/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/02/lunar-eclipse-2025-09-02-15-12-36.jpg)
Lunar Eclipse: চন্দ্রগ্রহণ।
Full Lunar Eclipse: ভারত ২০২৫ সালের দ্বিতীয় এবং শেষ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ প্রত্যক্ষ করতে চলেছে। এটি একটি বিরল জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা। বৈজ্ঞানিক গুরুত্বের পাশাপাশি এই গ্রহণের বিরাট সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে।
গ্রহণের সময়কাল
ভারতীয় সময় অনুযায়ী ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ৫৮ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে। এটি মোট ৩ ঘন্টা ২৮ মিনিট স্থায়ী হবে। এর ফলে, ভারতজুড়ে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। যেমন- উত্তর ভারতের দিল্লি, চণ্ডীগড়, লখনউ, জয়পুরে গ্রহণ দেখা যাবে। পশ্চিম ভারতের মুম্বই, আহমেদাবাদ, পুনেতে দেখা যাবে গ্রহণ। পূর্ব ভারতের কলকাতা, ভুবনেশ্বর, গুয়াহাটিতে দেখা যাবে। দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, তিরুবনন্তপুরম থেকেও গ্রহণ দেখা যাবে। যতক্ষণ চাঁদ দিগন্তের ওপরে থাকবে, ততক্ষণ এটি খালি চোখে দেখা যাবে। গ্রহণের সর্বোচ্চ পরিস্থিতি তৈরি হবে রাত ১১টা ৪২ নাগাদ। ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ২৬ নাগাদ শেষ হবে গ্রহণ।
আরও পড়ুন- পুজোর স্টক রেডি! সস্তার ফ্যামিলি কারে ধামাকা অফারে পান সেরা মাইলেজ
এবং
আরও পড়ুন- পুজোর আগে অফারের বন্যা! ১০ হাজারের কমে পান হাই ক্যাপাসিটি ইনভার্টার
পৃথিবী যখন চাঁদ এবং সূর্যের মাঝামাঝি আসে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে। তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। ভারতীয় সংস্কৃতিতে চন্দ্রগ্রহণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের এই গ্রহণটি ঘটবে পিতৃপক্ষর সময়। ফলে নানা আচার-অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের কথা। অনেকেই গ্রহণকালে উপবাস বা মন্ত্রপাঠ করেন, আবার গ্রহণ শেষে স্নান ও দান করার রীতিও প্রচলিত রয়েছে।
আরও পড়ুন- উৎসবের মরসুমে স্মার্টফোনে ধামাকা অফার! বছরের সেরা ডিল, তৈরি তো?
আরও পড়ুন- সেরার সেরা, নজরকাড়া! কোন ৫ সেরা বাইক এবারের পুজোয় বাজার কাঁপাবে?
বিজ্ঞানীদের মতে, যাঁরা আকাশ পর্যবেক্ষণ করেন, তাঁদের জন্য এই গ্রহণ বিশেষ আকর্ষণীয়। এটি খালি চোখে দেখা যাবে। তবে দূরবীন বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করলে আরও স্পষ্টভাবে চাঁদের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সাধারণভাবে গ্রহণ বাড়তি আলো বা কৃত্রিম ব্যবস্থা ছাড়াই খালি চোখে দেখা সম্ভব। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, গর্ভবতী মহিলাদের গ্রহণের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং মহাকাশপ্রেমীদের জন্য এটি আবার আকাশ পর্যবেক্ষণের এক দুর্দান্ত সুযোগ। ফলে, এই গ্রহণ সকলকেই কিছু না কিছু ভূমিকা পালনের সুযোগ দেবে।
আর, এই সব কারণেই বছরে গ্রহণগুলোর অপেক্ষায় বসে থাকেন মহাকাশপ্রেমীরা। তাঁরা গ্রহণের দৃশ্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করেন। এই মহাকাশপ্রেমীদের দলে যেমন সাধারণ পড়ুয়ারা রয়েছেন তেমনই রয়েছেন শিক্ষক থেকে বিজ্ঞানী, সকলেই। প্রতিটি গ্রহণের দৃশ্য তাঁদের জীবনে একেকটি নতুন অভিজ্ঞতা উপহার দেয়।