Junior Doctor's Hunger Strike: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে পুরোপুরিভাবে সমর্থন জানিয়ে এবার বিরাট পদক্ষেপ সিনিয়র চিকিৎসকদের। গণ ইস্তফা আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তারের। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে এবার SSKM, নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-সহ একাধিক মেডিকেল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসকরা একই পথে হাঁটতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কী বলছেন চিকিৎসক সংগঠনের নেতারা? এভাবে খাস কলকাতা শহরের নামজাদা সব সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরা গণ ইস্তফার পথে হাঁটলে গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিরাট প্রভাবের আশঙ্কা বাড়ছে, এ ব্যাপারে কী বলছেন চিকিৎসক সংগঠনের নেতারা?
আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় আমরন অনশন কর্মসূচি পালন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্মতলায় মঞ্চ বেঁধে চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন আন্দোলন। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়ররাও। সিনিয়রদের অনেকে অনশন কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। এবার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে আরজি করের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার ইস্তফা দিলেন।
জয়েন্ট প্ল্যটফর্ম অফ ডক্টরসের তরফে প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, রোজ সকাল ন'টা থেকে রাত নটা পর্যন্ত ১২ ঘন্টা রিলে অনশন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়িত করতে চলেছেন তাঁরা। এরই মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে গণ ইস্তফা পত্রে সই করেছেন আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার। এভাবে কলকাতা শহরের বুকে একটি সরকারি হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তারের ইস্তফায় স্বভাবতই জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- Junior Doctors Hunger Strike: দুর্যোগেও অনশনে অবিচল জুনিয়ররা, গণইস্তফার সিদ্ধান্ত সিনিয়র ডাক্তারদের
গণ ইস্তফা প্রসঙ্গে কী বলছেন চিকিৎসক সংগঠনের নেতারা?
জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের নেতা মানস গুমটা বলেন, "এটা একটা প্রতিবাদের ঝড়। গণ আন্দোলনকে পুলিশ দিয়ে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে বারবার। প্রশাসনের অমানবিক মুখ। এই পরিস্থিতিতে সিনিয়র ডাক্তাররা অনেকেই যেমন অনশনে বসছেন, তেমনই অনেকেই ইস্তফা দিচ্ছেন। এটা আন্দোলনের একটা অংশ। গণ ইস্তফা দিয়ে সিনিয়র ডাক্তাররা একটা বার্তা দিলেন সরকারকে। ভবিষ্যতে কী হবে সেটা পরের বিষয়। শুধুই আরজি কর নয়, এবার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে এটা ছড়াবে বলেই আমাদের ধারণা।"
সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের নেতা চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "সরকার বাধ্য করছে গণ ইস্তফায় যেতে। সরকারের উচিত ছিল চিকিৎসকদের দাবি দাওয়াগুলো নিয়ে বসা, কথা বলা। এটা যতদিন চলতে থাকবে এমন গণ ইস্তফা আরও বাড়তে পারে। গোটা চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর একটা বিরাট প্রভাব পড়বে। সরকার কেন দায়িত্ব নেবে না? কীভাবে সবটা মসৃণভাবে চলতে পারে সেটা দেখার দায়িত্ব সরকারের। সরকার হয়তো পরিকল্পনা করেই কিছুকে আড়াল করা চেষ্টা করছে। অনশন কর্মসূচি চলাকালীন সরকার কোনও কথা আমাদের সঙ্গে বলেনি। গণ ইস্তফার প্রভাবে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবায় বড়সড় প্রভাব পড়বে। সরকার অবিলম্বে আমাদের সঙ্গে কথা বলুক।"
আরও পড়ুন- Birbhum Blast: বীরভূমে কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ৮ জনের মৃত্য, ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ
শ্রমজীবী সমিতির তরফে চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ বলেন, "রাজ্য সরকার এবিষয়ে এখনও কথা বলেনি। চিকিৎসকদের পদত্যাগের সংখ্যা বাড়তে পারে। সংবেদনশীল বিষয়ে সরকার যদি কথা না বলে, সমস্যা তো বাড়বেই। এই আন্দোলনে আমাদের সমর্থন আছে। আমরা তো মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছি না। আমরা চাইছি জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবিগুলি পূরণে রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অবিলম্বে দাবিগুলি পূরণ করুক সরকার।"