/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/16/suvendu-2025-10-16-17-44-27.jpg)
Suvendu Adhikari-Mamata Banerjee: শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
SIR-Suvendu Adhikari:শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে SIR প্রক্রিয়ার শুরুতেই ২ কোটি ৪০ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গেছে। নাগরাকাটায় বিজেপির মিছিল ও বক্তব্যে তিনি সতর্ক করেন, ভোটার তালিকা তৈরি না হলে ২০২৬ নির্বাচনের ঝুঁকি রয়েছে।
SIR নিয়ে বিস্ফোরক দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর দাবি, বাংলায় ইতিমধ্যেই SIR প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই এস আই আর-এর প্রাথমিক পর্বে ২ কোটি ৪০ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গেছে বলে দাবি করেছেন BJP নেতা। বৃহস্পতিবার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপির বিধায়ক শংকর ঘোষের উপর হামলার প্রতিবাদে নাগরাকাটায় ধিক্কার মিছিল করে বিজেপি। মিছিল শেষে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এস আই আর ইস্যুতে তোলপাড় ফেলা দাবি করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- Adhir Chowdhury:“বাংলার নির্বাচনে চুরি-বাটপারি নতুন নয়”, SIR নিয়ে BJP-র সুরেই সুর মেলালেন অধীর
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?
নাগরাকাটার সভায় এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "এস আই আর-এর শুরুতে ২ কোটি ৪০ লক্ষ নাম বাদ গেছে। আর মৃত ভোটারের নাম উঠবে না, ভুয়ো ভোটার উঠবে না, বাংলাদেশের মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের নাম উঠবে না। ভারতীয় মুসলমানদের কোনও চিন্তা নেই। এস আই আর-এর সেমিফাইনালে পিসি এবং ভাইপো ভোকাট্টা! ওরা বলছে এস আই আর করতে দেব না। দম থাকলে আটকে দেখান।"
তিনি আরও বলেছেন, "ভারতবর্ষে কোনও পলিটিক্যাল পার্টি শেষ কথা বলবে না। বলবে সংবিধান। বলছে ২ তারিখ থেকে মিছিল করব, আমরাও পাল্টা মিছিল করব। 'নো এস আই আর, নো ইলেকশন'। এস আই আর করতে দেবেন না, ভোটার লিস্টও তৈরি হবে না, আর ভোটার লিস্ট তৈরি না হলে ভোটই হবে না। ভোট না হলে ২০২৬ সালের ৪ মে রাত ১২টার পর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। তৃণমূল ভোকাট্টা হয়ে যাবে! আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।"
এদিকে, SIR ইস্যুতে খানিকটা বিজেপির সুরেই সুর মিলিয়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তবে এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকেও সতর্ক করেছেন বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। তিনি বলেন, "SIR করার অধিকার নির্বাচন কমিশনের আছে। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর করতে গেলে দেশের নির্বাচন কমিশনকে নির্ভর করতে হবে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের উপর। বিডিও, এসডিও, ডিএম, সচিব সবাই কিন্তু কাজ করবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে।"
আরও পড়ুন-Cyclone:ফের সাগরে নিম্নচাপের চোখরাঙানি, আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়, শীত নিয়ে রইল বড় আপডেট!
তিনি আরও বলেছেন, "অর্থাৎ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর করতে অফিসারদের রাজ্যের কাছ থেকে ধার নেবে। পশ্চিমঙ্গের বিডিও, এসডিও, ডিএম, সচিব সবাই কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারে অধীনস্থ কর্মচারী। তাই তৃণমূল সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, আপনারা আপনাদের অফিসারদের সতর্ক করবেন, যাতে ভুয়ো ভোটার ধরার নামে প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ না যায়।"