Ahmedabad Plane Crash : আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় নয়া মোড়! বোয়িং ৭৮৭-এর সফটওয়্যার সমস্যাতেই কি ঘটে গেল মর্মান্তিক পরিণতি?
মে ২০২৫-এ আহমেদাবাদে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার AI-171 বিমান। আহমেদাবাদ থেকে টেক অফের মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে এবং প্রাণ হারান ২৭৪ জন যাত্রী। ঘটনার তদন্ত চলাকালীন এবার এক চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন প্রাক্তন ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রান্সপোর্টেশন (DOT) এর ইন্সপেক্টর জেনারেল তথা অভিজ্ঞ অ্যাভিয়েশন এক্সপার্ট মেরি শিয়াভো (Mary Schiavo)। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানের সফটওয়্যারের ত্রুটির কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
The Sunday Guardian-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে শিয়াভো জানান, বোয়িং ৭৮৭-এ সম্ভবত একটি সফটওয়্যার ত্রুটির ফলে দু'টি ইঞ্জিন হঠাৎ করেই বিকল হয়ে গিয়েছিল (thrust)। যার ফলেই বিমানটি ওড়ার পরপরই ভারসাম্য হারায় এবং দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই সমস্যাকে বলা হয় ‘ডুয়াল ইঞ্জিন থ্রাস্ট রোলব্যাক’ (dual engine thrust rollback)—এটি সম্পূর্ণ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এবং পূর্বে বোয়িং ৭৮৭-এ একই সমস্যা রিপোর্ট হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
শিয়াভোর অভিযোগ, বোয়িং ৭৮৭-এর Thrust Control Malfunction Accommodation (TCMA) সিস্টেম এবং Full Authority Digital Engine Control (FADEC) সফটওয়্যার ত্রুটির মূল কেন্দ্র। এই সিস্টেম যদি কোন কারণে বুঝে নেয় যে বিমানটি ‘মাটিতে রয়েছে’, তাহলে এটি নিজে থেকেই ইঞ্জিনের শক্তি কমিয়ে দিতে পারে। যদি সেই মুহূর্তে বিমান আকাশে থাকে তাও একই ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে। শিয়াভোর আশঙ্কা, AI-171 বিমানের ক্ষেত্রেও ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছিল। তার ফলেই বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
২০১৯ সালে জাপানের ANA এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং ৭৮৭-তেও ঠিক একই রকম dual engine rollback ঘটেছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তদন্তে US National Transportation Safety Board (NTSB) জানিয়েছিল, সফটওয়্যার ত্রুটির কারণেই বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যদিও সেই ত্রুটি সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তবু বোয়িং কী সেই আপডেট সমস্ত বিমানে প্রয়োগ করেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শিয়াভো মনে করিয়ে দিয়েছেন, 737 MAX বিমানের MCAS সফটওয়্যার ত্রুটি কতটা প্রাণঘাতী ছিল, তা গোটা বিশ্ব দেখেছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সেসময় সবার নজর ছিল MAX-এ, ফলে 787-এ থাকা সমস্যা উপেক্ষিত থেকে গেছে।
ভারতের DGCA (Directorate General of Civil Aviation)-কে উদ্দেশ করে শিয়াভো বলেন—এই তদন্ত যেন শুধুমাত্র বোয়িং-এর সরবরাহকৃত তথ্যের ওপর নির্ভর না করে, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়। তাঁর কথায়, "বিমান যে হেলথ ডেটা পাঠিয়েছিল, মেইন্টেনেন্স রেকর্ড, সফটওয়্যার আপডেট এবং পূর্ববর্তী সতর্কতা—সব কিছু বিশ্লেষণ জরুরি।"