/indian-express-bangla/media/media_files/2025/11/02/how-to-earn-money-from-whatsapp-2025-11-02-10-48-49.jpg)
How to Earn Money from WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপ এখন উপার্জনেরও রাস্তা।
How to Earn Money from WhatsApp: আজকের ডিজিটাল যুগে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) শুধু চ্যাটিং বা ভিডিও কলের মাধ্যম নয়—এটি এখন এক ভালো মানের আয়ের রাস্তা (earning platform)। সামান্য দক্ষতা ও সঠিক পরিকল্পনা থাকলে আপনি এই অ্যাপ থেকেই প্রতিমাসে লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। নীচে জানুন এমন ৫টি সেরা উপায় যা আপনার হোয়াটসঅ্যাপকে বদলে দিতে পারে ইনকামের রাস্তায়।
১) হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস (WhatsApp Business) দিয়ে শুরু করুন নিজের ছোট ব্যবসা
ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ (WhatsApp Business App) এক আশীর্বাদ। আপনি যদি কাপড়, জুয়েলারি, হোম ডেকর, হ্যান্ডমেড পণ্য বা ফুড ডেলিভারির ব্যবসা চালান, তাহলে এই অ্যাপে নিজের প্রোডাক্ট ক্যাটালগ তৈরি করে সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পাঠাতে পারেন। গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলা, অর্ডার নেওয়া এবং পেমেন্ট লিংক পাঠানো—সবই সম্ভব এই জায়গা থেকে। যদি আপনার প্রোডাক্ট ভালো হয় এবং কাস্টমার সার্ভিস দ্রুত হয়, তবে মাসে ৫০,০০০ থেকে লক্ষ টাকার আয় সহজেই সম্ভব।
আরও পড়ুন- এই নভেম্বরেই বাজার কাঁপাতে আসছে ৫টি সেরা নতুন ফোন
২) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)– লিংক শেয়ার করে উপার্জন
অ্যামাজন (Amazon), ফ্লিপকার্ট (Flipkart), মিশো (Meesho)-র মত ই-কমার্স সাইটে এখন সহজেই অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দেওয়া যায়। আপনি পছন্দের প্রোডাক্টের লিংক তৈরি করে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) গ্রুপ বা ব্রডকাস্ট লিস্টে শেয়ার করুন। কেউ সেই লিংক থেকে কেনাকাটা করলে আপনি কমিশন পাবেন। যাঁদের কাছে বড় হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) নেটওয়ার্ক আছে বা বন্ধু-পরিচিতদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা বেশি, তাঁদের জন্য এটি দারুণ আয়ের সুযোগ।
আরও পড়ুন- এবার ফেস, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা স্ক্রিন লক দিয়েই রিস্টোর হবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, কীভাবে?
৩) ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing বা Social Promotion)
ছোট ব্যবসা ও নতুন স্টার্টআপগুলো আজকাল তাদের প্রোডাক্ট প্রচারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটার খোঁজে। আপনি যদি হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) গ্রুপ বা কমিউনিটি ম্যানেজমেন্টে দক্ষ হন, তবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রমোশনাল কনটেন্ট শেয়ার করে আয় করতে পারেন। কোনও ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই আপনার মোবাইল নম্বর ও নেটওয়ার্কই হতে পারে আয়ের হাতিয়ার।
আরও পড়ুন- মাত্র ৬,৯৯৯ টাকায় ৫০MP ক্যামেরা ও ৫০০০mAh ব্যাটারি-সহ দুর্দান্ত ফোন!
৪) হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল (WhatsApp Channel)– নিজের ব্র্যান্ড বানান
মেটার (Meta)-র নতুন ফিচার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল (WhatsApp Channels)-এর মাধ্যমে এখন আপনি নিজের বিষয়ভিত্তিক চ্যানেল খুলতে পারেন। যেমন- টেকনোলজি, ফিটনেস, নিউজ, এডুকেশন বা রেসিপি। যদি আপনার কনটেন্ট ভালো হয় এবং হাজার হাজার ফলোয়ার থাকে, তাহলে ব্র্যান্ডগুলো আপনার সঙ্গে স্পনসরড পোস্টের জন্য যোগাযোগ করবে।
আরও পড়ুন- উইপ্রো ও IISc যৌথভাবে তৈরি করল ভারতের প্রথম চালকবিহীন গাড়ি!
৫) অনলাইন কোর্স ও ট্রেনিং বিক্রি
আপনার যদি কোনও বিষয়ে দক্ষতা থাকে—যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ভাষা শেখানো, বা কুকিং—তাহলে আপনি হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) গ্রুপের মাধ্যমে কোর্স বিক্রি করতে পারেন। ভিডিও লেকচার, পিডিএফ নোটস অথবা অ্যাসাইনমেন্ট শেয়ার করে নিজের অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করুন। ছাত্রসংখ্যা বাড়লে আপনার মাসিক আয় লক্ষ টাকার ঘর ছুঁয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- ঘরের কাজ করানো, কথা বলার জন্য কাউকে চাই? চাহিদা মেটাবে এই রোবট!
যেটা করবেন, তা হল- WhatsApp Web দিয়ে সহজে গ্রাহক ম্যানেজ করুন, Quick Reply Templates ব্যবহার করলে সময় বাঁচবে, Broadcast Lists-এর মাধ্যমে প্রমোশনাল মেসেজ পাঠান, Payment Integration (UPI/QR) রাখুন যেন গ্রাহক সহজে টাকা পাঠাতে পারে। স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট থাকলেই এখন আয়ের রাস্তা খুলে যায়। শুধু চ্যাটিং নয়, সঠিকভাবে ব্যবহার করলে WhatsApp-ই হতে পারে আপনার পরবর্তী আয়ের প্ল্যাটফর্ম। তাই আজই শুরু করুন। আর আপনার হোয়াটসঅ্যাপকে ব্যবসাকে দিন আরও এগিয়ে!
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us