/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/cats-2025-08-20-14-31-12.jpg)
আপনি কি ঘন ঘন রেফ্রিজারেটর বন্ধ করেন?
Refrigerator Tips: আপনি কি ঘন ঘন রেফ্রিজারেটর বন্ধ করেন? বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে গিয়ে বিশাল ক্ষতি করবেন না। রেফ্রিজারেটর বারবার বন্ধ বা চালু করা উচিত নয়। এর ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় তো হবেই না বরং আপনার রেফ্রিজারেটরের ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুন- ভারতের বাজারে এবার প্যানাসনিক স্মার্ট টিভি, ফিচার দেখে আনন্দে আটখানা ক্রেতারা
বিদ্যুতের সাশ্রয় করতে মানুষজন নানান উপায়ের সন্ধান করে থাকেন। সেই তালিকায় অনেক সময় রেফ্রিজারেটর চালু-বন্ধের বিষয়ওটিও আসে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বারবার ফ্রিজ বন্ধ করলে উল্টে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটরে অটো পাওয়ার কাট ফিচার থাকে। ফ্রিজ যথেষ্ট ঠান্ডা হলে কম্প্রেসার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়, ফলে বিদ্যুৎ খরচও কম হয়। কিন্তু ব্যবহারকারীরা যদি নিজেরা ঘন ঘন ফ্রিজ বন্ধ করেন, তবে কম্প্রেসারের উপর বাড়তি চাপ পড়ে এবং ফ্রিজের কুলিং সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রেফ্রিজারেটরে কিছু থাকুক বা না থাকুক, এটিকে বারবার চালু ও বন্ধ করা উচিত নয়। বিশেষ করে বর্ষাকেল অনেকেই ফ্রিজ বন্ধ করে দেন, কিন্তু এতে ভিতরে রাখা খাবার নষ্ট হতে পারে এবং দুর্গন্ধও ছড়াতে পারে।
আরও পড়ুন-কীভাবে অনলাইনে বিএসএনএলের সিম আপডেট করবেন? বাড়িতেই পান ডেলিভারি
এছাড়াও ফ্রিজের দরজা বারবার খোলা বা বন্ধ করাও ক্ষতিকর। এতে ভেতরের ঠান্ডাভাব নষ্ট হয়ে যায়, কম্প্রেসার দীর্ঘক্ষণ চলে এবং বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যায়। এমনকি দরজা সঠিকভাবে বন্ধ না হলে ফ্রিজের কুলিং সিস্টেমের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
তাহলে কখন রেফ্রিজারেটর বন্ধ করা উচিত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রয়োজন নেই ক্রমাগত ফ্রিজ বন্ধ করার। বরং প্রতি দুই সপ্তাহে একবার ফ্রিজ ডিফ্রস্ট করা উচিত। এতে বরফ জমে না, ফ্রিজ পরিষ্কার থাকে এবং খাবারও স্বাস্থ্যকর অবস্থায় সংরক্ষিত হয়।
অর্থাৎ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নামে রেফ্রিজারেটর বারবার বন্ধ না করে, সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ভালো রাখা যায়।