/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/10/rajen-2025-10-10-10-59-04.jpg)
Rajen Gohain resignation: অসমের প্রাক্তন BJP সভাপতি এবং চারবারের নাগাঁওয়ের সাংসদ রাজেন গোহাইন (৭৪) বৃহস্পতিবার বিকেলে গুয়াহাটিতে দলের রাজ্য সদর দপ্তরে তার ১৭ জন সমর্থক সহ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
BJP Assam: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং অসম BJP-র প্রবীণ নেতা রাজেন গোহাইন বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন। ৭৪ বছর বয়সী গোহাইন গুয়াহাটির রাজ্য সদর দপ্তরে তাঁর ১৭ জন সমর্থকের সঙ্গে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন গোহাইন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অসম BJP-র অভ্যন্তরীণ বিরোধিতা বারবার প্রকট হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন শিবিরের সঙ্গে গোহাইনের শিবিরের বিরোধ সর্বজনবিদিত। শর্মার শিবিরে জয়ন্ত মল্ল বড়ুয়া, পীযূষ হাজারিকা ও অজন্তা নেওগের মতো নেতারা রয়েছেন, যারা তার মন্ত্রিসভারও অংশ।
গোহাইন নিজেই বলেছেন, এই বিভেদের কারণে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে নাগাঁও থেকে তাকে টিকিট দেওয়া হয়নি এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। দুটি নির্বাচনেই কংগ্রেস জিতেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি বর্তমানে “অসমীয়া জনগণের সবচেয়ে বড় শত্রু” হয়ে উঠেছে। আহোম সম্প্রদায়ের অন্তর্গত গোহাইন দাবি করেন, যে ২০২৩ সালে সীমানা নির্ধারণের পর, আহোমদের প্রভাব ও আধিপত্য কমে গেছে। “আগে বিধানসভায় প্রায় ৩০-৪০টি আসন আহোম সম্প্রদায় দ্বারা নির্ধারিত হত। এখন কোনও নির্বাচনী এলাকা নেই যেখানে তারা টিকিটের অধিকার দাবি করতে পারে,” তিনি বলেন।
আরও পড়ুন-ED raids:দুর্গাপুজো মিটতেই অ্যাকশন মোডে ED! দাপুটে মন্ত্রীর অফিস-সহ কলকাতার দিকে দিকে হানা
গোহাইনের মতে, আসামের নাগাঁও অঞ্চলে সংখ্যালঘু ভোটার অন্তর্ভুক্তির কারণে জনসংখ্যার পরিবর্তন করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে বিজেপি প্রার্থীদের জন্য সুবিধাজনক অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র রঞ্জীব কুমার শর্মা বলেন, “গোহাইন দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু দলের জন্য এটি বড় প্রভাব ফেলবে না। নাগাঁও থেকে বর্তমানে আটজন বিধায়ক রয়েছেন, যা দেখায় এই পদত্যাগ রাজনৈতিকভাবে বড় প্রভাব ফেলবে না। দল তাঁকে পুরস্কৃত করেছে, তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এবং রাজ্য মন্ত্রিপরিষদের পদও ছিল।” গোহাইনের পদত্যাগের পর আসামের রাজনীতিতে বিজেপি শিবিরের অভ্যন্তরীণ বিভেদ এবং আহোম সম্প্রদায়ের ক্ষোভ নতুন রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করতে পারে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us