Awas Yojana : অযোগ্যদের আবাসের তালিকায় নাম তোলা নিয়ে প্রতিবাদী যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল গ্রামেরই একদল মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। আহত প্রতিবাদী যুবককে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজে।
রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ভূতনি থানার দক্ষিণ চন্ডিপুর এলাকায়। হামলার ঘটনার পর উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে। আহত যুবকের অনুগামীদের সঙ্গে অভিযুক্ত আবির আলীর দলবলের নতুন করে সংঘর্ষ বাঁধে। ভাঙচুর করা হয় চারটি বাড়ি, দুটি মোটর বাইক বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভুতনি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও এই হামলার ঘটনায় দুই পক্ষের ১৫ জন গুরুতর জখম হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , আহতের নাম দানেশ আলী (৩০)। তাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে আবির আলী, সায়েন আলী সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে আহত দানেশ আলি ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছিলেন আবির আলীদের পাকা ঘর আছে অথচ তাদের পরিবারের ১২ জন সদস্য আবাসের তালিকায় নাম উঠেছে। কিন্তু এলাকার যোগ্য উপভোক্তাদের নাম তালিকায় নেই। এরপরই এদিন রবিবার গোলমালের সূত্রপাত।
আহত দানেশ আলীর এক কাকা সাহেব হক বলেন, সাধারণ উপভোক্তাদের আবাসের তালিকায় নাম উঠছে না । অথচ যাদের পাকা ঘর রয়েছে তাদের তালিকায় নাম দেখা যাচ্ছে। আবির আলী, সায়েন আলীদের প্রত্যেকের পাকা ঘর রয়েছে। অথচ ওদের পরিবারের ১২ জনেরই তালিকায় নাম এসেছে।
দানেশ আলী নিজেও আবেদন করেছিলেন পাকা ঘরের জন্য। কিন্তু তার নাম ওঠে নি । দুই সপ্তাহ আগে এনিয়ে জেলাশাসকের কাছে এবং মানিকচক ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিল দানেশ। আর এই ঘটনা জেরেই ওকে এদিন কুপিয়ে খুনের চেষ্টা চালানো হয়। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে হামলা চালায়।
মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, দানেশ আলী আক্রান্ত হওয়ার পর তার কিছু অনুগামীদের সঙ্গে আবির আলীর দলবলদের ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে । এই ঘটনায় দুই পক্ষের চারটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এর ঘটনা ঘটেছে । দুটি মোটর বাইক পুড়েছে। এখনো পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবির আলী, সায়েন আলী পলাতক । তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।