Origin of gold: পৃথিবীতে সোনা এল কোথা থেকে? অবশেষে সেই রহস্য আবিষ্কৃত হল। বিশেষজ্ঞদের আশা, তাতে অনেকেই ধনী হতে পারেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর কেন্দ্রে সোনা এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতু রয়েছে। প্ল্যাটিনাম, প্যালাডিয়াম, রোডিয়ামের মত এই সব মূল্যবান ধাতু ক্রমশ ওপরের স্তরে উঠে আসছে। বিজ্ঞানীরা এই ব্যাপারে হাওয়াইয়ের আগ্নেয়গিরির শিলা অধ্যয়ন করে জানতে পেরেছেন যে এই ধাতুগুলো উল্কাপিণ্ড বা পৃথিবীর আবরণের স্তরের নয়। এগুলো আসলে পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে উঠে এসেছে। এই সংক্রান্ত গবেষণা নেচার জার্নালে প্রকাশ করেছেন জার্মানির গোটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী নীলস মেসলিং এবং ম্যাথিয়াস উইলবোল্ড।
আরও পড়ুন- রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে? সপ্তাহে ৩ দিন খান এই ৩ সবজি
পৃথিবীর কেন্দ্রে প্রচুর সোনা মজুত আছে
পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলটি রয়েছে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩,০০০ কিলোমিটার নীচে। সেখানে সোনা এবং অন্যান্য ভারী ধাতু মজুত আছে। প্রাপ্ত তথ্য থেকে বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর মূল অংশে প্রচুর সোনা মজুত আছে। যা আছে, সেটা ভূপৃষ্ঠে ছড়িয়ে দেওয়া হলে প্রতিটি মহাদেশ ৫০ সেন্টিমিটার পুরু সোনার স্তরে ঢেকে যেতে পারে। ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে, পৃথিবী যখন তৈরি হয়েছিল, সেই সময় ধাতুগুলো পৃথিবীর মূল অংশে জমা হয়েছিল। সেই সময় ভারী ধাতুগুলো পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে চলে গিয়েছিল। সেই কারণে বাইরের স্তরগুলোতে সোনা বা মূল্যবান ধাতুর ঘাটতি ছিল। আগে মনে করা হত যে, ধাতুর ভাণ্ডার ভূ-পৃষ্ঠ থেকে পুরোপুরি আলাদা। কিন্তু, এখন সেই ভাবনাও ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন- ভিটামিন বি৬ অতিরিক্ত সেবনে হতে পারে স্নায়ুর ক্ষতি! জানুন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ
গবেষকরা যা পেয়েছেন
গবেষকরা হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের আগ্নেয়গিরির লাভার নমুনায় রুথেনিয়াম নামে এক ধাতুর বিশেষ আইসোটোপ খুঁজে পেয়েছেন। যা ইঙ্গিত দিয়েছে যে ওই ধাতু পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল থেকে উঠে এসেছে। ল্যাবরেটরির নতুন পরীক্ষায় তা ধরা পড়েছে। নিলস মেলসিং নামে এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, সোনা এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতু পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল থেকে ক্রমশ ভূ-পৃষ্ঠে উঠে আসছে।
আরও পড়ুন- আগামী ৩ মাস প্রতিদিন ঘি দিয়ে কফি খান, কী হবে? জানুন বিশেষজ্ঞের মত
এই প্রক্রিয়ায় কোর-ম্যান্টেল প্রান্ত থেকে উত্তপ্ত শিলাগুলি ভূ-পৃষ্ঠে উঠে আসে। তৈরি করেছে হাওয়াইয়ের মত আগ্নেয়গিরির দ্বীপ। ম্যাথিয়াস উইলবোল্ডের মতে, লক্ষ লক্ষ বছর আগে ভূগর্ভ থেকে প্রচুর পরিমাণে শিলা ভূপৃষ্ঠে পৌঁছেছিল। তার ফলেই তৈরি হয়েছিল এই দ্বীপগুলো। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, রুথেনিয়ামের মত আইসোটোপগুলো কোর এবং ম্যান্টেলের মধ্যে শিলাখণ্ডের গতিবিধি ট্র্যাক করতে কাজে লাগবে। এমনিতে পৃথিবীর কেন্দ্রে পৌঁছনো অসম্ভব। কিন্তু, ওই সব শিলাখণ্ডের গতিবিধি ভূতত্ত্ব এবং গ্রহবিজ্ঞানকে নতুন দিকনির্দেশ করতে পারে। যা অন্যান্য গ্রহ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে বলেই ধারণা বিজ্ঞানীদের।