/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/16/death-2025-10-16-20-04-59.jpg)
ছবির ডানদিকে গোলাপী শার্ট ও ঘিয়ে রঙের প্যান্ট পরিহিত প্রয়াত সরকারি আধিকারিক দীপঙ্কর দে। (পুরনো একটি ছবি)
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল আরামবাগ মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিক দীপঙ্কর দে-র। দীপঙ্কর দে-র এই অকালমৃত্যুতে হুগলি জেলা সংস্কৃতি মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৮ বছর। দীপঙ্করবাবুর বাড়ি নিউ ব্যারাকপুরে।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি হৃদরোগের অপারেশন করানো হয়। বেশ কয়েকদিন আগে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি। তারপর থেকে তিনি সুস্থই ছিলেন।
কিন্তু হঠাৎই বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বাড়িতে আবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে নিয়ে পথেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। হুগলি জেলা তথ্য ও সাংস্কৃতিক আধিকারিক প্রবাল বসাক মাসখানেক আগেই মুর্শিদাবাদ থেকে হুগলি জেলায় বদলি হয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন-Weekend Getaway:ভুলে যাবেন দিঘা-পুরী! কলকাতার কাছে অনিন্দ্যসুন্দর এই সি-বিচে মন মজেছে পর্যটকদের
সদ্য এসেই এরকম একজন তরুণ, কর্মঠ সহকর্মী কে হারাবেন সেটা তিনি কল্পনা ও করতে পারেননি। খবর আসতেই তিনি এদিন নিউ ব্যারাকপুর গিয়ে ছিলেন। এই বিষয়ে প্রবালবাবু বলেন, "আমি খবরটা পেয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। গতকাল ও ফোনে কথা হলো। বললো আমি খুব তাড়াতাড়ি জয়েন করছি। আজ ওর একমাত্র সন্তানের জন্মদিন ছিলো। ওনার স্ত্রী ও সন্তানসম্ভবা। এটা কি চলে যাওয়ার বয়স? আমরা একজন কর্তব্যনিষ্ঠ কলিগ কে হারালাম। এ ক্ষতি অপূরণীয়।"
আরও পড়ুন- SIR-এর শুরুতেই ২ কোটি ৪০ লক্ষ নাম বাদ, সেমিফাইনালেই 'পিসি-ভাইপো' ভোকাট্টা:শুভেন্দু
অন্যদিকে আরামবাগে তাঁর সহকর্মী তরুণ কুমার বেজ জানান, লক্ষ্মীপুজোর পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তারপর তিনি সুস্থ ছিলেন। এরপর হঠাৎ এদিন ভোরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। কালীপুজোর পরে তাঁর অফিসে আসার কথা ছিল। উল্লেখ্য, দীপঙ্করবাবু প্রতিদিন নিউ ব্যারাকপুর থেকে আরামবাগে অফিসে আসতেন। তাঁর বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও এক ছেলে বর্তমান। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা বলেও জানা গেছে।