/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/14/ac-2025-08-14-16-46-41.jpg)
Ranaghat–Sealdah AC train extension to ISKCON: স্বপ্নের এই সফর ঘিরে চর্চা বাড়তে শুরু করেছে।
Ranaghat–Sealdah AC train-ISKCON: রাজ্যেকে পাশে পেলে রানাঘাট শিয়ালদহ এসি ট্রেন সরাসরি যাবে ইস্কনে। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সাংসদ জগন্নাথ সরকারের রানাঘাট শিয়ালদহ লোকাল এশি ট্রেনের শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর ভায়া নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত যাওয়া নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে চিঠি দেবার কথা বলা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। যে চিঠিতে তিনি নবদ্বীপ ঘাটে যাওয়ার জন্য নদীর উপর ছোট ব্রিজ ও রেলের দখলদারি হওয়া জমি উচ্ছেদের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সোমবার থেকে রানাঘাট -শিয়ালদহ ইএমইউ এসি লোকাল ট্রেনের সূচনা হয়েছে। শিয়ালদহ রানাঘাট রুটের গ্যালপিং এই ট্রেন পূর্ব ভারতে পূর্ব রেলের প্রথম এসি লোকাল ট্রেন। সোমবার প্রথম যাত্রী নিয়ে ৮টা ২৯ মিনিটে ট্রেনটি রানাঘাট স্টেশন থেকে শিয়ালদহের উদ্দেশে রওনা হয়। এই ট্রেনের ন্যূনতম ভাড়া ৩৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ভাড়া ১২০ টাকা। জানাগিয়েছে, প্রতি কোচে গড়ে ৯৬ জন যাত্রীর বসার ব্যবস্থা আছে। ট্রেনের সামনে ও পিছনের কোচ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য ৬টি করে ১২টি আসন থাকবে দুটি কোচে।
ট্রেনটিতে মোট ১,১২৬ জন যাত্রীর জন্য বসার ব্যবস্থা রয়েছে। আপৎকালীন অবস্থায় গার্ডের সঙ্গে সরাসরি যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য টক ব্যাকিল সিস্টেম, স্লাইডিল ডোর খোলার জন্যে লকিং সিস্টেম, অ্যালার্ম, প্রতি কোচে সিসি ক্যামেরা থেকে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রয়েছে। চাকদহ, কল্যাণী, কাঁচরাপাড়া, নৈহাটি, ব্যারাকপুর, খড়দহ, সোদপুর, দমদম ও বিধাননগর স্টেশনের মতো বিশেষ কিছু স্টেশনে শিয়ালদহ-রানাঘাট এসি লোকাল ট্রেনটি থামবে।তবে এই ট্রেন কৃষ্ণনগর থেকে ছাড়া হবে বলা হলেও দেখা গেল রানাঘাট থেকে ছাড়ছে। তাই কৃষ্ণনগরের বাসিন্দাদের মন খারাপ কারণ কৃষ্ণনগর থেকে এই এশি ট্রেন ছাড়া নিয়ে কিছুদিন ধরে চর্চা তুঙ্গে ছিল। আর তা না হওয়ায় রাজনীতির কচকচানির বিষয়টি উঠে এসেছে। এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান রুকবানু রহমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয় সামনে এনেছেন।
আরও পড়ুন- Independence Day 2025:বর্ধমানের বিপ্লবীদের অম্লান গৌরব: আজও শিহরণ জাগায় ঐতিহাসিক কীর্তি
তিনি বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম এশি ট্রেন কৃষ্ণনগর থেকে ছাড়বে। সেক্ষেত্রে সীমান্তের মানুষের সুবিধা হতো। কিন্ত কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রটি তৃণমূল জয়লাভ করায় বিজেপি তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধিত করেছে।' এ নিয়ে প্রবীণ কৃষ্ণ নাগরিক সম্পদ নারায়ণ ধর বলেন, কৃষ্ণনগর থেকে শিয়ালদহ পার্যন্ত একটা এসি ট্রেন হওয়ার কথা ছিল। সেই ট্রেন কেন হলো না, জানি না। তবে ট্রেন কৃষ্ণনগর পর্যন্ত হলে বয়স্ক শিশু থেকে রোগী নিয়ে যাওয়া আনার ক্ষেত্রে সুবিধা হতো। মানুষ একটু স্বস্তিতেও যেতে পারতো। '
এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন গ্রন্থাগারিক সঞ্জিত দত্ত বলেন,' এসি ট্রেন কৃষ্ণনগর থেকে ছাড়লে ভালো হত। তাতে সীমান্তের করিমপুরের মানুষও উপকৃত হত। সামনে ভোট, তাই রাজনৈতিক কারণে একটি রাজনৈতিক দল সুফল নেওয়ার জন্য এই কান্ড ঘটিয়েছে। যাতে রানাঘাটে তাদের দলের শক্তি অটুট থাকে। কৃষ্ণনগরের মানুষ বঞ্চিত হলো।' এই অবস্থায় সাংসদ জগন্নাথ সরকার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে এই এশি ট্রেন শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর ভায়া নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত করা নিয়ে সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দিচ্ছেন। যা এই মুহূর্তে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। কারণ দীর্ঘদিন ধরে আমঘাটা থেকে নবদ্বীপে রেল যাওয়ার জন্য জমির নোটিফিকেশন হয়েছে। আর বারবার জমিজট, দখলদারিতে আটকেছে এই রেল -রেলপথ।
আরও পড়ুন- Jammu kashmir Cloudburst: প্রকৃতির তান্ডবলীলা, মৃত্যুমিছিল...! উপত্যকা জুড়ে শোকের ছায়া
এ প্রসঙ্গে সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, 'এসি লোকাল শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর ভায়া নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত গেলে বিদেশী ভক্তরা ইস্কন মন্দিরে যেতে পারবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ নদীর উপর একটা ছোট ব্রিজ যেন করে দেয়। সেখানে ব্রিজ করে দিলে প্রচুর দেশী বিদেশী ভক্ত ইস্কন মন্দিরে যেতে পারবে।' তিনি আরও বলেন, 'রানাঘাট এসি ট্রেনটা নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত আমরা নিচ্ছি। রেলের জমি দখলদারি হয়ে আছে। উচ্ছেদের কাজটা রাজ্য করলে রেল ওখানে পৌঁছে যাবে। তারপর নদীর উপর রাজ্য ব্রিজ করে দিলে পায়ে হেঁটে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী ইস্কন মন্দিরে যেতে পারবে।তাই আমি অনুরোধ করছি উদ্যোগ নিক সরকার। আমি এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠাচ্ছি।'