/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/16/tmc-2025-10-16-19-52-57.jpg)
TMC leaders attacked: পঞ্চায়েত অফিসে চড়াও ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।
panchayat clash:পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ের অভ্যন্তরেই ক্ষুব্ধ জনতার হাতে মার খেলেন সমিতির সভাপতি সহ অন্যান্যরা। বীরভূমের সিউড়ি ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনা নিয়ে ধুন্ধমার কাণ্ড বেধে যায়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির টেবিল ভাঙচুড়, তাকে টানাহ্যাঁচড়া করার পাশাপাশি সভাপতির সাথে থাকা অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন মানুষ। ক্ষোভের বহি:প্রকাশে হেনস্থাও হতে হয় তাদের।
জানা গেছে, সিউড়ি ১নং পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয় লাগোয়া কালিপুর এলাকার একটি মহল্লার বাসিন্দারা এদিন জড়ো হন সমিতির অফিসে। তাদের অভিযোগ, জল, রাস্তা, আলো নিয়েই। বাসিন্দা চৈতালি মাল জানান, ‘‘আমরা জল পাচ্ছি না। রাত বিরেতে অন্ধকারে বেরোতে হচ্ছে রাস্তাঘাটে।’’
আরও পড়ুন- Weekend Getaway:ভুলে যাবেন দিঘা-পুরী! কলকাতার কাছে অনিন্দ্যসুন্দর এই সি-বিচে মন মজেছে পর্যটকদের
অপর বাসিন্দা অমিত মাল বলেন, ‘‘এই নিয়ে ছ-ছবার জানানো হয়েছে। তবুও কাজ হয় নি কোনও। আমাদের এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি থেকে জিতে তৃণমূলে চলে গিয়েছে। ব্লকে আসলে বলছে পঞ্চায়েতে যাও। পঞ্চায়েতে গেলে বলছে মেম্বরকে বলো। এ নিয়ে মানুষ চরম ক্ষুব্ধ।’’ সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এদিন বিকেলে। জড়ো হওয়া মানুষ তাদের সমস্যার বিহীত চাইতে গেলে পঞ্চায়েত সমিতির হর্তাকর্তারা মেজাজ দেখান বলে অভিযোগ ক্ষুব্ধ মানুষজনের।
আরও পড়ুন-SIR-এর শুরুতেই ২ কোটি ৪০ লক্ষ নাম বাদ, সেমিফাইনালেই 'পিসি-ভাইপো' ভোকাট্টা:শুভেন্দু
এরপরই ধৈর্যের বাধ ভাঙে মানুষে। ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তারা। তার বহি:প্রকাশেই চলে ধুন্ধমার। সহকারী সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, ‘‘সভাপতি ও অন্যান্যদের মারধর, জাম ছিঁড়ে দেওয়া, ভাঙচূড় চালানো হয়েছে।’’
হেনস্থার শিকার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ মন্ডল বলেন, ‘‘আগাম কিছু না জানিয়ে লোকজন এসে আমার টেবিল ভাঙচূড় করেছে ফাইল পত্র উলটে দেয়। শারিরীক নিগ্রহ করেছে।’’ ঘটনায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেক তৃণমূলীকেও দেখা গেছে।