New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/28/ins-tamal-launch-date-2025-06-28-14-53-20.jpg)
সমুদ্রের বুকে ভারতের গর্জন!
INS Tamal Indian Navy: সমুদ্রের বুকে গর্জন ছুঁড়ে আগামী ১ জুলাই, ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন 'স্টিলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট INS Tamal'
সমুদ্রের বুকে ভারতের গর্জন!
INS Tamal Indian Navy: রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের আবহে ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তিতে আরও শক্তিশালী করা প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এবার সমুদ্রের বুকে গর্জন ছুঁড়ে আগামী ১ জুলাই, ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন 'স্টিলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট INS Tamal'। ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও অত্যাধুনিক স্টিলথ প্রযুক্তিতে সজ্জিত এই যুদ্ধজাহাজ রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম এবং শত্রুর S-500 প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।
এই যুদ্ধজাহাজ পাক সীমান্তঘেঁষা আরব সাগরে মোতায়েন হবে, যেখান থেকে করাচির দূরত্ব খুব কম। INS Tamal, রাশিয়া-ভারত কৌশলগত সহযোগিতার প্রতীক, এই স্টিলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট শত্রু দেশের নজর এড়িয়ে টার্গেটে নির্ভূল আঘাত হানতে সক্ষম। এতে ব্রহ্মোস ছাড়াও থাকবে কামোভ হেলিকপ্টার, সাবমেরিন-বিরোধী অস্ত্র, টর্পেডো সিস্টেম, এবং উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা।
এই প্রকল্পটি ২১,০০০ কোটি টাকার চুক্তির অংশ, যার আওতায় ৪টি কিরভাক-III ক্লাসের যুদ্ধজাহাজ নির্মিত হচ্ছে। INS Tamal এর নির্মাণে ২৬ শতাংশ দেশীয় উপকরণ ব্যবহার হয়েছে। একদিকে আরব সাগর, অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগর। অন্যদিকে, পাকিস্তান এবং চিনের মতো দুটি প্রতিকূল দেশের সাথে স্থল সীমান্ত ভারতের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে।
এই সমস্ত আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে, ভারত তার নৌবাহিনীর শক্তিকে আরও বাড়ানোর দিকে বিশেষ উপর জোর দিচ্ছে এবং এই ধারাবাহিকতায়, ১ জুলাই, তারিখে, দেশের নতুন স্টিলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট আইএনএস তমাল ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
আইএনএস তমাল রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে তৈরি কিরভাক-III শ্রেণীর চারটি স্টিলথ ফ্রিগেটের মধ্যে একটি, যার দৈর্ঘ্য ১২৫ মিটার এবং ওজন প্রায় ৩৯০০ টন। এটি ভারত এবং রাশিয়ার বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে। আইএনএস তমাল এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে শত্রু রাডার এটিকে কোন ভাবেই সনাক্ত করতে না পারে। এই যুদ্ধজাহাজটি অত্যাধুনিক ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত থাকবে, যার পাল্লা ২৯০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার। থাকবে আধুনিক হেলিকপ্টার ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। যার সাহায্যে এটি সাবমেরিন এবং আকাশপথে হামলা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।