/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/21/chatgpt-2025-09-21-14-39-47.jpg)
ChatGPT ঃ চ্যাটজিপিটির ভুল ব্যবহার।
ChatGPT Warning: বিশ্বজুড়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ChatGPT। পড়াশোনা, চাকরি, ব্যবসা কিংবা সাধারণ জ্ঞান—প্রতিদিনই কোটি কোটি মানুষ এই এআই চ্যাটবট ব্যবহার করছেন। তবে যতটা সাহায্যকারী, ততটাই ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে যদি সচেতন না হন। বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করছেন যে কিছু তথ্য ChatGPT বা অন্য কোনও AI chatbot-কে কখনই বলা উচিত নয়। কারণ এগুলো ভুল হাতে পড়লে ব্যক্তিগত ক্ষতি থেকে শুরু করে আইনি জটিলতা পর্যন্ত হতে পারে।
এবার জেনে নিন সেই ৭টি কাজ কী, যা ChatGPT-কে দিয়ে কখনও করবেন না।
১. ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা
নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর বা ইমেল অ্যাড্রেসের মতো তথ্য ChatGPT-র কাছে কখনও শেয়ার করবেন না। এগুলো ব্যবহার করে আপনার কার্যকলাপ ট্র্যাক করা কিংবা পরিচয় চুরি করা সম্ভব।
আরও পড়ুন- জিএসটি কমার পর আরও সাশ্রয়ী হল জনপ্রিয় সেরা বাইক, এক লাখের কমে এত অপশন?
২. আর্থিক তথ্য দেওয়া
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ড তথ্য, UPI PIN ইত্যাদি কখনও AI-এর কাছে বলবেন না। সামান্য অসতর্কতার কারণেই আপনার অর্থ চুরি হতে পারে।
আরও পড়ুন- জিও এয়ারটেলের নজরকাড়া প্রতিযোগিতা, ৫০০ টাকার কমে সেরা বেনিফিট দিচ্ছে কোন সংস্থা?
৩. পাসওয়ার্ড শেয়ার করা
পাসওয়ার্ড কারও কাছেই বলা উচিত নয়, ChatGPT-র কাছেও নয়। এআই আপনার ডেটা সুরক্ষিত রাখার নিশ্চয়তা দেয় না। ফলে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন- রিচার্জ করুন আপনি, সুবিধা পাবেন গোটা পরিবার, দুর্দান্ত অফারে বাজিমাত jio-এর
৪. নিজের গোপন কথা বলা
অনেক সময় আমরা মনে করি এআই চ্যাটবট 'বন্ধুর মত'। কিন্তু এটি আসলে প্রোগ্রামড টুল। তাই ব্যক্তিগত গোপন কথা শেয়ার করলে তা কোথায় ব্যবহার হবে আপনি জানবেন না।
আরও পড়ুন- দেখে নিন আজকের টিপস, দুর্ভাগ্য করুন দূর!
৫. স্বাস্থ্য পরামর্শ নেওয়া
AI ডাক্তার নয়। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যান। ChatGPT ভুল তথ্য দিতে পারে, যা বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
৬. স্পষ্ট বা অনুপযুক্ত কনটেন্ট শেয়ার করা
ChatGPT-তে অশ্লীল, সহিংস বা অনুপযুক্ত কনটেন্ট দিলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান হতে পারে। পাশাপাশি এই ডেটা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে যেতে পারে।
৭. গোপন তথ্য প্রকাশ করা
AI-কে এমন কিছু বলবেন না যা আপনি চান না যে সারা পৃথিবী জানুক। কারণ ইউজার ডেটা লগ আকারে সংরক্ষিত হতে পারে এবং অজান্তেই তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কেন সতর্ক থাকা জরুরি?
ChatGPT-র মত AI টুলগুলো আমাদের জীবন সহজ করছে ঠিকই, কিন্তু একইসঙ্গে ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। অতিরিক্ত নির্ভরতা ও অসতর্ক ব্যবহারে আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, আর্থিক নিরাপত্তা, এমনকী আইনগত জটিলতাও তৈরি হতে পারে। তাই ব্যবহার করুন বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে।