/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/14/sabitri-2025-08-14-18-30-59.jpg)
Sabitri Mitra phone audio viral: ছবির বাঁদিকে বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। ডানদিকে ভেঙে যাওয়া সেই বাঁধ।
embankment breach:বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে মানিকচক ব্লকের ভূতনিতে। প্লাবিত বহু এলাকা। আর এনিয়ে মোবাইলে ফোন করে এক ব্যক্তি মানিকচকের বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্রকে জবাব চাইলে সাবিত্রী মিত্র লাগামহীন হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। ক্ষেপে গিয়ে গালিগালাজ শুরু করে দেন।
বৃহস্পতিবার সেই অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে রীতিমতো রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদায় । সাবিত্রী মিত্র নিজেও স্বীকার করে নিলেন তিনি রেগে বলেছেন। উলটে তাঁর বক্তব্য, একটা চক্র কাজ করছে। সেই চক্রের লোকজন তাঁকে উত্যক্ত করার জন্যেই ফোন করেছে। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে BJP। বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল এই ঘটনা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
উল্লেখ্য, বুধবার সাতসকালেই ভূতনির দক্ষিণ চন্ডিপুর বাঁধ ভেঙে গঙ্গার জল প্রবেশ করতে থাকে। ইতিমধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ চন্ডিপুর এবং হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অসংখ্য এলাকা বন্যার জলে প্লাবিত হয়েছে। শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র তিন মাস আগে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে বন্যা ঠেকাতে গঙ্গা নদী তীরবর্তী দক্ষিণ চন্ডিপুরে প্রায় এক হাজার মিটার একটি মাটির বাঁধ তৈরির কাজ করে সেচ দপ্তরের অধীনস্থ একটি ঠিকাদারি সংস্থা। ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই এদিন সাতসকালেই ভুতনির সেই বাঁধ ভেঙেই আশেপাশের অসংখ্য গ্রাম প্লাবিত হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা।
এদিকে দিন সকালেই একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে ভূতনির বাঁধ ভাঙার কারণে বিধায়ক দায়ী বলে দাবি করা হয়। আর এই কথা শুনেই রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। ফোনে তিনি অপর প্রান্তের ব্যক্তিকে কিছু আজেবাজে ভাষায় কথা বলে এবং বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে তার কোনও হাত নেই বলেই সরাসরি জানান। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিধায়কের অশালীন শব্দের কথা-বার্তার অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়।
আরও পড়ুন- ISKCON:শিয়ালদহ থেকে AC লোকাল ট্রেনে সরাসরি মায়াপুর ISKCON-এ? স্বপ্নের সফর নিয়ে চর্চা তুঙ্গে
বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা মানিকচকের দলীয় নেতা গৌড়চন্দ্র মন্ডল বলেন, "ভূতনি এলাকার যারা ফোন করেছেন তারা তো ক্ষতিগ্রস্ত। তারা সেখানকার ভোটার। জনগণের সঙ্গে শাসকদলের বিধায়ক এমন ভাষায় কথা বলবে ভাবাই যাচ্ছে না। মানুষ এটা দেখছে।"
মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, "সকাল থেকে আমাকে ফোন করে বার বার উত্ত্যক্ত করা হচ্ছিল। ভূতনি বাঁধ সম্পর্কে সেচ দপ্তরের ঠিকাদারেরা বলতে পারবেন। এখানে আমি কী জানি? সেই কথাই বলেছিলাম। কিন্তু তারপরও আমাকে ফোনের ওপ্রান্ত থেকে আজেবাজে কথা বলা হচ্ছিল। তাই কিছু কড়া শব্দ বলে ফেলেছি। পুরো বিষয়টি পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবকে জানানো হয়েছে।"
আরও পড়ুন-Independence Day 2025:বর্ধমানের বিপ্লবীদের অম্লান গৌরব: আজও শিহরণ জাগায় ঐতিহাসিক কীর্তি
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র যে দুটি মোবাইল নম্বর দিয়ে অভিযোগ করেছেন, সেটি একটি কেরল অপরটি তামিলনাড়ুর নম্বর। অনুমান করা হচ্ছে ভূতনির কোনও পরিযায়ী শ্রমিক ওই রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বাঁধ ভাঙার পরিস্থিতির কথা জানার পরই হয়তো, বিধায়ককে নানাভাবে উত্যক্ত করার চেষ্টা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।