TMC Inner Clash: শওকতের বিরুদ্ধে 'জেহাদ জারি', তাড়িয়ে ছাড়ার ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি, ভোটের আগে গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত TMC

TMC Inner Clash: ভোটের আগে গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত ভাঙর। শওকত মোল্লাকে সরাতে একজোট আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদ। প্রকাশ্যে বিদ্রোহের ঘোষণা ঘিরে চাপে তৃণমূল কংগ্রেস, শুরু রাজনৈতিক তরজা।

TMC Inner Clash: ভোটের আগে গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত ভাঙর। শওকত মোল্লাকে সরাতে একজোট আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদ। প্রকাশ্যে বিদ্রোহের ঘোষণা ঘিরে চাপে তৃণমূল কংগ্রেস, শুরু রাজনৈতিক তরজা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
banger-tmc-infighting-arabul-kaisar-vs-shaukat-molla-02-november

ভোটের আগে গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত TMC

TMC Inner Clash: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন তার আগে গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত ভাঙর। শওকত মোল্লাকে সরাতে এবার একজোট আরাবুল-কাইজার। প্রকাশ্যে বিদ্রোহের ঘোষণায় ভোটের আগে দলকে চাপে রাখলেন তারা। 

Advertisment

"খুনি শওকতকে তাড়াব"। ভাঙর থেকে  এবার চরম হুঁশিয়ারি আরাবুল-কাইজারের। "ওর কিছু যায়  আসে না। না ওর ঘর এখানে,  না ওর কোন আত্মীয় আছে এখানে। ও  ভাঙরের মানুষের লাশ নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে এবং বিরোধীদের নামে মিথ্যা কেস দিয়ে জেলে পাঠাচ্ছে। এভাবে ভাঙর খালি করে দলকে জিতে ভাঙর উপহার দিতে চাইছে। ভাঙরের কয়েকটা চোর-চোরটা ছাড়া কেউ ওর সমর্থনে নেই।" এভাবেই শওকতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কাইজার আহমেদ।  

আরও পড়ুন- ফের SIR আতঙ্কে মৃত্যুর ভয়ঙ্কর অভিযোগ, তোলপাড় বাংলার রাজ্য-রাজনীতি

Advertisment

ভোটের আগে চরমে দলের গোষ্ঠীকোন্দল। শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে এবার তৃণমূলের ভিতরেই বিদ্বেষের বীজ দানা বাঁধতে শুরু করেছে? আরাবুল-কাইজারের 'নতুন জোটে' মিলেছে সেই ইঙ্গিতই। প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনে ভাঙড় থেকে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকে উৎখাতের ডাক আরাবুল-কাইজারের। আর তাই নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা। এক সময় কাইজার ও আরাবুলের মধ্যে ছিল সাপে-নেউলের সম্পর্কে। দুই গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ছিল দ্বন্দ্ব।  এখন পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে।  ২৬-এর ভোটে দুজনের লক্ষ্য শওকত মোল্লাকে ভাঙর থেকে সরানো।

সম্প্রতি কাইজার আহমেদের পার্টি অফিসে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। বাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর নেতা বাহারুল ইসলাম ও সাবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল কর্মী এসে কাইজারকে লক্ষ্য করে অশালীন গালিগালাজ ও খুনের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর সরাসরি শওকতের দিকেই আঙুল তোলেন কাইজার আহমেদ। অপরদিকে জেল থেকে ফেরার পর  শওকতের সঙ্গে আরাবুলের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। আরাবুল প্রকাশ্যে দাবি করেন তাকে জেলে পাঠানোর পিছনে ছিলেন শওকত মোল্লা। এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই শওকত মোল্লাকে সরাতে হাতে হাত মেলালেন কাইজার-আরাবুল। 

আরও পড়ুন- SIR নিয়ে সরগরম রাজ্য! 'এবার রাস্তায় নামার সময়!', এই ভাবনায় পথে মমতা-অভিষেকরা

এক সংবাদ সম্মেলনে আরাবুলকে পাশে নিয়ে কাইজার আহমেদ বলেন, "গত ২৫ অক্টোবর কাইজারের পার্টি অফিস ভাংচুরের ঘটনায় এবার গর্জে আরাবুলকে পাশে নিয়ে গর্জে উঠলেন কাইজার। ২৫ তারিখের ঘটনার পর দল ও প্রশাসনের কাছে বিচার চাইছি। আমার কাছে ভিডিও ফুটেজ ছিল। আমি দেখছিলাম কতটা মিথ্যা বলতে পারে। যারা বলেছে আমরা সেদিন ওখানে ছিলাম না, তাদের মুখ ওখানে জ্বল-জ্বল করছে। ভাঙরের শান্তির জন্য আমরা তৃণমূল কংগ্রেসটা করেছি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ২০১১ সালে পালা বদলের পর যে ব্যাক্তি হাত জোড় করে দলে নেওয়ার জন্য হাতজোর করেছিল আমার কাছে তার আজকের কার্যকলাপ, আমাদের প্রাণে মারার চক্রান্ত করছে। ভাঙরের একটা লোকও ওকে সমর্থন করেন না। ২০২৬ অবধি ওর বিরুদ্ধে আমাদের জেহাদ জারি থাকবে। ওর শেষ দেখে ছাড়ব। দেখি ওর কত দম। মিথ্যা ভাবে আরাবুলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি, যার নির্দেশে আমার অফিস ভাংচুর, বাড়িতে অ্যাটাক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমার কাছে হাইকোর্ট খোলা আছে। আমরা ভাঙরে আরাবুলদার নেতৃত্বে প্রচুর আন্দোলন করে সিপিএমকে তাড়িয়েছি। তোমার শেষ না দেখে আমিও ছাড়ব না।" অপরদিকে  আরাবুল ইসলাম বলেন, “ভাঙড়ে এখন অরাজকতা চলছে। একতরফা ভাবে নানা ঘটনা ঘটছে। কাইজার এখনও ব্লকের সভাপতি, তাঁকে সরানো হয়নি, অথচ তাঁর পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হচ্ছে। খুনের চেষ্টা করা হচ্ছে"। 

আরও পড়ুন- বঙ্গ রাজনীতির ছন্দপতন, না ফেরার দেশে জনপ্রিয় দাপুটে নেতা

তবে এই সব অভিযোগে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ বিধায়ক শওকত মোল্লা। তাঁর কথায়, “কে কী বলছে, তা নিয়ে আমি ভাবি না। ওরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। তাই কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না"।

tmc Bhangar