ভবানীপুর কেন্দ্রেই 'বহিরাগত' ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ মমতার, পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন শুভেন্দু

ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র ঘিরে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, পরিকল্পিতভাবে তাঁর কেন্দ্র ‘বহিরাগতদের’ প্রবেশ করানো হচ্ছে। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র ঘিরে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, পরিকল্পিতভাবে তাঁর কেন্দ্র ‘বহিরাগতদের’ প্রবেশ করানো হচ্ছে। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Battleground Bhabanipur

ভবানীপুর কেন্দ্রেই 'বহিরাগত' ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ মমতার

সামনেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে একদিকে যেমন SIR নিয়ে পারদ চড়তে শুরু করেছে তেমনই 'বহিরাগত' ইস্যুতেও উত্তাল বাংলা। এর মাঝেই নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে 'বহিরাগত' ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  

Advertisment

আরও পড়ুন- 'আমাদের সব ভেঙে গিয়েছে, ভুটানকেও সাহায্য করতে হবে', উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় নিয়ে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র ঘিরে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, পরিকল্পিতভাবে তাঁর কেন্দ্র ‘বহিরাগতদের’ প্রবেশ করানো হচ্ছে। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই   হারাবেন।

Advertisment

এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখন অনেক জায়গায় গরিবদের বসতি ভেঙে বড় বড় আবাসন তৈরি হচ্ছে। আমি তা সমর্থন করি না। আমাদের ভোটারদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরিকল্পনা করে ভবানীপুরে বহিরাগতদের ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” এরপরই বুধবার (১৫ অক্টোবর), শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন শেষ হলেই ভবানীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো পরাজিত হবেন। বিজেপি ইতিমধ্যেই ভবানীপুরের আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটিতে এগিয়ে আছে।” উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী এর আগেও একাধিকবার দাবি করেছেন যে ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীকে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। 

আরও পড়ুন- উদ্ধার জাল নোটের পাহাড়! দেওর-বৌদি'ই কী নাটের গুরু?

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে পরাজিত হলেও  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরে উপনির্বাচনে ৫৮,৮৩৫ ভোটে জয়ী  হয়েছিলেন। তখন তিনি মোট ভোটের প্রায় ৭২ শতাংশ পেয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ভবানীপুরে তৃণমূলের ব্যবধান নেমে আসে মাত্র ৮,২৯৭ ভোটে। কলকাতা পুরসভার যেসব ওয়ার্ডে ২০২৪ সালের ভোটে বিজেপি এগিয়ে ছিল, সেগুলি হল ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২ ও ৭৪। অন্যদিকে, তৃণমূল এগিয়েছিল ৭৩, ৭৭ ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে। এই অঙ্কই এখন ভবানীপুরে তৃণমূলের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর “বহিরাগত” মন্তব্য ও শুভেন্দুর লড়াকু মনোভাব — দু’পক্ষের এই 'অবস্থান' ভবানীপুরকে ফের বাংলার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছে। 

উল্লেখ্য উত্তরবঙ্গ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুরে ভার্চুয়ালি বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখানেই বহিরাগত ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন মমতা। তিনি বলেন,“এখন অনেক জায়গায় গরিবদের বসতি ভেঙে বড় বড় আবাসন তৈরি হচ্ছে। আমি এটা সমর্থন করি না। আমাদের ভোটারদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরিকল্পনা করে ভবানীপুরে বহিরাগতদের ভরিয়ে তোলা হচ্ছে।” পাশাপাশি মমতার সংযোজন, “যাঁরা বাংলায় এসে কাজ করেন, বসবাস করেন, তাঁরা আমাদেরই মানুষ। কিন্তু যাঁরা হঠাৎ বাইরে থেকে এসে প্রচুর টাকা খরচ করে জমি-বাড়ি কিনে স্থানীয়দের সরিয়ে দিচ্ছেন, তাঁরা বহিরাগত।” পাশাপাশি SIR নিয়েও সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন- দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ কাণ্ডে মালদার যুবক গ্রেপ্তার, কী বলছেন প্রতিবেশীরা?

এদিকে ভবানীপুর আসনে বহিরাগত ইস্যুতে যখন সুর চড়িয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো তখনই ২৬-এর নির্বাচনে কার্যত তাঁকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল শুভেন্দু বলেন, “হারাব, হারাব। ২০ হাজারে হারাব। ভবানীপুরে SIR-এর পরে হারাব ওঁকে। বিজেপি হারাবে। যে দাঁড়াবে, সে হারাবে। নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরেও হারাব। প্রাক্তন করব। আপনার ভাইপোকে জেলে পাঠাব।”

Suvendu mamata