Fake Medicine: ভুয়ো ওষুধের রমরমায় উদ্বেগে BCDA, বিপদ এড়াতে প্রশাসনকে একগুচ্ছ সুপারিশ

Fake Medicines: সম্প্রতি নিম্নমানের ওষুধের বিক্রি ও সরবরাহ নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সব মহলে। এব্যাপারে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সাম্প্রতিক সময়ের একটি রিপোর্ট নিয়ে চূড়ান্ত উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

author-image
Joyprakash Das
New Update
medicines-l

প্রতীকী ছবি।

BCDA makes several recommendations to the govt to curb the rampant sale of fake medicines: ভুয়ো ওষুধের রমরমা বেড়েই চলেছে। এই আবহে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (Central Drugs Standard Control Organization) সাম্প্রতিক সময়ের একটি রিপোর্ট নিয়ে চূড়ান্ত উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। খোদ ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠনও এ ব্যাপারে চরম উদ্বেগে রয়েছে। বেঙ্গল কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (BCDA), অল ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন অব কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস (AIOCD)-এর অধীনে, যা ভারতের কেমিস্ট এবং ড্রাগিস্টদের একটি প্রধান সংগঠন, পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতে ভুয়ো ওষুধের প্রাদুর্ভাবের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। 

Advertisment

বেঙ্গল কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পৃথ্বী বোস বলেন, "ভুয়ো ওষুধের বিস্তার একটি ticking time bomb এবং আমরা আর অপেক্ষা করতে পারি না। আমরা সরকারের কাছে নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে, আইন প্রয়োগ বাড়াতে এবং জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।" এরই পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "BCDA একটি বহুমুখী স্টেকহোল্ডার পদ্ধতির জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, যাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবী এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে সহযোগিতা হয়। BCDA মনে করে যে, বেশি ডিসকাউন্টের প্রলোভন পশ্চিমবঙ্গের ভুয়া ওষুধের বৃদ্ধির একটি প্রধান কারণ।"

অন্যদিকে, সংগঠনের অফিসিয়াল মুখপাত্র শঙ্খ রায় চৌধুরী বলেন, "ভুয়ো ওষুধের সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর, যা দেশের জনগণের স্বাস্থ্য এবং ওষুধ ব্যবসার খ্যাতি দুটিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে। দ্রুত এবং অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর হিসাব অনুযায়ী, কয়েক বছর আগে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে অন্তত ১০% ঔষধ অকার্যকর বা ভুয়া ছিল। গত কয়েক বছরে, এই সংখ্যা প্রায় ৪৭% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি ধারণা করা হচ্ছে যে বাজারে উপলব্ধ মোট ঔষধের প্রায় ১৫% ভুয়া, অকার্যকর বা অবৈধ হতে পারে। এই বৃদ্ধি জনস্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি।"

আরও পড়ুন- West Bengal News Live:'নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাংলাদেশের নারীরা', ইউনুসকে তুলোধনা BNP-র

Advertisment

ভুয়ো ওষুধ বা নিম্নমানের ওষুধের রমরমা রোধে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে BCDA-এর তরফে। সেগুলি হল,

১) নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করা: ভুয়ো ওষুধ উৎপাদন, বণ্টন এবং বিক্রি বন্ধে আইন ও নিয়মাবলী জোরদার করা।  ২) জনসচেতনতা বৃদ্ধি: ভুয়ো ওষুধের ঝুঁকি সম্পর্কে গ্রাহকদের শিক্ষিত করা এবং অনুমোদিত উৎস থেকে ওষুধ কেনার গুরুত্ব বোঝানো।
 ৩) সহযোগিতা এবং সমন্বয়: নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীদের মধ্যে অংশীদারিত্ব সৃষ্টি করা, যাতে তথ্য, সর্বোত্তম পদ্ধতি এবং সম্পদ ভাগ করা যায়।

৪) পরীক্ষা সুবিধা বাড়ানো: ওষুধ পরীক্ষার সুবিধা উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগ নিশ্চিত করা।

৫) বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠা: ওষুধ সম্পর্কিত অপরাধের দ্রুত বিচার করার জন্য বিশেষ আদালত তৈরি করা।

আরও পড়ুন- Cyber Crime: মোটা টাকা আয়ের প্রলোভনে ফোন, টোপ গিলতেই 'লুঠ' কোটি টাকা, শেষমেশ জালে প্রতারক

Bengali News Today news in west bengal news of west bengal Fake Medicines