Ajmiri Bakery: কাঠের জ্বালে তৈরি হয় কেক, ২০০ বছরের সোনালী অতীত আঁকড়ে আজমিরি বেকারি
Ajmiri Bakery: প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এই বেকারি। এক সোনালী অতীত আঁকড়ে কলকাতার আজমিরি বেকারি। বড়দিনের মরশুমে এই বেকারিতে কেক কিনতে রীতিমতো ধুম পড়ে যায়।
Ajmiri Bakery: প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এই বেকারি। এক সোনালী অতীত আঁকড়ে কলকাতার আজমিরি বেকারি। বড়দিনের মরশুমে এই বেকারিতে কেক কিনতে রীতিমতো ধুম পড়ে যায়।
Christmas 2024-Ajmiri Bakery: কাঠের জ্বালে টানা ২০০ বছর ধরে ট্র্যাডিশনাল পদ্ধতিতে কেক (Cake) তৈরি করা হচ্ছে খোদ কলকাতায়। নানা ধরনের স্বাদের কেক তৈরি হচ্ছে দোকানের ভিতরেই। যে কেকের দোকান আগেই হেরিটেজের তকমা পেয়েছে। বড়দিন (Christmas) উপলক্ষ্যে সেই কেকের দোকানে খাদ্যরসিক বাঙালি যে ভিড় করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
Advertisment
বড়দিন উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে 'বো ব্যারাক'। তার অনতিদূরেই আট পুরুষ ধরে চলা এই দোকান। আজমিরি বেকারি (Ajmiri Bakery)। দোকানের এক কর্তা হবিবুর রহমান ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "একেবারে ট্র্যাডিশনাল পদ্ধতি মেনে কেক তৈরি করা হয়। ফল শুকনো করতে ৩ মাস সময় লাগে। সেগুলো অন্য কারখানা থেকে শুকনো করে আনা হয়। তারপর কেক তৈরি করি। কাঠের উনোনে তৈরি হয় বলে স্বাদ অতুলনীয়। আমাদের সঙ্গে কারও কোনও প্রতিযোগিতা নেই। আমাদের জিনিস ভালো, তাই সবাই খায়। নলেন গুড়ের কেক, ছানার কেক, ফ্রুট কেক, প্লাম কেক আমরা তৈরি করি। কেকে কাজু বাদাম, আখরোট, আঞ্জির, খেজুর ব্যবহার করি।"
রাত পোহালেই বড়দিন। ২৫ ডিসেম্বর। ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে কেকের চাহিদা বেড়ে যায় ফি বছর। হাবিবুর রহমান বলেন, "আমরা দাদুর বাবার কাছ থেকে জেনেছিলাম ১৮২৪ সালে এই বেকারির সূত্রপাত। আমাদের এই বেকারি হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। এই সময় বাজার খুব ভালো যায়। করোনার জন্য ধাক্কা খেয়েছিল ব্যবসা। বড়দিনের সিজনে ৫০ হাজার কেক তৈরি হয়। পিক আওয়ারে ১০ জন একসঙ্গে দোকান সামলে থাকি।"
তিনি আরও বলেন, "অনেক মন্ত্রী, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত লোকজন আমাদের দোকানে আসেন। কেউ লোক পাঠিয়ে কেক নিয়ে যান। মুম্বাই, বেঙ্গালুরু যায় আমাদের কেক।" তাঁর আরও দাবি, "আমাদের কাঠের উনোনে কেক সেঁকা হয়। কেক তৈরি করতে সময় লাগে অনেকটা। বাড়িতে ৩০ দিন রাখলেও এই কেক নষ্ট হবে না।"
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিড় বাড়ে কলকাতার রাস্তায়। পথে-ঘাটে, মেট্রোতে সেই ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পর্যটকরা দর্শনীয় স্থান দেখার পাশাপাশি, কলকাতার নামীদামী কেকের দোকানেও লাইন দিয়ে কেক কেনেন।