Success Story-UPSC: এর আগেও বাংলার বহু কৃতী পড়ুয়া সর্বভারতীয় পরীক্ষা UPSC-এর বিভিন্ন বিভাগে নজিরবিহীন সাফল্য ঝুলিতে পুরেছেন। এবার ফের একবার UPSC-এর পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য বঙ্গতনয়ের মুঠোয়। UPSC-এর ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস '২০২৪-এ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস বিভাগে গোটা দেশের মধ্যে সপ্তম হয়েছেন বর্ধমান শহরের শ্যামলাল এলাকার বাসিন্দা দেবার্ঘ্য চ্যাটার্জী। ইউপিএসসি-তে তিন-তিনবার অ্যাটেম্পট নেওয়ার পর এ বছরই সাফল্যের শীর্ষে বাংলার কৃতী সন্তান দেবার্ঘ্য। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আর কয়েক মাসের মধ্যেই পোস্টিংও পেয়ে যাবেন এই বঙ্গতনয়।
ছোট থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন দেবার্ঘ্য। ছোটবেলার পড়াশোনাটা বর্ধমানের সিএমএস হাই স্কুল থেকে। সেখানেই প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন দেবার্ঘ্য। পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেছিলেন। তারও পরে কলকাতার একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন দেবার্ঘ্য। মনে মনে অদম্য সেই ইচ্ছেটা দানা বেঁধেছিল তখন থেকেই। 'সেরার সেরা'র আসনটা ছিনিয়ে নেওয়ার সংকল্প তখন থেকেই মনের মধ্যে পুষে ফেলেছিলেন এই যুবক।
দেবার্ঘ্যর এই এগিয়ে চলার পথে আগাগোড়া তাঁকে সমর্থন জুগিয়ে এসেছে তাঁর পরিবার। বাবা সরকারি চাকুরে ও মা গৃবধূ। ছোটভাই এখনও পড়াশোনা করছে। বাড়ির বড় ছেলের মনের ইচ্ছাকে সব সময় সম্মান জানিয়েছেন পরিবারের বাকিরা। তাঁকে জীবনে এগিয়ে যেতে ক্লান্তিহীনভাবে বরাবর পাশে থেকেছেন তাঁরাও। আজ বাড়ির ছেলের এই অভাবনীয় সাফল্যের দিনে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত গোটা চ্যাটার্জি পরিবার।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: পিছিয়ে গেল জামিনের শুনানি, একমাস জেলেই কাটাতে হবে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে
আরও পড়ুন- ED raids in West Bengal: রাজ্যে দুর্নীতির তদন্তে তৎপর ED, লক্ষণ শেঠের বাড়ি-মেডিক্যাল কলেজে হানা
এদিকে 'সেরার সেরা'র সম্মান ঝুলিতে পুরেও পা মাটিতেই এই কৃতী পড়ুয়ার। তবে তাঁর লড়াইটা কিন্তু এত সহজ ছিল না। UPSC-তে চতুর্থবারের মাথায় এই সাফল্য ঝুলিতে পুরেছেন দেবার্ঘ্য। তাঁর কথায়, "২০২১ সালে প্রথম এই পরীক্ষায় বসেছিলাম। সেবার প্রি-এক্সাম ক্লিয়ার করতে পারিনি। পরের বছর ২০২২ সালেও আমার প্রি-এক্সাম ক্লিয়ার হয়নি। তবে ২০২৩ সালে প্রি এবং মেইন এক্সাম সাফল্যের সঙ্গে উতরে যাই। ইন্টারভিউ পর্যন্তও পৌঁছে গিয়েছিলাম। তবে প্রি-এক্সামে নম্বর একটু কম থাকার জন্য সেবারও সফলতা আসেনি। তাই এবছর নিজেকে আরও সংশোধন করে জোরদার লড়াইয়ে নেমেছিলাম। একে একে প্রি-মেইন এক্সাম ক্লিয়ার করে ইন্টারভিউ পর্যন্ত পৌঁছোই। পরে ইন্টারভিউও সফলভাবে পেরিয়েছি।"
এবার দৃঢ় সংকল্প বুকে গেঁথে আরও এগিয়ে যেতে চান দেবার্ঘ্য। প্রথম পোস্টিংটা দিল্লিতে হবে বলেই তাঁর ধারণা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আর কয়েক মাসের মধ্যেই ইন্ডিয়ান টেলিকম সার্ভিস বিভাগে ITS হিসেবে জয়েন করতে চলেছেন বাংলার এই কৃতী সন্তান।