unique initiative: রাজ্যের সরকারি স্কুলে অভূতপূর্ব উদ্যোগ! এমন তৎপরতায় অভিভূত অভিভাবকরাও

school initiative: রাজ্যের এই সরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন দারুণ তৎপরতা রীতিমতো চর্চায় উঠে এসেছে। অভিভাবকরাও স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন তৎপরতায় বেশ খুশি।

school initiative: রাজ্যের এই সরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন দারুণ তৎপরতা রীতিমতো চর্চায় উঠে এসেছে। অভিভাবকরাও স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন তৎপরতায় বেশ খুশি।

author-image
Uttam Dutta
New Update
Arambagh High School  ,Water for Bell initiative  ,Drinking water break in school , Headmaster Bikash Roy,  New school initiative  ,Student health awareness  ,Preventing dehydration in students,  Arambagh education model,  School water break  ,Unique school practice,আরামবাগ হাই স্কুল,  জলপানের ঘণ্টা,  জলপান বিরতি স্কুলে,  বিকাশ রায় প্রধান শিক্ষক  ,স্কুলে নতুন উদ্যোগ,  ছাত্রদের স্বাস্থ্য সচেতনতা,  জলশূন্যতা প্রতিরোধ  ,আরামবাগ শিক্ষা দৃষ্টান্ত,  বিদ্যালয়ে জলপান বিরতি,  স্কুলের বিশেষ নিয়ম

Drinking water break: স্কুল কর্তৃপক্ষের দারুণ তৎপরতা জোর চর্চায়!

'বাজলো ছুটির ঘণ্টা, কেমন করে মনটা....'। ছাত্র-জীবনের অমোঘ এক বাণী। তবে এই ভাবধারায় কিছু পরিবর্তন এনে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে মফস্বলের একটি খ্যাতনামা বিদ্যালয়। এবং সেটা শুরু হয়েছে সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ রায়ের হাত ধরেই। আরামবাগ হাই স্কুল সম্প্রতি চালু করেছে জলের জন্য ঘন্টা। ( Water for bell) এই উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রদের জলপান করার জন্য নির্দিষ্ট ভাবে কিছুটা সময় দেওয়া হয়েছে আর সেজন্য রীতিমতো বেল বাজিয়ে ছাত্রদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে এখন জলপানের বিরতি। 

Advertisment

কিন্তু হঠাৎ এইধরণের নিয়ম কেন? প্রধান শিক্ষক বিকাশ রায় জানালেন, "আসলে মাঝে মধ্যেই দেখা যেত অত্যাধিক গরমে ছাত্ররা অসুস্থ হয়ে পড়ে। মাথা ঘোরে। আমরা এখানকার খ্যাতনামা চিকিৎসক দের সঙ্গে আলোচনা করলে তাঁরা বলেছিলেন মূলত শরীরে জলশূন্যতার কারণে অনেক সময় এসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আমি চিন্তা করে দেখি ছাত্ররা যাতে সঠিক পরিমানে জলপান করে সেদিকে নজর দিতে হবে" সেই সূত্রপাত। 

এরপরেই স্কুল কমিটির সিদ্ধান্তনুযায়ী ঠিক হয়  ঠিক ১২ টা ১০ নাগাদ জলপান করার জন্য বেল বাজানো হবে। ৫ মিনিট বিরতি। আবার দ্বিতীয়ার্ধে ৩ টে ২০ নাগাদ পাঁচ মিনিটের জন্য জলপানের বিরতি। আরামবাগ বয়েজ হাই স্কুল আরামবাগের একটি বিখ্যাত স্কুল। এই স্কুলের পড়ুয়া ২৬৬৫ জন। শিক্ষকের সংখ্যা ৩৯।

Advertisment

আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: আরজি করের নির্যাতিতার বাবার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতার

প্রতিবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এ রাজ্যের মেধা তালিকায় এই স্কুলের নাম মেলে। এরকম স্কুলে এইধরণের একটি সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে অন্যান্য স্কুলের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। লক্ষ্য করলে দেখা যায় স্কুলে পড়ুয়ারা জল কম খায়। কিন্তু তাদেরকে যদি শুধু জলপানের জন্য বিরতি দেওয়া যায় তাহলে কিন্তু সে অনেকটাই জল খায়।

আরও পড়ুন-ISF-এর মিছিল ঘিরে ধর্মতলায় ধুন্ধুমার! পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ, আটক নওশাদ সিদ্দিকী

তার সঙ্গে সুঅভ্যাস গড়ে ওঠে। সুস্থ থাকতে গেলে শরীরে যে পরিমান জলের দরকার তার অনেকটাই যাতে স্কুল চলাকালীন কয়েক ঘন্টায় পান করা যায় তাহলে ছাত্ররা অনেকটাই ভালো থাকে। "আমাদের পরিশোধিত জলের কল এবং গভীর নলকূপের জল দুরকম ব্যবস্থা আছে। এই বেল বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের ওয়াটার বোতলে জল ভর্তি করা, জলপান করা, টয়লেটের সংস্পর্শে আশা সব কিছুর সঙ্গে এখানকার ছাত্ররা বেশ একাত্ম হয়ে উঠেছে। আর তাদের পাশাপাশি আমরা শিক্ষক রাও বেশ এই নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।" বলেন প্রধান শিক্ষক বিকাশ রায়।

আরও পড়ুন-ED: রাজ্যপাল অনুমতি দিতেই দুরন্ত তৎপরতা ইডি-র, রাজ্যের ডাকাবুকোকে মন্ত্রীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

সত্যি এই ধরণের শিক্ষা যাঁরা দেন তাঁদের কে কুর্নিশ করতেই হয়। আর ছাত্ররাও বিদ্যালয়ের যথার্থ মান রাখে। সর্বশেষ উচ্চমাধ্যমিক ফলাফল ই তার প্রমান। রাজ্যের মেধাতালিকায় তৃতীয়, পঞ্চম এবং দশম হয়েছে এই স্কুলের ছাত্ররাই।

school Arambagh water