Bangladesh Unrest: বাংলাদেশে লাগাতার হামলা হিন্দু মহল্লায়, সীমান্তে দাঁড়িয়ে ইউনুস সরকারকে চরম বার্তা শুভেন্দুর
Bangladesh Unrest: বাংলাদেশের দিকে দিকে হিন্দু মহল্লায় আক্রমণ চলছে। লাগাতার হামলা চলছে মন্দির ও হিন্দুদের উপাসনালয়ে। প্রতিবাদে পেট্রাপোল সীমান্তে বিজেপির ধরনা।
Bangladesh Unrest: বাংলাদেশের দিকে দিকে হিন্দু মহল্লায় আক্রমণ চলছে। লাগাতার হামলা চলছে মন্দির ও হিন্দুদের উপাসনালয়ে। প্রতিবাদে পেট্রাপোল সীমান্তে বিজেপির ধরনা।
Suvendu Adhikari on Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলা (Attacks on Hindus in Bangladesh) বন্ধের দাবিতে আজ পেট্রাপোল সীমান্তে ধরনা কর্মসূচি ছিল BJP-র। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাদেশ ইস্যুতে করা মন্তব্যকেও এক হাত নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
Advertisment
অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে এদিন পেট্রাপোল সীমান্তে ধরনা কর্মসূচি ছিল বিজেপির। আজ সকাল থেকে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে গাড়ি যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে পেট্রাপোল সীমান্তে এই প্রতিবাদ।
কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?
"হিন্দুদের অস্তিত্ব বাঁচাতে অবিলম্বে রাষ্ট্রসংঘ বাংলাদেশ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করুক। বাংলাদেশে হিন্দুদের অস্তিত্বের পাশাপাশি হিন্দুদের মন্দিরও বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশ সীমান্ত আটকানোর এটা একটা ট্রেলার দেখিয়ে গেলাম। অত্যাচার বন্ধ না হলে ও পরের সপ্তাহের মধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (Chinmoy Krishna Das) প্রভু মুক্তি না পেলে আমরা ৫ দিন বন্ধ করব। নতুন বছরে লাগাতার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে ওরা আলু পেঁয়াজ কী করে খায় সেটা আমরা দেখিয়ে দেব।"
"মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বলেছেন ভারত সরকার রাষ্ট্রসংঘকে দিয়ে শান্তি সেনা পাঠাক। মাননীয়া ফালাকাটায় দুর্গা মন্দিরে ঢুকে যখন জেহাদিরা বলল শাঁখ বাজাবেন না... উলু দেবেন না তখন কোথায় ছিল আপনার পুলিশ? গার্ডেনরিচে দুর্গা মণ্ডপে ঢুকে বলল চন্ডীপাঠ, মাইক বাজানো বন্ধ কর... তখন কোথায় ছিল আপনার পুলিশ? হাওড়ার শ্যামপুরে পাঁচটি দুর্গা মূর্তি ভেঙেছে কোথায় ছিল আপনার পুলিশ? কার্তিক পুজোর সময় বেলডাঙায় হিন্দুদের মারল, মন্দির ভাঙল, কোথায় ছিলেন আপনি?"
"বাংলাদেশ নিয়ে ভারত সরকার পুরোপুরি নীরব। প্রধানমন্ত্রী না পারলে বিদেশমন্ত্রী সংসদকে জানাক। বিদেশমন্ত্রী দরকারে সংসদে বিবৃতি দিয়ে জানান বাংলাদেশ নিয়ে তাঁরা কী অবস্থান গ্রহণ করছেন। বাংলাদেশে শান্তি সেনা পাঠানো হোক। ভারত সরকার রাষ্ট্রসংঘের কাছে আর্জি জানাক। আমাদের লোক অত্যাচারিত হোক এটা চাই না। আমাদের লোকজনকে ফিরিয়ে আনতে চাই। এক বেলা খাব আর এক বেলা রুটি ভাগ করে খাব।" বিধানসভায় সোমবার এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাব এবার লিখিতভাবে পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।