/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/02/sea-beach-2025-07-02-17-15-21.jpg)
sea beach: কয়েকদিনের ছুটিতে বেরিয়ে আসুন অপূর্ব এই সাগর পাড় থেকে।
Sea Beach Near Kolkata: দুয়ারেই বেড়ানোর মরশুম। অনেকেই লম্বা ছুটি নিয়ে এই সময়টায় দূরে কোথাও বেরিয়ে পড়েন। তবে অনেকেরই কর্মস্থল থেকে লম্বা ছুটি ম্যানেজ করাটা কঠিন হয়ে যায়। ভ্রমণপিপাসুদের এই দ্বিতীয় অংশটির জন্যই এই বিশেষ প্রতিবেদন। হাতে দিন কয়েকের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন কলকাতা থেকে কাছেই অপূর্ব এই সাগর পাড় থেকে। নিরিবিলি, অনিন্দ্যসুন্দর এই সমুদ্রপাড়ে মেলে মনের স্বস্তি-প্রাণের আরাম!
ওড়িশার গঞ্জাম জেলার মার্কণ্ডী গ্রাম সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের তীরে রয়েছে মার্কণ্ডী সৈকত। বেরহমপুর শহরাঞ্চল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই সুন্দর সৈকতটি। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলীর অপূর্ব সংমিশ্রণ এবং শান্ত সমুদ্রের ঢেউ এখানে প্রতি বছর পর্যটকদের আকর্ষণ করছে।
আরও পড়ুন- Lord Canning House: 'লর্ড ক্যানিং হাউস', ব্রিটিশ আমলের ঐতিহাসিক ভবন ঘিরে নানা কাহিনী আজও চর্চায়!
মার্কণ্ডী সৈকতের কাছেই রয়েছে মার্কণ্ডী মন্দির, যেখানে প্রধান দেবতা হিসেবে পূজিত হন শিব। পর্যটকরা সৈকতে বেড়াতে আসার পাশাপাশি মন্দিরের দর্শনও করে থাকেন। মন্দির এবং সৈকতের সংমিশ্রণ স্থানটিকে আরও বেশি আধ্যাত্মিক ও মনোরম করে তুলেছে। বিশেষ করে শিব ভক্তদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সমুদ্রের নীল জলরাশির সঙ্গে মিশে থাকা মনোরম পরিবেশ পর্যটকদের কাছে এক অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এখানে প্রতিদিন ভ্রমণপিপাসু পরিবার, তরুণ এবং বিদেশী পর্যটকরা আসেন প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হতে। সমুদ্রের ধ্বনির সঙ্গে বালুকাময় তটরেখা, এবং সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্যের কারণে এই স্থান ফটোগ্রাফারদের জন্যও খুবই আকর্ষণীয়।
এছাড়াও, গোপালপুর সৈকত প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যা মার্কণ্ডী সৈকতের সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত। ফলে, পর্যটকরা চাইলে একটানা সফরে উভয় সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। বিশেষ করে সপ্তাহান্তে এবং উৎসবমুখর সময় এখানে প্রচুর ভ্রমণপিপাসু ভিড় করে।
সামুদ্রিক বাতাস, বালুকাময় সৈকত এবং পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের জন্য মার্কণ্ডী মন্দির — সব মিলিয়ে মার্কণ্ডী সৈকত হয়ে উঠেছে গঞ্জাম জেলার এক প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার মিলনে এই সৈকত প্রতিটি ভ্রমণপিপাসুর মনে দাগ কাটে।