/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/09/CBF7JvTT9ozUtGIcku8h.jpg)
বিধানসভা নির্বাচনের আগে TMC গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে,
Nadia News: অবশেষে নাটকীয় অপসারণ কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাস। সোমবার (২৮ জুলাই) পুরসভার কক্ষে আয়োজিত বিশেষ সভায় ১৫ জন কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়ে তাঁকে অপসারণ করেন।
বাদ গেল না কোলের শিশুও! বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিককে চূড়ান্ত হেনস্থা, মমতা গর্জে উঠতেই.....
কৃষ্ণনগর পুরসভার অচলাবস্থা ঘিরে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। ২৫ আসনের পুরসভায় বর্তমানে ২৪ জন কাউন্সিলর রয়েছেন, এক জনের মৃত্যুজনিত কারণে একটি পদ ফাঁকা। এই ২৪ জনের মধ্যে ২০ জন তৃণমূল কংগ্রেসের, ২ জন কংগ্রেস, ১ জন বিজেপি ও ১ জন নির্দল।তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছে যে, দলেরই ১৩ জন কাউন্সিলর কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলরদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চেয়ারম্যান রীতা দাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অতর্কিতে হানা পুলিশের, বিরাট গ্রেফতারি!
২৮ জুলাইয়ের বিশেষ সভায় চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকলেও, অনাস্থা প্রস্তাবে সই করা ১৫ জন কাউন্সিলর সভায় উপস্থিত থাকেন। এঁদের মধ্যে তৃণমূলের ১৩ জন, কংগ্রেসের শান্তশ্রী সাহা (১৪ নম্বর ওয়ার্ড) ও নির্দল কাউন্সিলর অসিত সাহা ছিলেন। প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বর্তমান C.I.C সদস্য অসীম সাহা জানান, ‘আজকের তলবি সভায় ১৫ জন কাউন্সিলর অপসারণের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। সুতরাং চেয়ারম্যান রীতা দাস অপসারিত।’ পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার ওয়াহিদ আনোয়ার খানও চেয়ারম্যান অপসারিত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।
নজরে '২৬-এর ভোট, 'বাঙালি বিদ্বেষ' ও SIR, একে অন্যকে প্যাঁচে ফেলতে মুখিয়ে BJP-তৃণমূল
সাম্প্রতিক সময়ে কৃষ্ণনগর পুরসভায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এমনকি দলের তিন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও একাধিকবার অনাস্থা প্রস্তাব ওঠে। পরপর চিঠি, সভা ডাকার অনুরোধ, মুতলবি বৈঠক— সব মিলিয়ে পুরসভা কার্যত অচলাবস্থায় পৌঁছে যায়। এর জেরে শহরের নাগরিক পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়। আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে বর্ধিষ্ণু কৃষ্ণনগর শহরের এই অচলাবস্থা ও জনভোগান্তি তৃণমূলের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।