Around 1000 girlstudents are not take part in Madhyamik 2025 in East Burdwan despite getting the admit card: ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে মাধ্যমিক পরীক্ষা অন্যতম প্রধান বড় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় বসার জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলার সমস্ত স্কুলের পরীক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষার দিন বহু পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের গরহাজিরা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কর্তা-ব্যক্তিদের। পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী জেলার ১২৪টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৮৪৭ জন পরীক্ষার্থী ইংরেজি পরীক্ষার দিন হাজির হননি পরীক্ষাকেন্দ্রে।
এ বছর পূর্ব বর্ধমান জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৪৫,৮৪৮ জন। এরমধ্যে ১৯,৪৪৮ জন ছাত্র এবং ২৬,৪০০ জন ছাত্রী। ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার বেশি। কিন্তু পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই দেখা যাচ্ছে, অ্যাডমিট কার্ড নেওয়ার পরেও ছাত্রীদের মধ্যে একটা বড় অংশ পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছেন না। পরীক্ষা দিতে না যাওয়া পড়ুয়াদের মধ্যে শুধুমাত্র য়ে 'সিসি' পরীক্ষার্থীরা রয়েছেন এমন নয়। নিয়মিত অর্থাৎ রেগুলার পরীক্ষার্থীরাও রয়েছেন সেই তালিকায়।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে অনীহা দেখানোর ছবিটা বাংলা পরীক্ষার দিনেই পরীক্ষকদের নজরে আসে। অ্যাডমিট কার্ড নেওয়ার পরেও মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষার দিনে জেলার ৭২৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছোননি। এরপর ইংরেজি পরীক্ষার দিনেও জেলার ১২৪টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৮৪৭ জন পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হননি। চন্দ্রপুর সেন্ট্রাল হাই স্কুলে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন ৫৩০ জন। ইংরেজি পরীক্ষার দিন তার মধ্যে ১৪ জন অনুপস্থিত ছিলেন। ওই ১৪ জনের মধ্যে ৯ জন রেগুলার ছাত্রী।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: বিরাট ফাঁপড়ে বাংলাদেশ! বিদ্যুতে আর কোনও ছাড় দিতে রাজি নয় আদানি গোষ্ঠী
বৈদ্যপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ পরীক্ষা কেন্দ্রের ৭৯৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৭ জন ইংরেজি পরীক্ষার দিন অনুপস্থিত ছিলেন। তার মধ্যে রেগুলার ছাত্রী পরীক্ষার্থী ৭ জন ও সিসি ছাত্রী পরীক্ষার্থী ৯ জন ছাত্রী অনুপস্থিত ছিলেন। পুটশুড়ি আইপি ইনস্টিটিউশন পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৮৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৭ জন ইংরেজি পরীক্ষার দিন অনুপস্থিত ছিলেন। তার মধ্যে ১৬ জনই ছিলেন 'সিসি' পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন- RSS: গ্রামে সংগঠন থেকে পুরনোদের 'রিচার্জ'! বঙ্গে '২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে 'মাস্টারপ্ল্যান' RSS-এর
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কর্তা অঞ্জন ঘোষের কথায়, “পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার প্রবণতা 'সিসি' পরীক্ষার্থীদের মধ্যেই বেশি।” অন্যদিকে পর্ষদ মনোনীত কমিটির আহ্বায়ক অমিতকুমার ঘোষ বলেন, “কী কারণে সিসি বা নিয়মিত পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুপস্থিত হচ্ছেন, সেটা জানার দরকার রয়েছে।"
আরও পড়ুন- Partha Chatterjee: প্রাথমিকে চাকরির জন্য পার্থকে নামের সুপারিশ শুভেন্দুর ভাই দিব্যন্দু, ভারতী ঘোষের
অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স ওহেডমিস্ট্রেস’ (ASFHM)-এর জেলার সভাপতি রূপক রায়ও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অ্যাডমিট কার্ড নেওয়ার পরেও পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রীদের হাজির না হওয়ার পিছনে পরীক্ষা-ভীতি কাজ করছে বলে তাঁর অনুমান। অপর এক শিক্ষকের ধারণা, “হয়তো পরীক্ষায় বসার সাহস দেখাতে না পারা ছাত্রীরা বিয়ের পিঁড়িকেই’ নিশ্চিত আশ্রয় মনে করে নিয়েছেন।" যদিও জেলার শিক্ষাবিদদের একাংশ মনে করছেন, শিক্ষকরাও তো এই ব্যাপারে ছাত্র-ছাত্রীদের 'সাহস' জোগাতে পারতেন। তাহলে পরীক্ষাকেন্দ্রে অনুপস্থিতির হার বাড়তো না।