/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/29/tmc-2025-07-29-08-34-55.jpg)
CPM members join TMC: সিপিএমের দুই পঞ্চায়েত সদস্যের তৃণমূলে যোগদান।
Palashan Panchayat-Rayna:ফের ধাক্কা CPM-এর। বাম দলের দখলে থাকা পূর্ব বর্ধমানের রায়নার পলাশন পঞ্চায়েতের দুই সিপিএম সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারা বিদ্রোহী দুই সিপিএম সদস্য বেণীমাধব দত্ত ও নিজাম চৌধুরীর হাতে দলের পতাকা তুলে দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানিয়েছেন জোড়াফুলে। এদিকে দুই সদস্যের দলবদলে পঞ্চায়েতে ক্ষমতা পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় খুশিতে ডগমগ দুই সিপিএম সদস্য। তাঁরা দাবি করেছেন, “সিপিএমের পরিচালনাধীনে পলাশন পঞ্চায়েত জনগণের পঞ্চায়েত হয়ে উঠতে পারেনি। পঞ্চায়েতটি 'ভাই-বোনের' পঞ্চায়েত হয়ে উঠেছিল। এবার 'ভাই-বোনের' কবলমুক্ত হয়ে পলাশন পঞ্চায়েত জনগণের পঞ্চায়েত হয়ে উঠবে।"
পলাশন পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৮ টি। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমের ১০ জন প্রার্থী জয়লাভ করে ছিলেন। আটটি আসনে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় বোর্ড গঠন করে সিপিএম। তবে দু’বছর কাটতে না কাটতে পঞ্চায়েতের প্রধান মণিকা রায়ের সঙ্গে পঞ্চায়েতের দুই সিপিএম সদস্য বেনীমাধব দত্ত ও নিজাম চৌধুরীর সংঘাত তৈরি হয়। শেষমেষ বিদ্রোহ ঘোষণা করেন বেনীমাধব ও নিজাম।
কী নিয়ে তৈরি হয়েছিল এই সংঘাত? এর উত্তরে বেণীমাধব দত্ত জানান, জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি এবং নিজাম চৌধুরী এলাকার জনগণের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কাজ করতে পারছিলেন না। দু’বছর ধরে তাঁরা তাঁদের এলাকার জনগণের জন্যে কোনও কাজই করতে পারেননি। উল্টে পঞ্চায়েতের প্রধান এবং তাঁর ভাই পঞ্চায়েতে নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করে রাখেন। সেই কারণে পঞ্চায়েতটি কার্যত 'ভাই-বোনের' পঞ্চায়েতে পরিণত হয়ে গিয়েছিল।
বেণীমাধব দত্ত দাবি করেন, এর পরিবর্তন ঘটিয়ে পলাশন পঞ্চায়েতকে 'জনগণের পঞ্চায়েত' হিসাবে গড়ে তুলতেই তিনি এবং নিজাম চৌধুরী রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করেছেন। এদিকে জেলা সিপিএম নেতা বিনোদ ঘোষ যদিও দলত্যাগী দুই সিপিএম সদস্যের কোনও অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, "একদিকে ছিল প্রলোভন
আর অন্যদিকে ছিল রাজনৈতিক চাপ। এই দুইয়ের কাছে হার মেনেছেন আমাদের দুই সদস্য। তবে যাই হোক পলাশন পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বোর্ড গঠনের স্বপ্ন অধরাই রয়ে থাকবে।" অন্য দিকে সিপিএমের নেতা জিকরিয়া চৌধুরী বলেন, "ওই দু'জনের সদস্য পদ খারিজের জন্য প্রশাসনকে জানাব। প্রয়োজনে আদালতে যাব।"
আরও পড়ুন- Murshidabad News: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অতর্কিতে হানা পুলিশের, বিরাট গ্রেফতারি!
রায়নার তৃণমূল বিধায়ক শম্পা ধারা বলেন, "পূর্ব বর্ধমান জেলার ২১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র পলাশন পঞ্চায়েতে সিপিএম বোর্ড গঠন করেছিল। '২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই দুই সিপিএম সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পলাশন পঞ্চায়েতে এখন তৃণমূল সংখ্যগরিষ্ঠ। পঞ্চায়েত নিয়ে সিপিএম অনেক গালভরা বুলি আওড়ায়। তবে দুই সিপিএম সদস্যের বিদ্রোহ ঘোষণা প্রমাণ করে দিয়েছে, জনগণের পঞ্চায়েত বাংলায় একমাত্র তৃণমূলই গড়তে পেরেছে।"