Top 10 Military Drones Technology Countries: বিশ্বের সবচেয়ে 'মারাত্মক ড্রোন'! বদলে দিতে পারে যে কোন দেশের মানচিত্র। তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশও। নাম জানলে চমকে যাবেন।
আরও পড়ুন- বুক কাঁপিয়ে দেবে ভয়ঙ্কর এই জালিয়াতি! অত্যাধুনিক DMV স্ক্যাম, কীভাবে গায়েব হবে গচ্ছিত অর্থ, জানতেই পারবেন না
আজকের দিনে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যাপক হারে বাড়ছে ড্রোনের ব্যবহার। ভয়াবহ এই ড্রোন যুদ্ধের সংজ্ঞা সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছে। আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নিন কোন ১০টি দেশ বর্তমানে সামরিক ড্রোন প্রযুক্তিতে তামাম বিশ্বকে তাক লাগাবে।
আজকের দিনে যুদ্ধ কেবল 'বন্দুক-বোমা'তে সীমিত নেই। ব্যাপক হারে বাড়ছে 'ড্রোন'-এর ব্যবহার। এখন সামরিক ড্রোনগুলি কেবল শত্রুর উপর নজর রাখার জন্যই ব্যবহৃত হয় না বরং সরাসরি তাদের আক্রমণ করার জন্য আধুনিক অস্ত্র হয়ে উঠেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে ইরান ও ইজরায়েলের সংঘাত সর্বত্র ড্রোন তার ভয়াবহ শক্তির প্রমাণ দিয়েছে। আমেরিকা, তুরস্ক এবং পোল্যান্ডের মতো দেশগুলি প্রযুক্তিগত দৌড়ে এগিয়ে, আসুন জেনে নেওয়া যাক সামরিক ড্রোন প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা ১০টি দেশের তালিকা।
আরও পড়ুন- ২,৮৯৪ টাকাতেই মিলছে স্বপ্নের আইফোন,ভয়ঙ্কর ছাড়ে নিন স্বপ্নের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক ড্রোন কার হাতে? তালিকায় ভারত কোথায় আছে দেখুন
বিশ্বজুড়ে ড্রোন প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত যুদ্ধের চেহারা বদলে দিচ্ছে। নজরদারি থেকে শুরু করে আক্রমণ, এমনকি গুপ্তচরবৃত্তি—সবক্ষেত্রেই সামরিক ড্রোন এখন গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠেছে। সামরিক ড্রোন শক্তির বিচারে কোন দেশ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে? জেনে নিন বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকা, যার মধ্যে রয়েছে ভারতও।
শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক ড্রোন রয়েছে আমেরিকার হাতে। মার্কিন সেনাবাহিনীতে রয়েছে প্রায় ১৩,০০০ সামরিক ড্রোন, যার মধ্যে রয়েছে MQ-9 Reaper, MQ-1C Gray Eagle, RQ-11 Raven ও RQ-4 Global Hawk-এর মতো হাই-টেক ড্রোন। নজরদারি, আক্রমণ এবং গুপ্তচরবৃত্তিতে এই ড্রোনগুলিকে ব্যবহার করা হয়।
দ্বিতীয় স্থানে তুরস্ক
খুব কম সময়েই ড্রোন প্রযুক্তিতে দুর্দান্ত অগ্রগতি করেছে তুরস্ক। Bayraktar TB2-এর মত সবচেয়ে শক্তিশালী ড্রোন এখন আন্তর্জাতিক বাজারেও জনপ্রিয়। স্বনির্ভর প্রযুক্তির জোরেই তুরস্ক বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক ড্রোন প্রযুক্তির অধিকারী।
তৃতীয় পোল্যান্ড
প্রায় ১,০০০ সামরিক ড্রোন রয়েছে পোল্যান্ডের কাছে। 'ওয়ারমেট' নামের আত্মঘাতী ড্রোন যুদ্ধক্ষেত্রে মারাত্মক ভূমিকা পালন করে। এছাড়া নজরদারির জন্য রয়েছে অরলিক এবং অরবিটার।
রাশিয়ার নজরদারি ও আক্রমণ ক্ষমতা
রাশিয়ার হাতে রয়েছে Orlan-10 ও ইসরায়েলি Searcher MK II ড্রোন। রাশিয়া বর্তমানে দূরপাল্লার ড্রোন তৈরিতে বিশেষ নজর দিয়েছে। যাতে যুদ্ধে প্রযুক্তিগত ক্ষমতাকে আরও বৃদ্ধি করা যায়।
আরও পড়ুন- চোখের পলকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে ইরানের সবচেয়ে সুরক্ষিত পরমাণুকেন্দ্র! আমেরিকার 'বাংকার বাস্টার' বোমার শক্তিতে বুক কেঁপে উঠবে
জার্মানি – ছোট কিন্তু কার্যকর ড্রোন বাহিনী
জার্মানির হাতে রয়েছে প্রায় ৬৭০টি ড্রোন, যা সীমিত আক্রমণ ও নজরদারিতে ব্যবহৃত হয়। আন্তর্জাতিক সামরিক মিশনেও জার্মান ড্রোন ব্যবহৃত হচ্ছে।
তালিকায় ভারতও
ভারতের সামরিক ড্রোন সংখ্যা ৬২৫। হেরন-১ এবং স্পাইলাইট-এর মতো ইসরায়েলি ড্রোন ছাড়াও দেশ এখন ঘরোয়া প্রযুক্তিতে ড্রোন নির্মাণে জোর দিচ্ছে। লক্ষ্য, বিদেশি ড্রোনের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আনা।
ফ্রান্সের মিশ্র প্রযুক্তি
ফ্রান্সের হাতে রয়েছে ৫৯১টি সামরিক ড্রোন। থ্যালেসের স্পাই’রেঞ্জার, সাফরান প্যাট্রোলার এবং মার্কিন MQ-9 Reaper বাহিনিকে বিশেষ শক্তিশালী করে তুলেছে।
অস্ট্রেলিয়ার ড্রোন প্রযুক্তি
৫৫৭টি ড্রোন রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার হাতে। মাইক্রো ড্রোন PD-100 ব্ল্যাক হর্নেট থেকে শুরু করে বড় MQ-9 Reaper, সব ধরনের ড্রোনই রয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত সুরক্ষা
দক্ষিণ কোরিয়ার হাতে রয়েছে ৫১৮টি ড্রোন, যা সীমান্ত নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারিতে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে অনেক ড্রোন দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি।
ফিনল্যান্ডের কৌশলগত ড্রোন
ফিনল্যান্ডের হাতে রয়েছে ৪১২টি সামরিক ড্রোন, যার মধ্যে রয়েছে অরবিটার ২-বি ও রেঞ্জার ড্রোন। এগুলি মূলত সীমান্ত সুরক্ষা ও নজরদারিতে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন- BIG BREAKING! iPhone 17 দাম প্রকাশ্যে, iPhone 17 Air, iPhone 17 Pro, iPhone 17 Pro Max- এ থাকছে 'রাজার ফিচার'