New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/02/military-surveillance-satellites-2025-07-02-12-51-03.jpg)
Military Surveillance Satellites: ভারতের মহাকাশে নজরদারি।
Military Surveillance Satellites: অপারেশন সিন্দুর থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারত ৫২টি সামরিক নজরদারি উপগ্রহ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন জেনারেশনের উপগ্রহগুলি দিন-রাত নজরদারিতে সক্ষম হবে, উন্নত রাডার ও AI-চালিত প্রযুক্তি তাতে থাকবে।
Military Surveillance Satellites: ভারতের মহাকাশে নজরদারি।
Military Surveillance Satellites: সীমান্তে প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ ও প্রযুক্তিগত যুদ্ধের যুগে প্রবেশ করে ভারত এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল। কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত ৫২টি নতুন সামরিক নজরদারি উপগ্রহ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে, যার মাধ্যমে দেশীয় সীমান্ত ও উপকূলরেখার ওপর দিন-রাত নজরদারি করা সম্ভব হবে।
অপারেশন সিন্দুর ছিল একটি সামরিক মাইলফলক। এই অভিযানে উপগ্রহ-ভিত্তিক নজরদারি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রতিরক্ষা বাহিনী স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করেছে। এই অভিযানে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম গোয়েন্দা তথ্য, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র চলাচলের বিশ্লেষণ, এবং সুরক্ষা বাহিনীর পদক্ষেপ ছিল অত্যন্ত কার্যকর।
আরও পড়ুন- কতটা জোরে শব্দ হতে পারে মৃত্যুর কারণ? ভয়ঙ্কর এই তথ্য জানেন না ৯৯% মানুষই
২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা SBS-III (Space-Based Surveillance III) প্রোগ্রামের জন্য ৩.২ বিলিয়ন ডলারের অনুমোদন দিয়েছে। এই কর্মসূচির অধীনে প্রথম ২১টি উপগ্রহ তৈরি ও উৎক্ষেপণ করবে ইসরো। বাকি ৩১টি উপগ্রহ তৈরি ও পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে বেসরকারি সংস্থাগুলির ওপর। ডিফেন্স স্পেস এজেন্সি সমস্ত নজরদারি অপারেশনের তত্ত্বাবধানে থাকবে।
আরও পড়ুন- নোংরা চিরুনি ঝটপট পরিষ্কারের টিপস! জলের দরকার নেই, এই ঘরোয়া টিপসেই চিরুনি করবে ঝকমক
নতুন এই উপগ্রহগুলিতে থাকবে রাডার ইমেজিং ক্যাপাবিলিটি, যা মেঘ, বৃষ্টি বা রাতে কাজ করতে সক্ষম। এছাড়া থাকবে AI ইনটেলিজেন্স। যা শত্রুর গতিবিধি বিশ্লেষণ করে অটোমেটিক সতর্ক করে দেবে। রিয়েল টাইম ট্রান্সমিশন থাকবে। যা সরাসরি সেনা কন্ট্রোল রুমে ডেটা পাঠাবে। জিও ফেন্সিং অ্যালার্ট সিস্টেম অনুযায়ী কেউ সীমান্ত পার করলে তৎক্ষণাৎ অ্যালার্ট করা হবে।
আরও পড়ুন- বর্ষায় চুল পড়া বেড়েছে? মহিলাদের জন্য এই ঘরোয়া টিপসে চুল পড়া আটকান সহজেই
এই নজরদারির মূল ফোকাস থাকবে ভারত-চীন ও ভারত-পাক সীমান্ত। সিয়াচেন, লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশের সংবেদনশীল এলাকা থাকবে নজরদারিতে। ভারত মহাসাগর এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে চীনের কার্যকলাপ নজরদারির আওতায় থাকবে। পাকিস্তানের সঙ্গে ড্রোন এবং স্যাটেলাইট সহায়তার শিকড় জোরদার করা হবে।
আরও পড়ুন- আঁচিল বা তিলের ওপর চুল গজিয়েছে? কাটবেন না! ঘরোয়া উপায়ে করুন এই সমস্যার সমাধান
২০২৬ সালের মধ্যেই প্রথম ধাপে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ হবে বলে জানিয়েছেন এক ঊর্ধ্বতন কর্তা। তিন মাসের মধ্যেই ভারত ‘মিলিটারি স্পেস ডকট্রিন’ প্রকাশ করবে যা মহাকাশে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দিকনির্দেশ করবে। এটি চিনের মতো দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মহাকাশ প্রতিরক্ষা প্রতিযোগিতায় ভারতের অবস্থান শক্ত করবে।
ভারতের এই পদক্ষেপ কেবলমাত্র প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, বরং দেশের ভূ-রাজনৈতিক নিরাপত্তার এক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। যেখানে উপগ্রহ নজরদারি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং দেশীয় সক্ষমতা মিলিয়ে গঠিত হচ্ছে এক নতুন যুগের প্রতিরক্ষা বলয়।