/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/22/malda-2025-08-22-12-07-01.jpg)
Spinal Muscular Atrophy treatment India: একরত্তি কন্যা সন্তানকে কোলে নিয়ে মা, পাশে বাবা।
9 crore injection for baby: প্রয়োজন ৯ কোটি টাকার একটি ইঞ্জেকশন। তাই দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানিয়েছে পরিবারষ এমনকী বাদ নেই প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে বিভিন্ন মন্ত্রীদের দপ্তরও। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সোশ্যাল মাধ্যমেও মাত্র ৯ মাসের ফুটফুটে মেয়েকে বাঁচাতে সহযোগিতা চেয়েছেন অধ্যাপক দম্পতি। ৯ মাসের অংশিকা মণ্ডল (এসএমএ) স্পাইনাল মাসকুলার এট্রোফি মতোন বিরল রোগে আক্রান্ত। দেড় বছর বয়সের মধ্যেই অংশিকাকে নয় কোটি টাকা মূল্যের ইনজেকশন দিতে হবে ।
নইলে বাঁচানো অসম্ভব বলে দাবি করেছেন তার বাবা-মা। তাঁরা বলেন, বিভিন্ন জায়গায় সহযোগিতা চেয়ে এখনো পর্যন্ত সঞ্চয় হয়েছে মাত্র ৪৪ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে ৪৫ দিন অন্তর ৬ লক্ষ ৬ হাজার টাকা ওষুধের জন্য ব্যয় হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৩০ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ হয়ে গিয়েছে। এত বিপুল পরিমাণ অর্থ কিভাবে জোগাড় হবে, তা নিয়েও ভেবে কুল করতে পারছেন না ওই ছোট্ট কন্যা সন্তানের বাবা অধ্যাপক অনিমেষ মন্ডল এবং মা বিটপি মন্ডল।
বলাবাহুল্য সম্প্রতি রানাঘাটের অস্মিকা দাসের এরকম বিরল রোগ দেখা দিয়েছিল । ছয় মাসের অস্মিকাকে বাঁচানোর জন্য ১৬ কোটি টাকার ইঞ্জেকশন দরকার ছিল। যা সর্বক্ষেত্রেই দেশেবাসি এগিয়ে এসে সাহায্য করে এবং সেই ইঞ্জেকশন দেওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু এবারে সেই মালদার নয় মাসের অংশিকার একই অবস্থা। টাকার অভাবেই এখন ছোট্ট শিশু কন্যার জীবন বিপন্ন হতে চলেছে।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh:পার্টিতে আমার কোনও কাজ নেই, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ তো মোবাইলেও শুনতে পারি: দিলীপ ঘোষ
উল্লেখ্য , চাঁচল মহকুমার রতুয়া থানার সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের মতিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা অনিমেষ মন্ডল । তিনি রতুয়ার এস.এন বোস সরকারি পলিটেকনিকের অধ্যাপক । তার স্ত্রী বিটপি মন্ডল গৃহবধূ। তাঁরা বলেন , চলতি বছর জানুয়ারি মাসে মেয়ের হাত পা অচল হয়ে গিয়েছিল। ঘাড় শক্ত হচ্ছিল না। কলকাতায় চিকিৎসা শুরু করি। সেখান থেকে দিল্লির এইমস্তা-এ যায়। এরপরেই এই বিরল রোগ স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি ধরা পড়ে। এই ধরনের রোগের মাংসপেশি শক্ত এবং মজবুত হতে দেয় না। ধীরে ধীরে শরীর দুর্বল হয়ে যায়।
শ্বাসযন্ত্র আস্তে আস্তে বিকল হতে থাকবে। দেড় বছরের মধ্যে যদি সঠিক ইঞ্জেকশন না দেওয়া যায় তাহলে মেয়েকে বাঁচানো সম্ভব নয়। এইমস্ থেকে কলকাতার চিকিৎসকেরা বলেছেন এই ইনজেকশনের মূল্য ৯ কোটি টাকা। তার যাবতীয় তথ্য আমাদেরকে তুলে দিয়েছেন। শুধুমাত্র আমেরিকাতেই এই ইঞ্জেকশন পাওয়া যায়। এখন মেয়েকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়েছি। তবে এখনো পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন-Kolkata Metro:উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী, আজ নতুন ইতিহাস তৈরির পথে কলকাতা মেট্রো
অধ্যাপক অনিমেষবাবু বলেন নিজের জমানো সমস্তটাই শেষ হয়ে গিয়েছে। মেয়ের চিকিৎসায়। ৪৫ দিন অন্তর ৬ লক্ষ ৬০০০ টাকা করে ওষুধ লাগছে মেয়ের জন্য। ধীরে ধীরে মেয়ের পাটা বেকাতে শুরু করেছে। সত্যি কি ওকে বাঁচাতে পারবো। আর এই নয় কোটি টাকা পাবো কি করে? যদি মানুষ এগিয়ে না আসে তাহলে আমার এই ফুটফুটে শিশুটি আগামীতে পৃথিবীর আলো দেখতে পাবে না। তাই নানান জায়গায় প্রতিদিনই কোলে সন্তানকে নিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছি। প্রশাসনের কাছেও যাচ্ছি । বুধবার জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গেও দেখা করেছি। আশ্বাস সব জায়গা থেকেই মিলছে। কিন্তু তেমন সহযোগিতা এখনো পর্যন্ত পাই নি ।
মালদার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারী ডাঃ সুদীপ্ত ভাদুড়ি বলেন, এটা একটা বিরল রোগ। শত কোটিতে হয়তো একজনের ধরা পড়ে । এত ব্যয়বহুল খরচ সত্যিই একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব। আমরা চাই ওই শিশুটি যেন সঠিক চিকিৎসা পায়। সবাই যেন ওর পাশে থাকতে পারি।