Eastern Rail: মসৃণ যাত্রী পরিষেবার লক্ষ্যে নানা সময় নানাবিধ পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে পূরেব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে। এবার ফের একবার সুষ্ঠু পরিষেবা প্রদানে দুরন্ত পদক্ষেপ রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স বা আরপিএফ-এর কর্মীদের। গোটা জোন ধরে চলে অভিযান। এতেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। পূর্ব রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে বিস্তারিতভাবে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রেলের তরফে দেওয়া বিবৃতি:
পূর্ব রেলওয়ের RPF-এর কর্মীরা চেইন পুলিং (ACP) সিস্টেমের অপব্যবহার রোধে নিরলস প্রচেষ্টায় উল্লেখযোগ্য ফলাফল অর্জন করেছেন। ১ আগস্ট ২০২৪ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত, RPF জোন জুড়ে মোট ৪৫৪টি মামলা নথিভুক্ত হয়।
এই সময়ের মধ্যে, অকারণে ট্রেনে চেইন টানার জন্য ৩৯৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অকারণে চেইন টেনে ট্রেন থামানোর এই চেষ্টা শুধুমাত্র ট্রেনের সময়সূচীকেই ব্যাহত করে না বরং যাত্রীদের নিরাপত্তার সঙ্গেও আপোস করা হয়। RPF-এর সজাগ পদক্ষেপগুলির জেরে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে।
আরও পড়ুন- Anubrata Mondal: 'দিদির আশীর্বাদে ভালো আছি, দিদির পাশে থাকব', ঘরে ফিরেই বার্তা অনুব্রত মণ্ডলের
অ্যালার্ম চেন অকারণে টানা রেলওয়ে আইনের ১৪১ ধারা অনুযায়ী একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোনও বৈধ কারণ ছাড়া অ্যালার্ম চেইন টানা বেআইনি এবং এর ফলে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা, এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা উভয়ই হতে পারে।
পূর্ব রেলওয়ের অধীনে অ্যালার্ম চেইন টানানোর কারণে যে ট্রেনগুলি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় তার মধ্যে রয়েছে ১৩৪০৩ রাঁচি-ভাগলপুর বনাঞ্চল এক্সপ্রেস, ১৩০৭১ হাওড়া-জামালপুর এক্সপ্রেস, ১২৫১০ গুয়াহাটি-এসএমভিটি বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস, ১৩৪০২ দানাপুর-ভাগলপুর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, ১৩২৩৬ দানাপুর-সাহিবগঞ্জ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন- Train Accident: ফের বাংলার বুকে রেল দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত ট্রেনের পরপর বগি! তারপর?
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, "এসিপি সিস্টেম হল একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়েছে। এই ব্যবস্থার অপব্যবহারে শুধুমাত্র ট্রেন লেট হয় তা নয়, যাত্রী নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকি তৈরি করে। পূর্ব রেল সমস্ত যাত্রীদের সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। মসৃণ এবং নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলেই আমাদের জানান।"