Dilip Ghosh: ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের মহড়া শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলায়। এই মহড়ার সূচনা কেন্দ্র উত্তরবঙ্গ। তিন দিন উত্তরবঙ্গ সফর সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন তিনি। এরই মধ্যে সেখানে ছুটে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আগামী ২৯ জুন উত্তরবঙ্গে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফর ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। উত্তরবঙ্গে মোদীর সফরের মধ্যে দিয়েই শুরু হয়ে যাবে ২৬-এর নির্বাচনী প্রচার। এখন সেদিকেই নজর সকলের।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি যে এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফর, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা যাত্রা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন জনসভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখে। তিন দিন ধরে উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নেন এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের ঠিক পরেই উত্তরবঙ্গে হাজির হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ২৯ জুন উত্তরবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা ঘিরে এখন থেকেই উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই জনসভাকে কেন্দ্র করে বিজেপির কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদীর এই সফরের মাধ্যমেই কার্যত শুরু হয়ে যাবে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারপর্ব।
মোদীর বঙ্গ সফরের আগে প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, "বাংলায় যে পরিস্থিতি বর্তমানে চলছে তা সে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি বা মুর্শিদাবাদে হিংসা বা আরজি কর সব কিছুই সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট এবং সিবিআই কেসগুলি দেখছে। কেন্দ্র তো সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এই বিষয়গুলিকে নিয়ে আন্দোলন জারি রাখা, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে আগামীর আন্দোলনের রুপরেখা তৈরি করে দেওয়ার কাজ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব লাগাতার করেই চলেছে। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্বভারতীয় নেতারা আসবেনই। মোদী, শাহ এলে দলীয় কর্মী থেকে নেতাদের সকলেরই মনোবল কিছুটা হলেও চাঙ্গা হয়। মোদীকে সামনে রেখে লড়াই আরও জোরদার করার শপথ নেন কর্মীরা। আর অপরদিকে সংগঠন সামলেছেন অমিত শাহ। আমাকে উনিই সভাপতি বানিয়েছিলেন। আমাদের লড়াইয়ে সব সময় পিঠে হাত রেখেছেন। তারই পরিনাম বিজেপি এখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বাকি কাজ করার জন্য এবার ঝাঁপিয়ে পড়বে বঙ্গ বিজেপি"।
যোগ্য চাকরিহারাদের আন্দোলন ইতিমধ্যে ১৯ তম দিনে পড়েছে। চাকরিহারাদের আন্দোলনের প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বলেন, সরকার কিছু করতে চায় না। মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলনই একমাত্র পথ। আদালত ও সরকার দুজনেই এদের দুরবস্থার জন্য দায়ি। আদালতের কাছে সরকার গিয়ে তথ্য প্রমাণ দিক। যে পথে সরকার চলার চেষ্টা করছে এটা কোন সমাধানের পথ নয়।