Durga Puja: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের দমদমা গ্রামে একবার বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়েছিল। কথিত আছে, গ্রামবাসীদের রক্ষা করতে দেবী দুর্গা বন্দুক হাতে নাকি এসেছিলেন এই দমদমায়। অশুভ শক্তিকে দমন করতে তিনি নাকি গুলিও চালিয়েছিলেন। শত্রু পক্ষকে উৎখাত করে গোটা গ্রামকে বাঁচিয়েছিলেন দেবী। মা দুর্গার সেই মহিমাকে স্মরণীয় করে রাখতে তারপর থেকে এতল্লাটে সরদার পরিবার শুরু করে মহামায়ার আরাধনা। পুজোর সময় দেবীর মহিমা প্রচারের জন্য বিসর্জনের আগে দু'বার বন্দুক থেকে আকাশে গুলি ছোঁড়ার রেওয়াজ আজও আছে। পুরনো রীতি মেনেই চলে এই পুজো।
দমদমার সরদার পরিবারের পাঁচ ভাই মিলে একটি মন্দির তৈরি করেছিলেন। সেখানেই দুর্গামূর্তি স্থাপন করা হয়। তখন থেকে ঘটা করে পুজো হয়ে আসছে। বাংলা ১৩০৭ সাল থেকে এই পুজোর শুরু। পরিবারের সদস্যদের চাঁদায় পুজো চলছে আজও। জানা গিয়েছে, সরকদার বাড়িতে দেবী দুর্গার পুজো শুরু করেছিলেন মনোহর সরদার।
গ্রামের মানুষজন পুজোর কয়েকদিন আনন্দে মেতে ওঠেন। মন্দির সংস্কার করে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে জোর কদমে। প্রতিমার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজোর পর প্রতিমা নির্মাণ শুরু হয় মন্দিরে।
আরও পড়ুন- Eastern Rail: মসৃণ যাত্রী পরিষেবার লক্ষ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ! দুরন্ত সাফল্য পেল রেল
আরও পড়ুন- Anubrata Mondal: 'দিদির আশীর্বাদে ভালো আছি, দিদির পাশে থাকব', ঘরে ফিরেই বার্তা অনুব্রত মণ্ডলের
এই পরিবারের সদস্যরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন দেশে-বিদেশে। তবে সবাই বাড়ি আসেন পুজোর সময়। নিরামিষ আহার শেষে নবমীর দিন আমিষ খান পরিবারের সদস্যরা। অলোক সরদার নামে পরিবারের এক সদস্য বলেন, 'মাকে রুপোর গয়না পরানো হয়। বংশ পরম্পরায় আমাদের বাড়ির প্রতিমা তৈরি করছে এক কুমোর পরিবার।'
আরও পড়ুন- Train Accident: ফের বাংলার বুকে রেল দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত ট্রেনের পরপর বগি! তারপর?
পরিবারের আর এক সদস্য রাজন্য সরদার বলেন, 'বংশ পরম্পরায় এই পুজো করে আসছি আমরা। আমাদের মা দুর্গা খুবই জাগ্রত। পরিবারের দেড়শো সদস্য সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ি পুজোর আয়োজনে। অষ্টমীর দিন অঞ্জলির পর এক কুইন্টাল বাতাসা হরির লুঠে দেওয়া হয়। মানত পূরণের জন্য মহিলারা ১০০ দণ্ডি কাটেন মন্দিরে।'