Lie detection science: মিথ্যা— এমন একটি ব্যাপার, যা ব্যক্তিগত জীবন থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি পর্যন্ত ছায়া ফেলেছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মিথ্যা কথা ধরা যাবে কীভাবে? আর সেই উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছে আধুনিক বিজ্ঞান। চোখের পলক, কণ্ঠস্বর, এমনকী ভাষা পরিবর্তন করে বলার মধ্য দিয়েও এখন মিথ্যা ধরা সম্ভব হচ্ছে।
মিথ্যা শনাক্ত করার পুরনো পদ্ধতি
মিথ্যা শনাক্ত করতে একসময় ব্যবহার করা হত পলিগ্রাফ পরীক্ষা। এতে মনিটর করা হত হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ এবং ঘামের মাত্রা। তবে আজকের যুগে মিথ্যাবাদীরা পলিগ্রাফকেও ফাঁকি দিতে শিখে গেছে। তাই বিজ্ঞানীরা খুঁজছেন আরও নিখুঁত উপায়।
আরও পড়ুন- ঘরের তাপমাত্রা থেকে কত কমে এসি চালানো উচিত? ৯৯ % মানুষই বিদ্যুৎ বাঁচানোর টপ সিক্রেট জানেন না
চোখের মাধ্যমে মিথ্যা শনাক্তকরণ
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মিথ্যা বলার সময় ব্যক্তির চোখের মণি প্রসারিত হয়। কারণ মিথ্যা বলতে মস্তিষ্ককে বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে চোখের মধ্যে এই পরিবর্তন ধরা পড়ে। গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন ভ্যালেন্টিন ফাউচার ও আঙ্কে হুকহফ।
আরও পড়ুন- হিরো ওলাকে ১০ গোল! অবিশ্বাস্য মাইলেজ, অনবদ্য পারফরম্যান্সে ঝড় তুলল এই ই স্কুটার
মস্তিষ্কের সাড়া এবং শব্দের পরিবর্তন
নিউরো সায়েন্টিস্টরা দেখেছেন, সত্য বলার সময় এবং মিথ্যা বলার সময় মস্তিষ্কের রেসপন্স একরকম থাকে না। মিথ্যা বললে নির্দিষ্ট কিছু অংশ বেশি সক্রিয় হয়। আবার, কণ্ঠস্বরে কম্পন বা অস্বাভাবিক স্পিডও দেখা দেয়। যা আসলে মিথ্যার ইঙ্গিত।
আরও পড়ুন- মধ্যবিত্তের জ্যাকপট! রেঞ্জ, মাইলেজ, ডিজাইন, ফিচার- কোনও তুলনাই নেই এই ই স্কুটারের
ভাষা বদলালেই ধরা পড়ে মিথ্যা!
ইসরায়েলের নেগেভ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় মিথ্যা বলা আরও কঠিন। এতে মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং মানুষের হাবভাব বদলে যায়, যা শনাক্ত করা সহজ হয়।
আরও পড়ুন- এসি মেসিন নিয়ে বিরাট খবর! কতক্ষণ একটানা চললে নেই কোনও বিপদের সম্ভাবনা?
ডিপফেক: নতুন মিথ্যার চেহারা
আজকের যুগে শুধু কথার মিথ্যা নয়, ভিডিওর মিথ্যাও সমস্যা তৈরি করছে। ডিপফেক প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে এমন ভিডিও, যা বাস্তবে ঘটেনি কিন্তু দেখতে পুরোপুরি বাস্তব। ফলে চোখে দেখা দৃশ্যও কখন কখনও মিথ্যে হতে পারে।