সুইগি, জোম্যাটো, উবার ইটসের সঙ্গে ভারতের ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এবার আসছে অ্যামাজন। বহুল জনপ্রিয় এই ই-কমার্স সংস্থা এবার থেকে খাবার ডেলিভারিও করবে। প্রয়োজনীয় অ্যাপ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সাহায্যের জন্য অ্যামাজনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে 'ক্যাটামারান' নামক এক আইটি সংস্থা। এই নতুন পরিষেবার জন্য বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হবে একাধিক কর্মী, এমনটাই জানানো হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।
পাশাপাশি ভারতে রেস্তোঁরা খোলার ভাবনাচিন্তাও করেছে অ্যামাজন। প্রাথমিক পর্যায়ে মূলত সেখান থেকেই খাবার ডেলিভারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে কোম্পানির তরফ থেকে। পুজোর মরশুম শুরু হওয়ার আগেই ভারতের বিভিন্ন শহরে দেখা যাবে অ্যামাজনের রেস্তোঁরা। সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই অ্যামাজনের রান্নার স্বাদ পাওয়া যাবে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতে মূলত মধ্যবিত্তরাই অনলাইনে খাবার অর্ডার করে থাকেন। সূত্রের খবর, অত্যাধুনিক পরিষেবা দিয়ে সেই মধ্যবিত্তের মন জয় করতে চায় অ্যামাজন।
আরও পড়ুন: প্রত্যেক ভোডাফন প্রিপেইড রিচার্জেই এবার উপরি পাওনা
নতুন ব্যবসায় লাভ কতটা করতে পারবে সংস্থা, সে বিষয়ে অবশ্যই অনিশ্চয়তা রয়েছে। এই শিল্পে দেশজ স্টার্ট-আপ সুইগির আধিপত্য সর্বাধিক। যার পিছনে রয়েছে নাস্পারস এবং টেনসেন্টের মত নামকরা দুই সংস্থা। একইসঙ্গে ভারতের বাজারে এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে জোম্যাটো। উবার টেকনোলজিস ২০১৭ সালে ভারতে খাদ্য সরবরাহ পরিষেবা চালু করেছে, তবে এখনও ভারতের বাজার ধরতে পারেনি। সোমবার দৈনিক পত্রিকা 'বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড' জানায়, অ্যামাজন উবার ইটস কিনে নেওয়ারও ভাবনাচিন্তা করছে। তবে সে খবর এখনও যাচাই করা যায় নি।
আরও পড়ুন: ২৫০ নয়, তার চেয়েও খরচ কমল নেটফ্লিক্সের
গত মাসে কঠোর প্রতিযোগিতার মুখে অ্যামাজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ করে দেয় খাবার সরবরাহ পরিষেবা। সংস্থাটি ২০১৬ সালে ভারতে তার প্রাইম পরিষেবা চালু করে, এবং ইতিমধ্যে ভিডিও এবং গান স্ট্রিমিংয়ের পাশাপাশি সারা দেশে একাধিক শহরে মুদিসদাই সরবরাহের মতো পরিষেবাও পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করেছে।
Read the full story in English