Advertisment

Hooghly News: আচমকা হানায় চোখ কপালে পুরকর্তাদেরও! বেআইনি কারবারের পর্দাফাঁস!

Hooghly-Chinsurah: খবর পাওয়ার পরেই পুরসভার তরফে একটি দল হানা দেয় ওই বাড়িতে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা পুর কর্তৃপক্ষকেই বিঁধেছে।

author-image
Uttam Dutta
New Update
Hooghly News,Chinsurah,west bengal news,হুগলির খবর,চুঁচুড়া

Hooghly News: চুঁচুড়ার ওই বাড়িতে আচমকা অভিযানে পুরসভার আধিকারিকরা।

Allegations of businesses illegally using municipally supplied water in Hooghly Chinsurah: জল চুরি করে চলছিল রঙিন মাছের ব্যবসা। একের পর এক চৌবাচ্চা করে তাতে রঙিন মাছ সহ শিঙি-মাগুরের চাষ করছিলেন চুঁচুড়া ২ নম্বর কাপাসডাঙার বাসিন্দা রতন বিশ্বাস। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে হানা দেন হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার জল দপ্তরের আধিকারিকেরা। পুরসভার পুর পারিষদ (জল) দিব্যেন্দু অধিকারী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সব্যসাচী দাস, স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তী-সহ কয়েকজন গিয়েছিলেন ওই বাড়িতে।

Advertisment

সেখানে গিয়ে তো চক্ষু ছানাবড়া হওয়ার জোগাড় পুরসভার আধিকারিকদের। রতন বিশ্বাস নামে ওই ব্য।ক্তি বাড়ির পাশে একটি প্লট কিনে প্রায় ১৫টি পাকা চৌবাচ্চা তৈরি করে মাছের ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। দেদার পড়ে যাচ্ছিল পুরসভার পানীয় জল। একইসঙ্গে নিজের বাড়িতে ঢোকার পথে সীমানা পাঁচিলের দু'দিকে বাড়ির দেওয়ালের সঙ্গেই দুটি বড় চৌবাচ্চা করে রঙিন মাছের চাষ চলছে।

এরই পাশাপাশি বাড়ির তিনতলার ছাদেও বেড়ার ঘর করে রাখা রয়েছে অনেক অ্যাকুরিয়াম। দুটি প্লটে মোট তিনটি জলের লাইনের সংযোগ রয়েছে। যার মধ্যে একটি আবার বিনামূল্যে সরকারি জল। রতনের সাফাই, "অনুমতি লাগে আমি জানতাম না। পুরসভায় কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলেছে। যাব।"

আরও পড়ুন- Purba Bardhaman News: শীতের রাতে পরপর মন্দির-সোনার দোকানে চুরি, ফিল্মি কায়দায় একের পর এক লুঠ!

Advertisment

অন্যদিকে পুর পারিষদ (জল) দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, "সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে জল ব্যবহার করছেন রতন। ভাড়াটিয়ার নামে একটি বিনামূল্যের লাইন নিয়েছেন। সেটাও অবৈধ। রতনকে পুরসভায় দেখা করতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র দেখার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও বিরোধীদের দাবী এসব কীর্তির জন্য দায়ী হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভাই।" 

আরও পড়ুন- Tiger Fear in Kultali: অবশেষে 'ঘরে' ফিরেছে বাঘ, স্বস্তি উত্তর বৈকুণ্ঠপুরের গ্রামবাসীদের

হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের কথায়, "রঙিন মাছ চাষের লাইসেন্সতো এই পুরসভাই দিয়েছিল। তখন কি খোঁজ নিয়ে দেখেনি কীভাবে এই মাছ চাষ হচ্ছে? জল পাচ্ছে কোথা থেকে? আসলে কিছু টাকা খরচ করলেই এই পুরসভা থেকেই সব লাইসেন্স বের করা যায়। আজ যেহেতু জানাজানি হয়ে গেছে তাই পুরসভার আধিকারিকরা গেছে জলের লাইন কাটতে।"

আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: বাংলাদেশ পাসপোর্ট বাতিল করতেই হাসিনাকে নিয়ে বড় পদক্ষেপ ভারতের

Hooghly news of west bengal Bangla News hooghly news news in west bengal Bengali News Today
Advertisment