/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/15/quSKXH5qW0GptI2eC4T8.jpg)
New Town Police Station: নিউটাউন থানা।
2 minors arrested for murdering a toto driver in Newtown: নিউটাউনে টোটোচালক খুনের ঘটনায় পরিবারের অভিযোগ ছিল, নিহতের প্রেমিকা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। তেমন অভিযোগ পেতেই পুলিশও অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে গোটা তদন্তের গতিপথ পাল্টে যায় মারাত্মক এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পরেই।
পুলিশ সূত্রে খবর রাস্তার একটি সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পায় পুলিশ। সেখানে দেখা যায় দুই নাবালক ওই টোটো করে যাচ্ছে। এর পরেই ওই নাবালকদের খোঁজ শুরু হয়। সোমবার সকালে তাদের খোঁজ পায় পুলিশ। তাদের আটক করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা ওই টোটোচালককে খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের।
কীভাবে খুন?
সূত্রের খবর, প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে পিছন থেকে মাথায় আঘাত করা হয় ও পরে একের পর এক আঘাত করা হতে থাকে। হাতুড়ির পাশাপাশি আরও কোনো ধারালো অস্ত্র ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
তবে শুধুই ওই দুই নাবালকের পক্ষে লম্বা-চওড়া ওই ব্যক্তিকে খুন করা সম্ভব? নাকি এর পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে? আগে থেকে কেউ কি ঘটনাস্থলে ছিল? এই সমস্ত বিষয় জানতে ধৃতদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/01/gY9VBHY5vTLlYkmUjKwL.jpg)
কেন খুন ?
পুলিশ সূত্রে খবর ও পরিবারের দাবি, সুশান্ত ঘোষ নামে নিহত ওই টোটোচালকের সঙ্গে মামনি নামে ওই মহিলার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রেই তার বাড়িতে যাতায়াত ছিল সুশান্তর। এই মামনির এক মেয়ের সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরি করতে চাইছিল সুশান্ত, মামনির মেয়ের প্রেমিক ছিল ধৃত নাবালক। সে গোটা বিষয়টি জানতে পারে। সুশান্তর ব্যবহারে ওই নাবালকের আক্রোশ বাড়তে থাকে। এরপরেই পরিকল্পনা মাফিক এই খুনের ছক কষা হয়েছিল। দুই নাবালক সবে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার সুশান্তের বাড়িতে ওই প্রেমিক নাবালক টোটো ভাড়া করতে যায়। তাকে না পেয়ে তার ফোন নাম্বর নিয়ে আসে এবং রবিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তাকে ডাকে। এই খুনের পিছিনে তার এক বন্ধুকেও সঙ্গে নেয়। দু'জনে মিলে এই রোমহর্ষক কাণ্ড ঘটায় তারা।