New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/31/gdjs2WEIgDqJT9xF9kV3.jpg)
Purba Bardhaman News: পূর্বস্থলীর ভোটার তালিকায় বাংলাদেশি ভোটারদের নাম।
Purba Bardhaman News-Purbasthali:ভোটার লিস্ট 'পরিস্কারের' কাজে গতি আনতে দলের বিধায়ক-পুরপ্রতিনিধি-সহ অন্য নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Purba Bardhaman News: পূর্বস্থলীর ভোটার তালিকায় বাংলাদেশি ভোটারদের নাম।
2 Bangladeshi voters found in voter list of Purbasthali in Purba Bardhaman: দুই বাংলাদেশী ভোটারের নাম এরাজ্যের ভোটার তালিকায়। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর এই ঘটনা এখন রীতিমতো চর্চায়। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে ভোটার তালিকা ধরে খোঁজ-খবর চালাচ্ছিলেন পূর্বস্থলী উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। তিনিই ওই দুই 'ভূতুড়ে ভোটারের' হদিশ উদ্ধার করেছেন। এই নিয়ে তিনজন বাংলাদেশীর ভোটারের খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছেন তপন চট্টোপাধ্যায়। এই খবর জানাজানি হতেই বঙ্গের রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্যের শাসক দলকেই দায়ী করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
ভোটার তালিকা ধরে খোঁজ-খবর চালিয়ে বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় যে দু’জন বাংলাদেশী ভোটারকে চিহ্নিত করেছেন তাঁদের নাম রিঙ্কু শীল ও অর্জুন রায়। তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার পারুলিয়ার সাহাপাড়ার ভোটার তালিকায় ৪৩৩ নম্বর সিরিয়ালে নাম রয়েছে বছর ৪৮ বয়সী অর্জুন রায়ের। এই অর্জুন রায়ের নাম আবার বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় অর্জুন কান্তি নামে উল্লিখিত রয়েছে। তবে অর্জুন পদবি বদল করলেও তাঁর বাবার নাম ও পদবি দুই দেশের ভোটার তালিকার কোনওটিতেও বদল করেনি। দুই দেশের ভোটার তালিকাতেই অর্জুনের বাবার নাম চিত্তরঞ্জন রায় বলেই উল্লেখ রয়েছে। এই অর্জুন এখন বাংলাদেশে বসবাস করলেও বাংলায় তার নামে রেশন কার্ডও করিয়ে নিয়েছে। প্রতি মাসে তার নামে রেশনের খাদ্য সামগ্রীও উঠছে।"
বাংলাদেশী অপর যে ভোটারকে তপনবাবু চিহ্নিত করেছেন তার নাম রিঙ্কু শীল। তপন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, "পূর্বস্থলী উত্তরের পারুলিয়ার সাহাপাড়ার ভোটার তালিকার ১৩৯ নম্বর সিরিয়ালে বছর ২৬ বয়সী রিঙ্কু শীলের নাম রয়েছে। বাংলদেশের ভোটার তালিকায় এই রিঙ্কু শীলের নাম রিঙ্কু শর্মা বলে উল্লিখিত রয়েছে। এমনকী বাংলাদেশের জন্ম শংসাপত্র ও পাসপোর্ট এই রিঙ্কুর পদবি শর্মা হলেও পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় তার পদবি পাল্টে করা হয়েছে রিঙ্কু শীল।"
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: মাদ্রাসার নিয়োগে বড়সড় 'দুর্নীতি', CFSL-এর রিপোর্টে তোলপাড়
পূর্বস্থলীতে বাস করা রিঙ্কুর মা ও দিদি এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন রিঙ্কুর জন্ম বাংলাদেশে। তাঁরা এও স্বীকার করছেন, পাসপোর্ট তৈরি করে রিঙ্কু ভারতে আসার পর তাঁর পদবি পরিবর্তন করে ফেলে। তবে এখনও বাংলাদেশে থেকেও রিঙ্কু কীভাবে ভারতের ভোটার তালিকায় নাম তুলে ফেললেন তার সদুত্তর রিঙ্কুর মা ও দিদি দিতে পারেননি। একই ভাবে আর্জুনের নাম বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় থাকার কথা তাঁর স্ত্রী মেনকা রায় স্বীকার করে নিয়েছেন। মেনকার সাফাই, “আমার স্বামী অর্জুন কর্মসূত্রে বাংলাদেশে থাকেন । তাই বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় স্বামীর নাম রয়েছে। আমি-সহ স্বামীর পরিবারের সবাই যেহেতু এখন পূর্বস্থলীতে বসবাস করছেন তাই তাঁর স্বামীর নামও ভারতের ভোটার তালিকায় আছে।"
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh:'চোর-ডাকাত ছাড়া রাজনীতি করতে পারে না', শওকতকে বেনজির আক্রমণ দিলীপের
কয়েক দিন আগে বাংলাদেশি স্কুলশিক্ষক ভৃগুরাম দাসের নাম পূর্বস্থলীর কালেখাঁতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দীগ্রামের ভোটার তালিকায় থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছিল। ভৃগুরামের নাম বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় থাকার কথা তপন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে স্বীকারও করে নেন নন্দীগ্রামে বসবাস করা ভৃগুরামের পরিবার। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এদিন ফের দুই বাংলাদেশি ভোটারের খোঁজ পূর্বস্থলীর ভোটার তালিকায়।
বাংলাদেশি ভোটারদের নাম ভারতের ভোটার তালিকায় স্থান পাওয়াটা মোটেই সহজসাধ্য ব্যাপার নয়। তাহলে বাংলাদেশি রিঙ্কু, অর্জুন ও ভৃগুরামরা ভারতের ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এরা পাসপোর্ট করে সপরিবার বাংলাদেশ থেকে ভারতের পূর্বস্থলীতে ঢোকে। তারপর অবৈধ উপায়ে অনলাইনের মাধ্যমে ভারতের ভোটার তালিকায় নাম তুলেছে। কিছু বিএলও এখানে আছে যাঁরা হাজার-হাজার টাকার বিনিময়ে এঁদের ভারতের ভোটার তালিকায় নাম তুলতে সাহায্য করেছেন। এর সঙ্গে একটা প্রতারণা চক্রও যুক্ত রয়েছে।"
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee On Eid Controversy: 'সম্প্রীতির বাংলায় আগুন নিয়ে খেলছে', BJP-কে তুলোধনা মমতার
এদিকে, ভূতুড়ে ভোটার ধরা নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়কে অবশ্য বাহবা দিতে চায়নি BJP নেতৃত্ব। জেলা বিজেপির (কাটোয়া সাংগঠনিক) সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভূতুড়ে ভোটাররা তৃণমূলের সম্পদ। এখন এই ভূতুড়ে ভোটারদের নিয়ে ভোল বদলেছে তৃণমূল। বাংলায় তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। ভোটার লিস্টে নাম তোলা ও সংশোধন করার কাজ তো তৃণমূল সরকারের আধিকারিকরাই করছে। বাংলাদেশি ভোটারের নাম পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় উঠে থাকলে তার দায়ও এই সরকারের।"