/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/29/best-smartphones-2025-07-29-15-07-19.jpg)
Smartphone: স্মার্টফোন।
Charger of smartphone: আজকের দিনে যখন নতুন ফোন কেনা হয়, তখন আর আগের মতো বাক্স খুললেই চার্জার ও ইয়ারফোন দেখা যায় না। বিশেষ করে আইফোন আর স্যামসাং-এর প্রিমিয়াম স্মার্টফোন–এ চার্জার পাওয়া যায় না। অনেকেই ভাবেন, এ সিদ্ধান্ত কি সত্যিই পরিবেশ বাঁচানোর জন্য, নাকি অন্য কোনও কারণ আছে? চলুন বিস্তারিত জানি।
প্রথমে অ্যাপল ২০২০ সালে iPhone 12 সিরিজ–এ চার্জার বাদ দেওয়া শুরু করে। তাদের যুক্তি ছিল, বাজারে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি চার্জার রয়েছে। নতুন ফোনের সঙ্গে প্রতিবার চার্জার দিলে অযথাই বর্জ্য বাড়বে। পরে স্যামসাংও একই পথ অনুসরণ করে। কোম্পানিগুলি দাবি, এর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক বর্জ্য কমবে এবং পরিবেশ সুরক্ষিত হবে।
আরও পড়ুন- কম বাজেট, হাই পারফরম্যান্স! ৫০,০০০ টাকার মধ্যে কোন ল্যাপটপগুলি পড়াশোনা, বিনোদনে সেরা?
চার্জার বাদ দিলে ফোনের বাক্স ছোট হয়। এতে একসঙ্গে বেশি ফোন বহন করা যায়, ফলে শিপিং খরচ কমে এবং কার্বন নিঃসরণও হ্রাস পায়। কোম্পানিগুলি এটাকে 'ইকো-ফ্রেন্ডলি পদক্ষেপ' হিসেবে তুলে ধরে। তবে বাস্তবতা হল—এই সিদ্ধান্তে কোম্পানিগুলির লাভই বেশি। আলাদাভাবে আসল চার্জার কিনতে গেলে আইফোন ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত খরচ হয় ২,০০০-২,৫০০ টাকা, আর স্যামসাং ফাস্ট চার্জারের দাম ১,৫০০ টাকারও বেশি। অর্থাৎ, গ্রাহককে আলাদা টাকা খরচ করিয়ে কোম্পানি আরও বেশি আয় করছিল।
আরও পড়ুন- ChatGPT-তে ভুলেও এই সাত কাজ করবেন না, ভয়ঙ্কর বিপদ আসতে পারে আপনার জীবনে
দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তি
আরও পড়ুন- জিও এয়ারটেলের নজরকাড়া প্রতিযোগিতা, ৫০০ টাকার কমে সেরা বেনিফিট দিচ্ছে কোন সংস্থা?
আজকের দিনে বিভিন্ন ফোন বিভিন্ন ওয়াট–এর চার্জিং নেয়। কোম্পানিগুলি বলে, একরকম চার্জার সব ফোনের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই ব্যবহারকারীদের আলাদাভাবে কিনতে হয়। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গ্রাহকের সুবিধার চেয়ে কোম্পানির ব্যবসায়িক কৌশলের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনিতে যদি কারও কাছে পুরোনো সামঞ্জস্যপূর্ণ চার্জার না থাকে, তবে নতুন চার্জার কিনতেই হবে। ফলে ফোনের দাম ঘোষিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি পড়ে। এককথায়, শেষ পর্যন্ত ক্ষতির মুখে পড়েন গ্রাহকরা।
আরও পড়ুন- জিএসটি কমার পর আরও সাশ্রয়ী হল জনপ্রিয় সেরা বাইক, এক লাখের কমে এত অপশন?
অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের মত প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডগুলি পরিবেশ রক্ষার কথা বলে চার্জার বাদ দিয়েছে। কিন্তু এর আড়ালে রয়েছে কোম্পানির অতিরিক্ত মুনাফার কৌশল। পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি তাদের আয়ের উৎসও বেড়েছে। গ্রাহকদের জন্য এই পদক্ষেপ অতটা সুবিধাজনক না হলেও, ধীরে ধীরে এটি স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির নতুন ট্রেন্ড হয়ে উঠছে বলেই দেখা যাচ্ছে।