Balagarh Incident: পানীয় জলেই লুকিয়েছিল বিপদ! অনন্ত তেমনই আশঙ্কা যেন সত্যি হচ্ছে। গ্রামের দুটি নলকূপ খুলে দেওয়া হয়েছে। কাছাকাছি পুকুরগুলি থেকেও জল নিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই গ্রামের দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল হুগলির বলাগড়ের বাকুলিয়া-ধোবাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলিয়াপাড়া গ্রাম। গত রবিবার থেকেই এই গ্রামের অসংখ্য মানুষ ডায়েরিয়ার কবলে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জায়গাটি হুগলি জেলার মধ্যে হলেও পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমার কাছে হওয়ায় অনেকেই সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় কালনা হাসপাতালে মৃত্যু হয় মাতাল টুডু (৫০) এবং বনি কিসকুর ( ৬০)। এরপরেই খবর যায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরে। অনুমান করা হয়, যে পানীয় জল কোনওভাবে দূষিত হওয়ার জন্যই এই ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলি করও।
এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প বসেছে। সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লাও ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ি-বাড়ি খোঁজ খবর নেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, তাঁদের অনুমান পুকুরের জলের সঙ্গে কোনওভাবে নর্দমার জল মিশে গেছে। ওই পুকুর থেকেই কোনওক্রমে সংক্রমণ হতে পারে। ইতিমধ্যেই ওই পুকুরের এবং দুটি টিউবওয়েলের জলের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই পরিষ্কার হবে বিষয়টা।
আরও পড়ুন- Digha: ফাটাফাটি ব্যবস্থা! পর্যটকদের দুরন্ত মনোরঞ্জনে জমাটি উদ্যোগ, এবার ফাঁক পেলেই দিঘা ছুটবেন!
আরও পড়ুন- Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে পিছোল আরজি কাণ্ডের শুনানি, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মামলা শুনবে কবে?
আপাতত ওই পুকুরগুলি থেকে জল নিতে নিষেধ করা হয়েছে গ্রামবাসীদের। বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থাও হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে ৩৪ জন গ্রামবাসী শারীরিক অসুস্থতার কবলে পড়েছেন। এর মধ্যে ৪ জন কালনা হাসপাতালে এবং ২ জন জিরাট ব্লক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে যে দু'জন মারা গেছেন তাঁরা সম্ভবত ডায়েরিয়ার কারণে মারা যাননি। তাঁদের অন্য উপসর্গ ছিল বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দাবি করেছেন।