/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/19/electric-bill-2025-08-19-12-08-39.jpg)
Electric Bill: জেনে নিন বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়।
Electric Bill: প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল হাতে এলেই চিন্তায় পড়ে যান? গরম যতই বাড়ছে, ফ্যান-এসি চালানো ছাড়া উপায় নেই। এর সঙ্গে টিভি, ফ্রিজ, মোটর—সব মিলে খরচ আকাশছোঁয়া। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি ছোট পরিবর্তন আনলেই প্রতিমাসে প্রায় ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব। এতে শুধু খরচই কমবে না, পরিবেশও রক্ষা পাবে।
এনার্জি-এফিশিয়েন্ট ফ্যান ব্যবহার
এজন্য এনার্জি-এফিশিয়েন্ট ফ্যান ব্যবহার করুন। পুরোনো ৭৫–৮০ ওয়াট সিলিং ফ্যান প্রতিদিন ২০ ঘণ্টা চললে মাসে প্রায় ৪৮ ইউনিট খরচ হয়। তিনটি ফ্যান মিলিয়ে খরচ দাঁড়ায় ১৪৪ ইউনিট। এগুলোকে BLDC টেকনোলজির এনার্জি-এফিশিয়েন্ট ফ্যানে বদলালে মাসে ৮৭ ইউনিট পর্যন্ত সাশ্রয় সম্ভব। খরচ উঠে আসবে মাত্র ৬–৮ মাসেই।
আরও পড়ুন- গুগলের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট ২০ আগস্ট! Pixel 10 সিরিজের সঙ্গে আর কী কী? জানুন এক ক্লিকেই
এলইডি আলো ব্যবহার করুন। এখনও যদি বাড়িতে টিউবলাইট ব্যবহার হয়ে থাকে, তবে বদলে ফেলুন। ৪০ ওয়াট টিউবলাইটের বদলে ১৮ ওয়াটের এলইডি টিউব ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে। ধরুন, চারটি টিউবলাইট প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা জ্বললে মাসে প্রায় ২৬ ইউনিট বিদ্যুৎ কম খরচ হবে।
আরও পড়ুন- ভারতের বাজারের সেরা ১০ ইনভার্টার, এখন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যাকে বলুন বাই বাই
জল তোলার মোটরের যত্ন নিন। অনেক সময় মোটরের কার্যক্ষমতা কমে যায় ধুলো বা কাদা জমার কারণে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। নিয়মিত মোটর পরিষ্কার করলে অন্তত ১০ ইউনিট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। পাইপলাইনে লিক থাকলে সেটিও দ্রুত সারিয়ে নিন, তাতেও খরচ বাঁচবে।
আরও পড়ুন- গত এক বছরে হুহু করে বাড়ল সম্পত্তি!পিছনে ফেলে দিলেন মুকেশ আম্বানিকেও
গরমে এসি না চালিয়ে উপায় নেই। তবে সামান্য যত্নেই খরচ অনেকটা কমানো যায়। প্রতি ১৫ দিনে একবার এসির কনডেনসার কয়েল পরিষ্কার করুন। তাপমাত্রা ২৪° সেলসিয়াসে রাখুন। ঘর সিল করে রাখুন যাতে ঠান্ডা বাইরে বেরিয়ে না যায়। এই নিয়ম মানলে বিদ্যুৎ খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী মোদীর কনভয়ে ১২ কোটির বুলেটপ্রুফ গাড়ি! বৈশিষ্ট্য জানলে চমকে যাবেন
অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র সরান। আজকাল ফ্রিজ এবং টিভির জন্য আলাদা ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারের প্রয়োজন নেই। অথচ এগুলো চালু থাকলে মাসে ৩০–৪৫ ইউনিট পর্যন্ত খরচ বাড়িয়ে দেয়। তাই অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বাদ দিন।
ফ্যান্টম লোড বন্ধ করুন। চার্জার, সেট-টপ বক্স বা টিভির প্লাগের সুইচ চালু থাকলে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়। ব্যবহার না করলেও এই খরচটা হয়। একে বলে ফ্যান্টম লোড। মাসে এতে ৫–১০ ইউনিট নষ্ট হয়। সমাধান? ব্যবহারের পর প্লাগের সুইচ অফ করে দিন।
বিদ্যুৎ দফতর পরামর্শ দিয়েছে, বছরে অন্তত একবার নিজের বাড়ির বিদ্যুৎ ব্যবহারের অডিট করান। এতে বোঝা যাবে কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে। আজকের দিনে বিদ্যুৎ বাঁচানো শুধু খরচ কমানোর জন্য নয়, পরিবেশের জন্যও জরুরি। BLDC ফ্যান, LED আলো, এসির যত্ন, মোটরের রক্ষণাবেক্ষণ, ফ্যান্টম লোড কমানো—এই সহজ পরিবর্তনগুলো আনলেই প্রতিমাসে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব। মনে রাখবেন, বিদ্যুৎ বাঁচানো মানেই টাকা বাঁচানো আর পৃথিবীকে বাঁচানো।