Magic Liquid Technology: টেকনোলজির যুগে বাইক বা গাড়ির টায়ার পাংচার হওয়া যেন এক সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর টায়ার একবার পুরোনো হলে, পাথর, তার, কাচ বা পেরেকের সংস্পর্শে ছিদ্র হওয়াটা প্রায় নিয়মিত ঘটনা। কিন্তু, এই সমস্যা থেকে মুক্তির রয়েছে সহজ ও কার্যকরী একটি রাস্তা— অ্যান্টি-পাংচার লিক্যুইড।
কী এই অ্যান্টি-পাংচার লিক্যুইড?
এই তরল রাসায়নিকটি মূলত টিউবলেস টায়ারের জন্য বানানো। এটি টায়ারের ভিতরে ঢেলে দিলে, যেখানেই ছিদ্র হবে, তা সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেয়। এমনকী যদি রড বা পেরেকের মত কোনও ধারালো জিনিস ঢুকেও যায়, এই তরল নিজে থেকেই ছিদ্র বন্ধ করে দেয়। ফলে, টায়ারের ভেতর থেকে হাওয়া বের হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকেই না।
আরও পড়ুন- লঞ্চ হল Asus Vivobook 14, ফিচার চমকে দেবে
কীভাবে কাজ করে এই ম্যাজিক তরল?
এই রাসায়নিক একপ্রকার স্বয়ংক্রিয় ‘সিল্যান্ট’। টায়ারের ভিতরে একবার ঢেলে দিলে, এটি টায়ারের গায়ে একটি পাতলা সুরক্ষাকবচ তৈরি করে। যখনই বাইরের কোনও ধারালো বস্তু তা ভেদ করতে চায়, এই তরল ছিদ্রটিকে সিল করে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ১০-১৫ বার পাংচার হলেও টায়ারকে কার্যক্ষম রাখে।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর সাইবার জালিয়াত, AI ক্লোনিংয়ে সর্বনাশ
ব্যবহার কতটা সহজ?
ব্যবহার করা একেবারেই ঝামেলাহীন। প্রথমে টায়ার থেকে ভালভ খুলে নিতে হবে, এরপর আধা লিটার তরল ঢেলে আবার ভালভ লাগিয়ে দিতে হবে। কোনও মেশিন বা বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। কয়েক মিনিটের মধ্যে টায়ার আবার আগের মতো কাজ করতে শুরু করবে।
আরও পড়ুন- না সাইকেল না বাইক! নয়া দ্বিচক্রযানে বড় চমক
ব্যবহারযোগ্যতা ও সাশ্রয়
এই লিক্যুইড মূলত টিউবলেস টায়ারের জন্য তৈরি। দুই চাকার বাইক হোক বা চার চাকার গাড়ি— উভয়ক্ষেত্রেই এটি ব্যবহার করা যায়। একবার প্রয়োগ করলে অন্তত ৭ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত টায়ার পাংচার নিয়ে ভাবনার দরকার নেই। খরচও খুবই কম, সাধারণ বাজারে ২০০-৩০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- বর্ষায় গাড়িতে দুর্গন্ধ? ঘরোয়া উপায়ে চটজলদি মেটান সমস্যা
অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন পাংচার মেকানিক
বিহারের পাটোরি ব্লকের বাসিন্দা প্রিন্স কুমার, গত ১০ বছর ধরে পাংচার সারানোর কাজ করছেন, জানাচ্ছেন— '১০-১২ বার পাংচার হলে অনেকে টায়ার ফেলে দেন। কিন্তু অ্যান্টি-পাংচার লিক্যুইড দিয়ে সেটিকে আবার দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়।'
কোথায় পাওয়া যাবে এই তরল?
এই তরল রাসায়নিক স্থানীয় বাজারে এবং অনলাইন ই-কমার্স সাইটেও সহজেই পাওয়া যায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ড যেমন— Slime, Puncture Safe, Motul ইত্যাদি এই ধরনের পণ্য তৈরি করে। তবে কেনার আগে দেখে নিতে হবে সেটি টিউবলেস টায়ারের জন্য উপযুক্ত কি না।
যাঁরা রোজ রাস্তায় বাইক বা গাড়ি নিয়ে বেরোন, তাঁদের জন্য এই ‘ম্যাজিক তরল’ যেন এক নিঃশব্দ বিপ্লব। বারবার পাংচারের ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে পারে এই সামান্য প্রযুক্তি। নতুন টায়ার কেনার খরচ বা রাস্তায় আটকে পড়ার ভয়— সব কিছু ভুলিয়ে দেবে এই তরল কেমিক্যাল।