্র বানানোর উপায় কী?'

কেন করবেন না: এ ধরনের প্রশ্ন এআই-এর ব্যবহারের শর্ত লঙ্ঘন করে। এতে আইনি জটিলতায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন- ওয়্যাক্সিং আর নয়! এই এক চমৎকার পাউডারেই মুখের লোম বৃদ্ধি হবে বন্ধ

৩. চিকিৎসা বা আইনি পরামর্শ চাওয়া

উদাহরণ: 'এই ওষুধ কি খেতে পারি?', 'এই কেসে কেমন মামলা করব?'

কেন করবেন না: AI ডাক্তার বা আইনজীবী নয়। ভুল পরামর্শ আপনার স্বাস্থ্যের বা আইনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

আরও পড়ুন- দেশের সেরা ইলেকট্রিক স্কুটার এখন আরও সস্তা! সাত-পাঁচ না ভেবে তাড়াতাড়ি বুকিং করুন

৪. ভবিষ্যদ্বাণীমূলক প্রশ্ন

উদাহরণ: '২০২৬ সালের নির্বাচনে কে জিতবে?', 'স্টক মার্কেটের সূচকের অগ্রগতি কবে হবে?'

কেন করবেন না: AI ডেটার ভিত্তিতে কোনও কিছু অনুমান করে থাকে, কিন্তু নিশ্চিত ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে না।

৫. রিয়েল টাইম বা আপডেটেড তথ্য

উদাহরণ: 'এখন দিল্লির তাপমাত্রা কত?', 'আজকের ট্রেনের সময়সূচি জানান।'

কেন করবেন না: AI-এর রিয়েল-টাইম তথ্য অ্যাক্সেস সীমিত। এ জন্য নির্ভরযোগ্য অ্যাপ বা নিউজ সাইট ব্যবহার করুন।

৬. অত্যন্ত দার্শনিক বা অস্পষ্ট প্রশ্ন

উদাহরণ: 'জীবনের মানে কী?', 'ভালোবাসা কাকে বলে?'

কেন করবেন না: AI এ ধরনের প্রশ্নে সাধারণ ও অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দিতে পারে, যা ব্যক্তির মনঃপূত না-ও হতে পারে।

৭. জাতি, ধর্ম বা গোষ্ঠীভিত্তিক বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন

উদাহরণ: 'কেন এই গোষ্ঠী খারাপ?', 'এই ধর্ম শ্রেষ্ঠ কেন?'

কেন করবেন না: এটি পক্ষপাত, বিদ্বেষ বা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করতে পারে এবং সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

৮. আত্মঘাতী বা মানসিক অবসাদের তথ্য চাওয়া

উদাহরণ: 'আমি বাঁচতে চাই না, কী করব?', 'কীভাবে নিজেকে কষ্ট দেওয়া যায়?'

কেন করবেন না: AI কোনও মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা নয়। এ ক্ষেত্রে পেশাদার থেরাপিস্টের সাহায্য নেওয়া জরুরি।

৯. ছদ্মবেশ বা প্রতারণামূলক প্রশ্ন

উদাহরণ: 'কীভাবে কাউকে ফাঁকি দেব?', 'ভুয়া প্রোফাইল বানানোর উপায় কী?'

কেন করবেন না: এ ধরনের প্রশ্ন অনৈতিক ও আইনগত ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।

১০. যেসব প্রশ্নের উদ্দেশ্য, AI-কে বিভ্রান্ত করা

উদাহরণ: 'তুমি কি মানুষ?', 'তুমি কি আমার বন্ধু?'

কেন করবেন না: AI একটি মেশিন। এই ধরনের আবেগনির্ভর প্রশ্ন বিভ্রান্তি ও ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে।

এই সমস্ত প্রশ্নে AI বিভ্রান্ত হয়ে যায়, আর মেশিন হ্যাং করে যেতে পারে। তাই এই ধরনের প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা উচিত। এমনিতে AI ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ নেটিজেনের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। কারণ, AI-এর জন্য সার্চ ইঞ্জিনে দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির প্রয়োজন ইতিমধ্যেই মিটেছে।