Ahmedabad plane crash AAIB investigation report : আহমেদাবাদে ভয়বাহ বিমান দুর্ঘটনার পর এই প্রথম সামনে এল সেদিনের হাড়হিম দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট। এই রিপোর্টে অনেক বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে। কী কারণে টেক অফের মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে, দুর্ঘটনার পিছনে আসল কী কারণ?
Ahmedabad plane crash AAIB investigation report : আহমেদাবাদে ভয়বাহ বিমান দুর্ঘটনার পর এই প্রথম সামনে এল সেদিনের হাড়হিম দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট। এই রিপোর্টে অনেক বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে। কী কারণে টেক অফের মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে, দুর্ঘটনার পিছনে আসল কী কারণ?
অহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার কারণ কী? সামনে এল রিপোর্ট
Ahmedabad plane crash AAIB investigation report : আহমেদাবাদে ভয়বাহ বিমান দুর্ঘটনার পর এই প্রথম সামনে এল সেদিনের হাড়হিম দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট। এই রিপোর্টে অনেক বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে। কী কারণে টেক অফের মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে, দুর্ঘটনার পিছনে আসল কী কারণ, সেই সবকিছুই উল্লেখ করা হয়েছে।
Advertisment
আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিমানের উভয় ইঞ্জিনের জ্বালানি কন্ট্রোল সুইচ RUN থেকে CUTOFF এ পরিবর্তন করা হয়েছিল এবং এই কারণেই কারণে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (AAIB) এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। এই তদন্ত প্রতিবেদনে অনেক কিছু স্পষ্ট করা হয়েছে। আহমেদাবাদের মেঘানী নগরে এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় একজন ছাড়া ২৪১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও বিমান দুর্ঘটনায় মোট ২৬০ জন মারা যান। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন যাচ্ছিল।
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার পর, AAIB তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তবে এটি একটি প্রাথমিক রিপোর্ট। শুক্রবার-শনিবার রাত ১টার পরে এই AAIB তদন্ত রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে কোনও কারিগরি ত্রুটি বা সিস্টেমের ত্রুটি । AAIB আরও জানিয়েছে যে প্রাথমিক তদন্তে বিমানে কোনও ষড়যন্ত্র বা নাশকতার কোনও স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বিমানের দুই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে কারিগরি ত্রুটি বা সিস্টেমের সমস্যা থাকতে পারে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্ল্যাক বক্স ডেটা বিশ্লেষণে জানা গেছে, দুর্ঘটনার ঠিক আগে থ্রাস্ট লিভারগুলি সামনের দিকে থাকলেও দুর্ঘটনার পর তা নিষ্ক্রিয় অবস্থানে পাওয়া যায়। দুটি জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচ তখন RUN মোডে ছিল, অর্থাৎ ইঞ্জিন চালু থাকার অবস্থায়।
একজন পাইলট জিজ্ঞেস করছেন, “তুমি ইঞ্জিন বন্ধ করেছো?” অন্যজন পাইলট বলছেন, “আমি করিনি।” এটি ইঙ্গিত দেয়, অজানা কারণে ইঞ্জিনের জ্বালানি কন্ট্রোল সুইচ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা ত্রুটিবশত বন্ধ হয়ে পড়েছিল।
বিস্তারিত তথ্য
08:08:42 UTC-তে বিমানটি সর্বোচ্চ 180 নট গতি অর্জন করে
তার এক সেকেন্ডের ব্যবধানে ইঞ্জিন ১ ও ২-এর জ্বালানি সুইচ RUN থেকে CUTOFF মোডে চলে যায়
ফলস্বরূপ, মাঝ আকাশে উভয় ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়
ককপিট রেকর্ডিং ও RAM Air Turbine (RAT) সক্রিয় হওয়া থেকে বোঝা যায় যে, বিমানটি একটি গুরুতর সিস্টেম ত্রুটির সম্মুখীন হয়েছিল। AAIB জানিয়েছে, “এই প্রাথমিক প্রতিবেদন ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে সম্ভাব্য কারিগরি ত্রুটির দিকেই ইঙ্গিত করছে। তদন্ত এখনও চলছে।”
AAIB-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনের উপর এয়ার ইন্ডিয়ার বিবৃতি
AI171 বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। কোম্পানিটি জানিয়েছে, 'এই শোকের মুহূর্তে আমরা পরিবারের সাথে সম্পূর্ণভাবে আছি এবং সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান করছি।' এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে দুর্ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে, তাই তারা এই মুহূর্তে কোনও প্রযুক্তিগত বিবরণ সম্পর্কে মন্তব্য করবে না। বিমান সংস্থাগুলি সমস্ত প্রশ্ন AAIB-তে পাঠানোর জন্য আবেদন করেছে।
গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ
বিমানটি টেকঅফ ও ভেঙে পড়ার মধ্যে সময় ছিল মাত্র ৩০ সেকেন্ড
জ্বালানি কন্ট্রোল সুইচ সাধারণত মাটিতে অবস্থানের সময় ব্যবহৃত হয়, আকাশে তা নিজে থেকে পরিবর্তিত হওয়া অস্বাভাবিক।
জ্বালানি সুইচে লকিং সিস্টেম থাকা সত্ত্বেও একযোগে দুটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়া সাধারণ কোন বিষয় নয়। এটি হয় সিস্টেমিক ব্যর্থতা অথবা মানবিক ত্রুটির ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে রিপোর্ট স্পষ্ট করে বলেছে, দুর্ঘটনা কোন ষড়যন্ত্র বা নাশকতার কারণে ঘটেনি।