/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/30/car-without-driver-2025-10-30-15-19-49.jpg)
Driverless Car in India: উইপ্রো ও IISc যৌথভাবে তৈরি করল ভারতের প্রথম চালকবিহীন গাড়ি!
Driverless Car in India: ভারতের প্রযুক্তি জগতে রচিত হল নতুন ইতিহাস। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম Driverless Car in India বা চালকবিহীন গাড়ি সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। এই গাড়িটি তৈরি হয়েছে উইপ্রো, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IISc) এবং আর.ভি. কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং-এর যৌথ উদ্যোগে। প্রকল্পটির নাম WIRIN (Wipro-IISc Research and Innovation Network)। এটি ভারতের অটোমোবাইল ও রোবোটিক্স ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি
এই চালকবিহীন গাড়িটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে। মানি কন্ট্রোলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৭ অক্টোবর বেঙ্গালুরুর আর.ভি. ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যাম্পাসে এই গাড়ি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উইপ্রোর গ্লোবাল হেড অফ অটোনোমাস সিস্টেমস অ্যান্ড রোবোটিক্স রামচন্দ্র বুধিহাল, আরভি কলেজের অধ্যক্ষ কে.এন. সুব্রহ্মনিয়ম এবং রাষ্ট্রীয় শিক্ষা সমিতি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এমপি. শ্যাম। ভিডিওতে দেখা গেছে, গাড়িটি কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে মসৃণভাবে চলাচল করছে, স্টিয়ারিং হুইল নেই! গাড়িটি কোনদিকে যাবে, কখন বাঁক নেবে, সামনে কোনও বাধা আসলে কী করবে, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক হয়।
আরও পড়ুন- ঘরের কাজ করানো, কথা বলার জন্য কাউকে চাই? চাহিদা মেটাবে এই রোবট!
WIRIN প্রকল্পের উন্নয়ন শুরু হয় ২০১৯ সালে। আর.ভি. ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপক উত্তরা কুমারী ও রাজা বিদ্যার নেতৃত্বে একদল গবেষক ও শিক্ষার্থী এই স্বয়ংক্রিয় গাড়ি তৈরিতে ৬ বছর ধরে কাজ করেছেন। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য ছিল একটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি (Autonomous Car) তৈরি করা। এমন গাড়ি, যা ভারতের খানাখন্দে ভরা রাস্তাতেও বহাল তবিয়তে চলতে পারবে। গবেষক দলের মতে, ভারতীয় রাস্তায় গর্ত, চলার পথে সামনে কোনও প্রাণী এসে পড়লে, ট্রাফিকের সমস্যা হলে বা আবহাওয়া খারাপ থাকলেও চালকবিহীন এই গাড়ির চলাচলে কোনও অসুবিধা হবে না। গবেষক দল জানিয়েছে, তারা গাড়ির সেন্সর ও সফটওয়্যারকে এমনভাবে তৈরি করেছেন যে তা বাস্তব অবস্থার সঙ্গে যে কোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারবে।
আরও পড়ুন- উইকিপিডিয়ার টক্করে এবার ফ্রি AI-powered এনসাইক্লোপিডিয়া! কীভাবে নেবেন এই সুবিধা?
এই গাড়িতে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি যেমন— Artificial Intelligence (AI), Machine Learning (ML), Visual Computing, 5G-based Vehicle-to-Vehicle Communication (V2X)। এই প্রযুক্তিগুলির মাধ্যমে গাড়িটি নিজের রাস্তার অবস্থা বিশ্লেষণ করতে পারছে, বাধা চিহ্নিত করতে পারছে, বাধা এড়িয়ে যেতে পারছে। বাধার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলতে পারছে। WIRIN প্রকল্পের অংশ হিসেবে উইপ্রো তাদের অটোনোমাস সিস্টেম ও রোবোটিক্সের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েছে, আর IISc তাদের গবেষণাগত জ্ঞান ও ইনোভেশনের অভিজ্ঞতা এই গাড়ি তৈরিতে যোগ করেছে।
আরও পড়ুন- বাজাজ পালসার এনএস ১২৫ বনাম হিরো এক্সট্রিম ১২৫আর, মাইলেজ, দামের দিক থেকে কোনটি সেরা?
প্রকল্পের গবেষকরা জানিয়েছেন, এখনো উন্নয়নের কাজ চলছে। বর্তমানে তাঁরা ভারতীয় রাস্তাগুলির ভৌগোলিক মানচিত্র ও পরিবেশগত উপাদান বিশ্লেষণ করছেন, যাতে চালকবিহীন গাড়িটি ভবিষ্যতে বাস্তব রাস্তায় সম্পূর্ণ নিরাপদে চলতে পারে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এটি নির্দিষ্ট ক্যাম্পাস বা সংরক্ষিত এলাকায় চালানো হবে, তারপর ধীরে ধীরে সাধারণ রাস্তায় পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে।
আরও পড়ুন- হিরো স্প্লেন্ডার বনাম হোন্ডা শাইন: কোন বাইকটি বেশি সাশ্রয়ী? মাইলেজ পারফরমেন্সে এগিয়ে কে?
চালকবিহীন গাড়ি প্রকল্পের মাধ্যমে শিল্প ও শিক্ষার মধ্যে একটি মজবুত সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে। সেপ্টেম্বরে এমজি মোটর ইন্ডিয়া বেঙ্গালুরুর আরভি. কলেজের সঙ্গে অংশীদারিত্বে গিয়েছে। এই অংশীদারিত্ব বা চুক্তি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা ইলেকট্রিক ও অটোনোমাস গাড়ি প্রযুক্তির বাস্তব অভিজ্ঞতা পাচ্ছেন। এছাড়া, উইপ্রো ও IISc এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের প্রযুক্তি ও রোবোটিক্স গবেষণাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
Sri Sri Satyatmateertha Swamiji of Uttaradimath travelling in Driverless Car At RV College.Projected Funded by Wipro Engineering,Jointly Developed By Wipro,IISc & RV College Of Engineering Bengaluru...🙂👌👏
— Adarsh Hegde (@adarshahgd) October 27, 2025
Superb Technology. 🤘@anandmahindra@elonmusk@nikhilkamathcio . pic.twitter.com/m3khFWgEQU
বিশ্বজুড়ে যেখানে Tesla, Waymo, ও Baidu-এর মত কোম্পানিগুলি চালকবিহীন গাড়ি নিয়ে কাজ করছে, সেখানে ভারতের মাটিতে WIRIN প্রকল্প একটি গর্বের মুহূর্ত। এটি প্রমাণ করেছে যে দেশীয় প্রযুক্তি দিয়েই বিশ্বমানের উদ্ভাবন সম্ভব। এই চালকহীন গাড়ি শুধু প্রযুক্তির উন্নয়ন নয়, ভবিষ্যতের টেকসই ও নিরাপদ পরিবহণ ব্যবস্থার পথেও এক বড় পদক্ষেপ।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us