/indian-express-bangla/media/media_files/2024/12/04/15qyWNhR4YEX2X1C1unb.jpg)
বারুইপুরে নেশামুক্তি কেন্দ্রে তালা ঝোলাল পুলিশ।
A minor was beaten naked at a rehab centre in Baruipur: ফের বারুইপুরে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে মারধর। জানালায় গামছা দিয়ে উল্টো করে বেঁধে নগ্ন করে অবর্ণনীয় অত্যাচার ১৪ বছরের নাবালককে। বেধড়ক মারধরের সেই ভিডিও কোনওভাবে হাতে এসে যায় পুলিশের। তারপরেই দ্রুত বারুইপুর থানার পুলিশ জোরদার তৎপরতার সঙ্গে ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে হানা দেয়। ওই নাবালককে সেখান থেকে উদ্ধার করে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই নেশামুক্তির কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুরাতন বাজার এলাকায়। নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ধৃত ব্যক্তির নাম পার্থ চক্রবর্তী। পুরাতন বাজার এলাকায় গত ১১ মাস ধরে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রটি চলছিল। সেখানেই মাত্র ২৬ দিন আগে আনা হয়েছিল ওই নাবালককে। ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রের মালিক শিবুপ্রসাদ সাহা থানা বলেন, "১১ মাস আগে ভাড়া দিয়েছিলাম পার্থ চক্রবর্তীকে। এরপরে পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারি এক নাবালককে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ বলায় ওই কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছি।"
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বারুইপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। মৃতের পরিবরের লোকজন বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর চালিয়েছিল ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে। পরে বারুইপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। প্রায় এক বছর ধরে বারুইপুরের পুরাতন বাজার এলাকায় চলছিল ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রটি। বিভিন্ন এলাকা থেকে নেশাগ্রস্ত তরুণদের সেখানে এনে 'চিকিৎসা'র নামে ভর্তি রাখা হয়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরাই তাঁদের এই ধরনের কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে দেন। তবে বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এই ধরনের যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা ব্যাঙের ছাতার মতো নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলিতে 'সুচিকিৎসা'র উপযুক্ত পরিকাঠামোই নেই।
আরও পড়ুন- Sundarbans: গা শিউরে ওঠার মতো কাণ্ড সুন্দরবনে! জঙ্গল থেকে ঝাঁপ নৌকায়, প্রকাণ্ড বাঘ কামড়ে-আঁচড়ে...