TMC: বীরভূম তৃণমূলে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। এবার তৃণমূলের ব্লক সভাপতির পা ভাঙার হুমকি দিলেন দলেরই নেতা। একইসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে গ্রামছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে। হুমকির জবাব দিতে গিয়ে ব্লক সভাপতি নাম না করে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিকেই আঙুল তুলেছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় সিউড়ির দমদম পঞ্চায়েতের ধলটেকুঁড়ি গ্রামে সভার আয়োজন করে তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল গোষ্ঠীর লোকজন। মূলত ভোটার তালিকায় কারচুপি নিয়ে ডাকা ওই সভা দলীয় নেতার বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ঘুরে যায়। ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলামের নাম না করে তাঁকে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে যান তৃণমূলেরই নেতারা।
নুরুল ইসলাম এক সময় অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তাঁকে সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান এবং সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি করাও হয়েছিল। গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডল জেলে যেতেই শিবির বদলে ফেলেন নুরুল ইসলাম। মিশে যান কাজল শেখ (Kajal Sheikh) গোষ্ঠীতে। বর্তমানে তিনি বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই নাম না করে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তিনি 'গরমাগরম' বক্তব্য রেখে চলেছেন। কিন্তু ব্লক তৃণমূলের একটা বড় অংশ এখন অনুব্রত মণ্ডলের লবিতে ঢুকে পড়েছেন। তাদেরই সভা ছিল সোমবার।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live: BJP-র বিক্ষোভে রণক্ষেত্র হাজরা মোড়, পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি, আটক সুকান্ত মজুমদার
সভায় এরসানুল হক ওরফে বকুল বলেন, “আপনি দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লাগাচ্ছেন। আপনি যদি বাপের ব্যাটা হত তাহলে দেখান মানুষ আপনার সঙ্গে আছেন না, আমাদের সঙ্গে আছেন। দেখাতে না পারলে সুরসুর করে ঘরে ঢুকে যান। বলরাম বাগদি, অশ্বিনী মণ্ডলের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে আপনার ঠ্যাং ভাঙা যাবে। আমি মনে করলে আপনাকে গাঁ ছাড়া করতে পারি।”
আরও পড়ুন- Anurbarata-Kajal: ধীরে ধীরে বীরভূম কব্জায় নিচ্ছেন কেষ্ট! কাজলকে 'ধাক্কা' দিতেই 'বিরাট চাল'
পরে সাংবাদিকদের এরসানুল বলেন, “গোরস্থানে একটা হাইমাস লাইট লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু ব্লক সভাপতি ওই লাইট নিজের ছাগলের ফার্মে লাগিয়েছেন। এই দুর্নীতির তদন্ত চাইছি আমরা। দল যেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে”। ঠ্যাং ভাঙা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ব্লক সভাপতি দলে থেকে দলের ক্ষতি করছেন। তিনি CPM–BJP-কে মদত দিচ্ছেন। এমন করলে কর্মীরা তাঁকে ছাড়বে না। সেটা বলেই সাবধান করতে চেয়েছি।”
আরও পড়ুন- Adhir Chowdhury:'অঙ্কটা নিজে কষুন, কত লোককে দিচ্ছেন আর কত চাকরি খাচ্ছেন', মমতাকে তুলোধনা অধীরের
নুরুল ইসলাম বলেন, “এসব বোলপুরের নির্দেশে হচ্ছে। দুর্নীতি না থাকলেও দুর্নীতি খুঁজে বের করতে হবে। এটাই এখন ওদের কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানছেন না বোলপুর গোষ্ঠী। নিজেকে ওরা দলনেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বড় ভাবছে। এটা আমি মানতে পারব না।”